for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৯ মে ২০১৬, রবিবার, ১৬:২০:৩০
প্রতিশোধের আগুন ছিল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ সমর্থকদের চোখে। রিয়াল মাদ্রিদ ছিল আরেকটি শিরোপা উল্লাসে মেতে উঠার অপেক্ষায়। শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন পুরণ হয়েছে দ্বিতীয় দলটির। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে তাদেরই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ।
টাইব্রেকারে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শটটা জালে জড়ানোর পরই উৎসব শুরু করে দিল মাদ্রিদ সহ গোটা বিশ্বের রিয়াল সমর্থকরা৷ আর করবেনই বা না কেন? মৌসুমের শুরুটা খারাপ করলেও তাঁদের দল যে আবার ইউরোপ সেরা৷ একবার নয় ১১ বার ট্রফি গেলো রিয়ালের ঘরে৷ ২০১৪ সালের ফাইনালে হারের বদলা নেওয়া হল না দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যদের৷ অন্যদিকে, রিয়ালের কোচ হিসেবে প্রথম ট্রফি জয়ের স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি ‘অভিশপ্ত’ সান সিরোতে প্রথমবার দলকে ম্যাচ জেতালেন জিনেদিন জিদান৷ আগে খেলোয়াড় হিসেবে আর এখন কোচ হিসেবে এই খেতাব জিতলেন ‘জিজু’৷ ১-১ গোলে ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ফাইনালের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৫-৩ গোলে ম্যাচ জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে নেয় রিয়াল।
৬ মিনিটের মাথায় অল্পের জন্য গোল পায়নি রিয়াল৷ পেনাল্টি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া গ্যারেথ বেলের ফ্রি-কিকে ক্যাসেমিরো পা ছোঁয়ালেও দলের পতন রোধ করেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক ও’ব্ল্যাক৷ ১৫ মিনিটে অবশ্য আর শেষ রক্ষা হয়নি৷ টনি ক্রুজের ফ্রি কিক থেকে ভেসে আসা বল বেল ফ্লিক হেডে গোলপোস্টের সামনে পাঠান৷ সেখানে ওঁত পাতা শিকারীর মতো সুযোগ পেয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রিয়াল অধিনায়ক সের্জিও র্যামোস৷ দু’বছর আগে লিসবনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে একইভাবে অ্যাটলেটিকোর হৃদয় ভেঙেছিলেন তিনি৷ সেই ফাইনালের পর এদিন প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল পেলেন র্যামোস৷ এরপর কোকে-গাবিরা কয়েকটি সহজ সুযোগ পেলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন৷ফলে প্রথমার্ধের শেষ ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল রিয়াল৷
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরুর তিন মিনিটের মধ্যে পেপের ভুলে পেনাল্টি পায় সিমিওনের ছেলেরা৷ কিন্তু তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন অ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান৷ তাঁর শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়৷ ৫৫ মিনিটে মাত্র ৬ গজ দূর থেকে নেওয়া সাভিচের শট পোস্টের উপর দিয়ে উড়ে যায়৷ অন্যদিকে, প্রতি আক্রমনে ৭১ মিনিটে নেওয়া বেঞ্জিমার শট বাঁচিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো গোলরক্ষক৷ ৭৮ মিনিটে ফের একবার ও’ব্ল্যাক ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ন হন৷ কিন্তু বেলের ফিরতি বলে শটের সময় তিনি নিজের জায়গায় ছিলেন না৷ কিন্তু সেক্ষেত্রেও বেঁচে যায় অ্যাটলেটিকো৷ গ্যারেথ বেলের শট গোললাইন সেভ করেন সাভিচ৷ এরপরের মিনিটেই অবশ্য সমতায় ফেরে টোরেস-গ্রিজম্যানরা৷ জুয়ানফ্রানের ক্রস থেকে গোল করে যান পরিবর্ত হিসেবে নামা কারাস্কো৷ এরপর নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ের দুই্ অর্ধে দুইদলই গোল করার মতো সুযোগ তৈরি করেছিল৷ কিন্তু কেউই কাজের কাজটি করতে পারেনি৷
এর ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে৷ যেখানে প্রথম তিনটি শট কেউই মিস করেনি৷ কিন্তু চতুর্থ শটে গুরুত্বপূর্ণ পেনাল্টি মিস করে বসেন জুয়ানফ্রান৷ এরপর পরবর্তী পঞ্চম শটে রিয়ালের হয়ে রোনালদো গোল করার পরই উচ্ছ্বাসে ভেসে পড়েন রিয়াল খেলোয়াড় থেকে সমর্থকরা৷ উল্টোদিকে আরও একটি ফাইনালে হার মেনে নিতে পারেননি অ্যাটলেটিকো খেলোয়াড় থেকে সমর্থকরা কেউই৷
For add
For add
For add
For add
for Add