for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ২৩:৫২:২০
শেষ পর্যন্ত ভালোয় ভালোয় শেষ হলো না প্রিমিয়ার হকি লিগ। আজ শুক্রবার মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান ও আবাহনীর মধ্যকার অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচটি ১৮ মিনিট বাকি থাকতে বন্ধ হয়ে যায়।
মোহামেডানের খেলোয়াড়দের দুটি লালকার্ড দেওয়ার প্রতিবাদে তারা আর ম্যাচে ফিরতে রাজি হয়নি। আম্পায়ার ১০ মিনিট অপেক্ষা আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণার মাধ্যমে খেলা শেষ করে দেন। ওই সময় পর্যন্ত মোহামেডান ৩-২ গোলে এগিয়ে ছিল।
আবাহনীবকে বিজয়ীয় ঘোষণা করায় তাদের পয়েন্ট হলো ৩৭। যা মেরিনার্সের সমান। বাইলজ অনুসারে, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুই দলের প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে শিরোপা নির্ধারণের কথা।
এই ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশকে ৪-২ গোলে হারায় শিরোপাধারী মেরিনার ইয়াংস। যে কারণে দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিণত হয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। যে দল জিতবে তারাই চ্যাম্পিয়ন।
প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে পড়ে তৃতীয় কোয়ার্টারে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান। তৃতীয় কোয়ার্টারের আড়াই মিনিট বাকি থাকতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি জানিয়ে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় মোহামেডান। বাইলজ অনুযায়ী মোহামেডান মাঠে না ফেরায় আবাহনীকে জয়ী ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।
বাইলজ অনুযায়ী, দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে প্লে-অফ ম্যাচে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা বলে জানান হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ।
তিনি বলেন, ‘মোহামেডান খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় আম্পায়াররা বাইলজ অনুযায়ী আবাহনীকে জয়ী ঘোষণা করেছেন। এখনও তাদের প্রতিবেদন আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। দুই দলের পয়েন্ট সমান হওয়ায় আমরা এখন আবাহনী ও মেরিনার্সকে প্লে-অফ খেলার জন্য চিঠি দিব। এর বাইরে যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটা মিটিংয়ে নেওয়া হবে।’
আবাহনীর উপদেষ্টা কোচ মাহবুব হারুন বলেছেন, ‘বাইলজ অনুযায়ী আমরা প্লে-অফ খেলতে চাই।’
৪৩তম মিনিটে হঠাৎই মোহামেডানের সার্কেলের দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি। ঝগড়া শুরু করা আবাহনীর আফফান ও মোহামেডানের জুল বিন মিজুনকে হলুদকার্ড দেন আম্পায়ার। মোহামেডানের দ্বীন ইসলাম ইমন ও তানভির রহমান সিয়াম এবং আবাহনীর নাঈম উদ্দিনকে দেন লালকার্ড। এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে মাঠ ছাড়া মোহামেডান শেষ পর্যন্ত মাঠে ফিরতে আর রাজি হয়নি।
খেলতে অস্বীকৃতি জানানো নিয়ে মোহামেডান কোচ শহীদুল্লাহ টিটু তুলে ধরেন, ওই দুই লালকার্ডের প্রসঙ্গ তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম লালকার্ডের বিষয়টি আবারও রিভিউ করা হোক। কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমাদের কাছে যে ভিডিও আছে, ওদের মিমো (পুস্কর ক্ষীসা) আমাদের একজনকে আঘাত করেছেন। তাকে কোনো কার্ড দেওয়া হয়নি। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’
নিজেদের আনন্দ উৎসব নিয়ে মোহামেডান কোচ বলেন, ‘লিগে আমরা শুরু থেকে ভালো খেলেছি। আজকে আবাহনীকে পিছিয়ে পড়ে তিন গোল দিয়েছি, তাই উৎসব করছি।’ সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম
For add
For add
For add
For add
for Add