for Add
খলিলুর রহমান : ২৬ মে ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ২০:৩০:৪৯
গত ৪ জানুয়ারি যখন প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিলেন, হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ তখন যেন কা-ারিবিহিন এক জাহাজ। আক্ষরিক অর্থেই তাই। রাফায়েল বেনিতেজের অধীনে রিয়ালের পারফরম্যান্স ছিল ছন্নছাড়া। রিয়ালকে ঠিক ‘রিয়াল’ বলে চেনা যাচ্ছিল না। একের পর এক হারে লিগ শিরোপা দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে পড়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও দল ভালো কিছু করবে, এমনটাও কেউ বিশ্বাস করতে পারছিল না। উপায়ান্তর না দেখে কর্তৃপক্ষ তাই স্মরণাপন্ন হন জিনেদিন জিদানের। পথ হারা দলকে সঠিক পথে ফেরানোর আশায় বেনিতেজকে সরিয়ে জিদানের কাঁধে তুলে দেয় প্রধান কোচের গুরুদায়িত্ব।
কিন্তু ভ্রু কুচকালো বোদ্ধাদের অনেকেই। কেউ কেউ তো দলের এই দুঃসময়ে জিদানের মতো অনভিজ্ঞ একজনকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়ায় রিয়াল কর্তাদের ফুটবল জ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তুলেন। কেউ কেউ আবার সোজসাপ্টাই বলে দেন, জিদান দলকে সঠিক পথে ফেরাতে পারবেন না! কিন্তু কত দ্রুতই না নিন্দুকদের মুখে কুলুপ এঁটে দেন জিদান। দায়িত্ব নেওয়ার পাঁচ দিন পরই রিয়ালের প্রধান কোচ হিসেবে ডাগআউটে অভিষেক জিদানের। লিগে দেপোর্তিভো লা করুনার বিপক্ষে মাঠে নেমেই সত্যিকার রিয়াল। গ্যারেথ বেলের হ্যাটট্রিক আর করিম বেনজেমার জোড়া গোলে জয় ৫-০ গোলে।
এরপর কেবলই সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা। জিদান ছোঁয়ায় এক সময় বার্সেলোনার চেয়ে ১০ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়া রিয়াল শিরোপা লড়াইয়ে শুধু ফিরেই আসেনি, শিরোপার লড়াই করেছে লিগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত শিরোপার নাগাল না পেলেও লিগ শেষ করেছে চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার চেয়ে মাত্র ১ পয়েন্ট পেছনে থেকে। এর চেয়েও বড় সাফল্য, নিন্দুকদের মুখে ছাই দিয়ে জিদান দলকে তুলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে। আগামী পরশু (শনিবার) মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অল-মাদ্রিদ ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে রিয়াল। তার আগে রিয়াল শিবির রেকর্ড এগারতম শিরোপার স্বপ্নে বিভোর।
জিদান পারবেন প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মৌসুমেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিততে? উত্তরটা জানা যাবে পরশু রাতেই। তবে রিয়াল জিতলেই জিদান ঢুকে পড়বেন ইতিহাসের পাতায়। নাম লেখাবেন ইয়োহান ক্রুইফ, কার্লো আনচেলত্তিদের মতো গ্রেটদের পাশে। গত ৬০ বছরের ইতিহাসে খেলোয়াড় ও কোচ, দুই ভূমিকাতেই ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবগুলোর এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে পেরেছেন মাত্র ৬ জন। রিয়াল জিতলে ইতিহাসের সপ্তম ব্যক্তি হিসেবে জিদান গড়বেন অনন্য সেই কীর্তি।
খেলোয়াড় এবং কোচ, দুই ভূমিকাতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের প্রথম কৃর্তি গড়েন মিগুয়েল মুনোজ। ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে শুরুর পর প্রথম দুই মৌসুমেই রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি গায়ে শিরোপা জেতেন মুনোজ। তখন অবশ্য টুর্নামেন্টটির নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। ১৯৯২ সালে যেটা নাম বদলে হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। তো ওই দুইবারই তিনি ছিলেন দলের অধিনায়ক। পরে কোচ হিসেবেও মুনোজ রিয়ালকে শিরোপা জিতিয়েছেন দু’বার, ১৯৬০ ও ১৯৬৬ সালে। তালিকার পরের নামটি জিওভান্নি ত্রাপাত্তোনির। খেলোয়াড় হিসেবে এসি মিলানের হয়ে ১৯৬৩ ও ১৯৬৯ সালে দুবার শিরোপা জেতেন এই ইতালিয়ান। ১৯৮৫ সালে জুভেন্টাসকে শিরোপা জেতান কোচ হিসেবে।
খেলোয়াড় হিসেবে আয়াক্সের হয়ে টানা তিন বার (১৯৭১, ১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে) শিরোপা জেতা ডাচ কিংবদন্তি ক্রুইফ কোচ হিসেবে বার্সেলোনাকে শিরোপা জেতান ১৯৯২ সালে। ক্রুইফের পরই এই কীর্তি গড়েন কার্লো আনচেলত্তি। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি শিরোপা জিতেছেন ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে টানা দুবার মিলানের হয়ে। কোচ হিসেবে কীর্তিটা তার আরও বড়। ইতিহাসের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে কোচের ভূমিকায় তিন বার জিতেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। মিলানের হয়ে ২০০৩ ও ২০০৭ সালে এবং ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। কোচ হিসেবে তিন বার শিরোপা জয়ের কীর্তি আর আছে কেবল বব পিয়াসলির।
আনচেলত্তিরই মিলান সতীর্থ খেলোয়াড় ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডও খেলোয়াড়-কোচ দুই ভূমিকাতেই শিরোপা জিতেছেন। খেলোয়াড় হিসেবে রাইকার্ড অবশ্য মিলান এবং আয়াক্স দুই ক্লাবেরই হয়েই শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন। পরে কোচ হিসেবে ২০০৬ সালে শিরোপা উপহার দিয়েছেন বার্সেলোনাকে। তালিকার সর্বশেষ নামটি পেপ গার্ডিওলা। তিনি অবশ্য খেলোয়াড়-কোচ দুই ভূমিকাতেই শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন শুধু বার্সেলোনায়। ১৯৯২ সালে খেলোয়াড় হিসেবে। পরে ২০০৯ ও ২০১১ সালে টানা দুবার কোচ হিসেবে। খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালের হয়েই ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতা জিদান পারবেন কোচ হিসেবেও ট্রফিটা জিতে এই গ্রেটদের পাশে নাম লেখাতে?
crestor mg “looking for pointers to their likely underlying problem. Our elders”>looking for pointers to their likely underlying problem. Our elders
For add
For add
For add
For add
for Add