for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৭ মে ২০১৬, মঙ্গলবার, ২১:৩২:১৭
সকালে ঢাকায় এসে বিকেলেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফ। তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল দলের প্রধান কোচের নিয়োগ পেয়ে এক মাসের জন্য আজ (মঙ্গলবার) সকালে ঢাকায় এসেছেন তিনি। হাতে সময় কম বলে পুরো দিন বিশ্রাম নিতে পারেননি এ ডাচ। নিয়োগ পাওয়ার পর এমনিতেই বিলম্বে এসেছেন তিনি। এ নিয়ে বাফুফেতেই আছে চরম ক্ষোভ। তাই সকালে এসে বিকেলেই বুঝে নিয়েছেন দলের দায়িত্ব।
প্রথম দিন প্র্যাকটিস শুরুর আগে ক্রুইফ বলেন, ‘গত কয়েক মাস বাংলাদেশের ফুটবল সঠিক পথে ছিল না। এক বছরের বেশি সময় আমি বাংলাদেশে ছিলাম না। কিন্তু সে জন্য আমি ভীত নই। আমি খেলোয়াড়দেরকে চিনি। জানি কিভাবে তাদের আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য তৈরি করতে হয়। আমি এসেছি একমাসের জন্য। ৭ জুন হোম ম্যাচ শেষে ৯ অথবা ১০ জুন আমি ফিরে যাবো।’
এত কম সময়ের মধ্যে নিজের লক্ষ্যটুকু জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে যে নিম্নমুখী ধারা, সেখান থেকে আমি টেনে তুলতে চাই। আমি চাই, বাংলাদেশের মানুষ ফুটবল নিয়ে আনন্দমুখর সময় ফিরে পাক। আমি ফুটবলের সাফল্য ফিরিয়ে আনতে চাই। আমার জন্য এ কাজ অনেকটাই সহজ। কারণ আমি বাংলাদেশের ফুটবলের পারিপার্শ্বিকতা বুঝি। আমি দেখলাম, আবাহনীর হয়ে ফিরে আসছেন জর্জ কোটান। এটিই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের ফুটবলে একজন বিদেশি কোচের পক্ষে টিকে থাকাটা কতটা কঠিন। এখানে অনেক কিছুই বুঝতে হয়। সে অনুযায়ী চলতে হয়।’
ক্রুইফ আরও বলেন, ‘গত আট মাসে বাংলাদেশ তিনজন কোচ বদল করেছে। যা কখনও সুস্থ ধারা নয়। দীর্ঘ-মেয়াদী চুক্তি ছাড়া কোনও কোচই দলকে স্থায়ী সাফল্য এনে দিতে পারবেন না। আমি মামুনুল এবং সোহেল রানাকে চেয়েছি, কারণ আমার খেলার যে ধারা, সেখানে তারা খুবই প্রয়োজনীয়। জাহিদ এবং ইয়াসিনের ব্যাপারেও আমি বলবো, তাদেরকে স্বল্প সময়ে ফিরিয়ে আনা কষ্টকর।’
তবে খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে উদ্বিগ্ন নন ক্রুইফ। তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়রা একটি টুর্নামেন্ট খেলেছে। ভালো ফিটই রয়েছে। তাই এ ব্যাপারে খুব একট উদ্বিগ্ন নই। দুশানবেতে ২ জুন বাংলাদেশ কৌশলগত দিক দিয়ে ভালো ফুটবল খেলবে। সেটা করতে পারলে বাংলাদেশের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
একইসঙ্গে কাজী সালাউদ্দিনকে অভিনন্দন জানিয়ে লোডভিক ডি ক্রুইফ বলেন, ‘তার পুনঃনির্বাচনের সঙ্গে আমার প্রত্যাবর্তনটাও জড়িয়ে আছে। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন, আমি আবার বাংলাদেশে ফিরে এসেছি। বাংলাদেশ ফুটবলকে ঘিরে উন্নয়নের জন্য যে চিন্তা ধারা আমার মাঝে কাজ করে, সালাউদ্দিনও একই ধারাই সেই চিন্তা করেন।’
For add
For add
For add
For add
for Add