for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৫ মে ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ১২:৪৫:২৭
আগের রাতে মিলানের টিকিট কেটে রেখেছিল আ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় ছিল তারা। শেষ পর্যন্ত লা লিগার নগর প্রতিদ্বন্দ্বিকেই পেলো অ্যাটলেটিকো। গতকাল (বুধবার) রাতে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল ১-০ গোলে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে পৌছে গেছে ফাইনালে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল এখন অলমাদ্রিদ। তিন মৌসুমের মধ্যে এই দ্বিতীয়বারের মতো ঘটতে যাচ্ছে ব্যাপারটা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে দুই মাদ্রিদের লড়াই।
ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। দ্বিতীয় লেগে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর উপস্থিতি যেন পাল্টে দিল সবকিছুই। পাল্টে গেল রিয়াল। তবে কাল গোলের দেখা পাননি পর্তুগিজ তারকা। একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন বটে, কিন্তু দলের জয়ে ভূমিকা এক আত্মঘাতী গোলেরই।
গ্যারেথ বেলের একটি ক্রস ফেরাতে গিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ফার্নান্দোর পায়ে লেগে ঢুকে গেল নিজেদেরই জালে। ম্যাচের ২০ মিনিটে ওই আত্মঘাতী গোলই শেষ অবধি জয়-পরাজয়ের নিয়ামক। এ নিয়ে ১৪ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন লিগের ফাইনালে নাম লেখাল রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের সামনে এবার ১১তম শিরোপা জয়ের হাতছানি। ২০১৪ সালের ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের ৪-১ গোলে হারিয়ে বহু অপেক্ষার ‘লা ডেসিমা’ জিতেছিল রিয়াল।
ম্যাচটা যেন দুর্ভাগ্য দিয়েই শুরু করেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। আগে থেকেই ছিলেন না ডেভিড সিলভা। কাল ম্যাচের শুরুর দিকে অধিনায়ক ভিনসেন্ট কম্পানিও চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপরে ফার্নান্দোর আত্মঘাতী গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগের টানা ছয় ম্যাচ অপরাজিত থাকার আত্মবিশ্বাস নিয়ে যে দল মাঠে নেমেছিল দুই ধাক্কায় সেই আত্মবিশ্বাস মুহূর্তেই হাওয়া। গোলে খেয়ে যাওয়ার পর ম্যাচে ফেরার শক্তিটুকু প্রয়োগের ক্ষমতাও যেন হারিয়ে ফেলেছিল সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বেলের চমৎকার ক্রস থেকে গোল করতে পারেননি রোনালদো। এই মিসটি তাঁকে যথেষ্টই পোড়াবে। ওটামেন্ডির ভুলে আবারও গোল খেতে বসেছিল সিটি। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি রিয়াল। ৫৫ মিনিটে কারভাহালের পাস থেকে আবারও বল পেয়ে রোনালদোর মিস। দারুণ খেলেছেন বেল। ফল-নির্ধারক গোলটি তো বটেই, খেলায় রিয়ালের বেশ কয়েকটি সুযোগের উৎসমূল তিনিই। ম্যাচের একেবারে মেষ মুহূর্তে সার্জিও আগুয়েরোর একটি শট ক্রসবার ছুঁয়ে বাইরে চলে চলে গেলে ‘মাদ্রিদময়’ ফাইনাল নিশ্চিতই হয়ে যায়।
ম্যাচ শেষে দারুণ উচ্ছ্বসিত সার্জিও রামোস বলেছেন, ‘ফাইনালটা কীভাবে জিততে হয়, সেটা রিয়াল মাদ্রিদ খুব ভালো করেই জানে। এবারও আমরা মাঠে নেমে সেটাই করতে চাইব।’ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ২০১৩-১৪ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে তাঁর সেই যোগ করা সময়ে সমতা ফেরানো গোলটির কথা ভেবেই হয়তো তিনি এ কথা বলেছেন। ৯৩ মিনিটে রামোস গোলটা করতে না পারলে সেদিন কিন্তু অ্যাটলেটিকোই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত। রিয়াল তাদের চারটি গোলই করেছে ম্যাচের ৯০ মিনিট পার হয়ে যাওয়ার পর। এবার কি অ্যাটলেটিকোর প্রতিশোধ নেওয়ার পালা? নাকি রিয়ালের আবারও শিরোপা-উৎসব? উত্তর মিলবে ২৮ মে মিলানের ফাইনালে।
রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান ২০০২ সালে রিয়ালের খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছিলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ এবার কোচ হিসেবে ইউরোপ-সেরা সাফল্যের অংশীদার হওয়ার হাতছানি তাঁর সামনে। কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসেরও কম সময়ে এমন ট্রফি জয় জিদানকে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে। কালকের খেলা জিজুর মন না ভরালেও ফাইনালের মঞ্চে রিয়াল রিয়াল হিসেবেই দেখা দেবে বলে আশ্বাসও দিলেন ফরাসি কিংবদন্তি, ‘সেমিফাইনালে একটু ভুগতেই হয়। কিন্তু ফাইনালে ঠিকই দল ভালো খেলবে।’
ম্যানচেস্টার সিটির কোচ ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনি সেমির হারে দলের দুর্ভাগ্যকেই দায়ী করছেন, ‘আমরা ভালোই খেলেছি। কিন্তু কী একটা গোলে হারলাম! আমরা যেভাবে খেলেছি, তাতে ফাইনালেও যেতে পারতাম। মাঠে কিন্তু আমরা রিয়ালকে মোটেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে দিইনি।
For add
For add
For add
For add
for Add