for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৯ অক্টোবর ২০১৬, রবিবার, ২২:১৩:৪৩
আশা জাগিয়েও প্রথম ওয়ানডেতে পারেনি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ২১ রানে। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুরে দেখা গেল টাইগারদের আসলরূপ। ইংলিশবধ করে সিরিজে ফিরে এলো মাশরাফিবাহিনী। আজ(রবিবার) অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ ৩৪ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। বাংলাদেশের করা ২৩৮ রানের জবাবে ইংল্যান্ড ৪৪.৪ ওভারে ২০৪ রান করে অলআউট হয়ে যায়। ব্যাট হাতে ২৯ বলে ৪৪ রানের পর বল হাতেও বিধ্বংসী ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের নাকানি-চুবানি খাইয়েছেন তাসকিন আহমেদও। তিনি ৩ উইকেট নিয়েছেন ৪৭ রান দিয়ে। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন অধিনায়ক বাটলার।
এর আগে ইংলিশ ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন অধিনায়ক মাশরাফি। দলীয় ১২ রানে ভিন্সকে ধরিয়ে দেন মোসাদ্দেকের হাতে। দুই রান যোগ করতেই আঘাত হানেন সাকিব আল হাসা। তিনি ফিরিয়ে দেন ডাকেটকে। এর পর ২৪ ও ২৬ রানে মাশরাফি জস রয় ও স্টোকসকে আউট করলে বিপর্যয়ে পড়ে ইংল্যান্ড।
টস জিতে বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং আর দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে বেশ চাপেই ছিল টাইগার ব্যাটসম্যানরা। তবে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে বাংলাদেশ যে ২৩৮ রান করেছে তার অবদান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে শেষ দিকে মাশরাফি বিন মর্তুজার ঝোড়ো ব্যাটিংয়েই লড়াকু পূঁজি আসে বাংলাদেশের। অনেক দিন পর একাদশে সুযোগ পাওয়া নাসির হোসেনও রেখেছেন নির্বাচকদের আস্থার মর্যাদা।
এ পর্যায়ে ১৬৯ রানে ৭ উইকেট হারালে বাংলাদেশের স্কোর ২০০ পার হবে কিনা তা নিয়েই তৈরী হয়েছিল শঙ্কা। সেখান থেকে দলকে এত দূর নিয়ে গেছেন মাশরাফি। লোয়ার অর্ডারে থাকা ব্যাটসম্যানরা রান পাচ্ছিলেন না। দায়িত্বটা তাই নিজের কাঁধেই নিলেন মাশরাফি। ইংলিশ বোলারদের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিয়ে ২৯ বলে ২ চার ও ৩ ছ্ক্কায় করেছেন ৪৪ রান। যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন নাসির। দীর্ঘদিন পর একাদশে জায়গা পাওয়া নাসির অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ২৭ রানে।
তার আগে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন রিয়াদ। এক প্রান্ত আগলে রেখে পূরণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৬তম হাফসেঞ্চুরি। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেনও মাহমুদউল্লাহ। চাপ কাটিয়ে বাংলাদেশও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল, সেই সময়েই আদিল রশিদের আঘাতে ফিরে যান তিনি। এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরেছেন ৭৫ রান করে।
টপ অর্ডারের আর কোনও ব্যাটসম্যানই মেলে ধরতে পারেননি নিজেদের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইমরুল কায়েস ফেরেন শুরুতেই। ক্রিস ওকসের বলে ডেভিড উইলির হাতে ধরা পড়েন ১১ রান করে। তার পর পরই ওই ওকসের শিকার হয়ে ফিরে যান তামিম ইকবালও (১৪)। দুই ওপেনারকে হারানোর চাপটা আরও বড় আকার ধারণ করে সাব্বির রহমান আউট হলে। ব্যাটিং অর্ডার বদল করেও ব্যর্থ তিনি, মাত্র ৩ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন জেক বলের শিকার হয়ে।
For add
For add
For add
For add
for Add