for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৩ মে ২০১৬, মঙ্গলবার, ১৯:২৮:৩৬
টানা দুইবার আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বেড়ে গেছে কিশোরী ফুটবলারদের স্বপ্নের পরিধি। এশিয়ার গন্ডি পেড়িয়ে এখন তারা বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চায় আরও উপরে-খেলতে চায় ফিফা অনুর্ধ-১৭ ও ২০ মহিলা বিশ্বকাপ। এএফসি অনুর্ধ-১৪ বালিকা আঞ্চলিক (দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চল) হয়ে দেশে ফেরা কিশোরী ফুটবলারদের আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে সংবর্ধনা দিয়েছে বাফুফে। সেখানেই খেলোয়াড়-কোচদের মুখে ফুটেছে নারী ফুটবলে বাংলাদেশকে আরও বড় আসরে তুলে নেওয়ার কথা।
বাংলাদেশের কিশোরী ফুটবলাররা আবারও গলায় পড়েছে বিজয়ের মালা। সূদুর তাজিকিস্তানের মাটিতে জয়ের চিহ্ন এঁকেছে লাল-সবুজের বাহিনী। গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যারা প্রমাণ করলো, তারা যোগ্য দল হিসেবেই জিতেছে এই শিরোপা। গত রবিবার তাজিকিস্তানের দুশানবের এ্যাভিয়েটর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে ৪-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই শিরোপা জেতে বাংলাদেশ।
সোমবার রাতে বিমানযোগে তাজিকিস্তান থেকে বাংলাদেশে ফেরে ছোটন বাহিনী। বিমানবন্দরে তাদের বাফুফের কর্মকর্তারা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। করান মিষ্টিমুখও। দলের সাফল্যগাথা অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বাফুফে ভবনে তাদের আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেয় বাফুফে। সংবর্ধনার পৃষ্ঠপোষক ছিল বাংলাদেশ সুপার লিগের উদ্যোক্তা সাইফ পাওয়ারটেক। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ-১৪ জাতীয় বালিকা দলের কোচ, সহকারী কোচ, ম্যানেজার, ফিজিও, কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের ফুল, সুদৃষ্ট ক্রেস্ট এবং নগদ ১৫ হাজার টাকার আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের নব নির্বাচিত সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, সাইফ পাওয়ারটেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তরফদার মো. রুহুল আমিন, বাফুফের সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, জাকির হোসেন, অমিত খান শুভ্র এবং ফজলুর রহমান বাবুল।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয় মহিলা ফুটবলের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত সিরাজুল ইসলাম বাচ্চুকে। এছাড়া দলের অধিনায়ক মারজিয়া এবং টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা তহুরা খাতুনকে উৎসাহিত করতে তাদের হাতে একটি নতুন ফুটবল তুলে দেন শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর এবং মহিউদ্দিন আহমেদ মহি এবং অমিত খান শুভ্র।
তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘আমরা মেয়েদের ফুটবলের এই সাফল্যে অনেক খুশি। তাদের উন্নয়নের জন্য আমরা পৃষ্ঠপোষকতা করতে আগ্রহী।’মহিলা ফুটবল উইংয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন,‘অনেক প্রত্যাশা ছিল আমরা ব্যাক টু ব্যাক শিরোপা জিতবো। না জিততে পারলে আমাদের মনোবল ভেঙ্গে যেতো। আমাদের ভবিষ্যত লক্ষ্য হচ্ছে ফিফা অনুর্ধ-১৭ এবং ২০ ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের মূলপর্বের খেলার যোগ্যতা অর্জন করা।’
দলের অধিনায়ক মারজিয়া বলেন‘বিকেএসপিতে আমরা খুব ভালভাবে ট্রেনিং করেছিলাম। টার্গেট ছিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। কোচ স্যারের নিদের্শমতো শৃঙ্খলা মেনে চলেছি সবাই। ওখানে আমাদের খেলা দেখে সবাই পছন্দ করেছে। ভারতকে হারিয়ে সবার প্রশংসা পেয়েছি। আমরা আরও সামনে এগিয়ে যেতে চাই। এজন্য সবার সাহায্য-সহযোগিতা চাই।’
বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন বলেন,‘আমার অন্তরের অন্তঃস্থলের তোমাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তোমাদের এই অসাধারণ সাফল্যে আমি গর্বিত। অভিনন্দন তোমাদের। আশা করি তোমরা আগামীতে আরও অনেক সাফল্য পাবে। দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। আজকের এই অনুষ্ঠানের সবটুকু আলো, প্রশংসা তোমাদের জন্যই।’
এই আসরে গ্রুপ পর্বে ভারতকে ৩-১ এবং নেপালকে ৯-০ গোলে বিধ্বস্ত করে সেমিতে ওঠে বাংলাদেশ। এরপর স্বাগতিক তাজিকিস্তানকে ৯-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে নাম লেখায় বাংলাদেশের মেয়েরা।
For add
For add
For add
For add
for Add