for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৭ এপ্রিল ২০১৬, বুধবার, ২১:৩২:১৪
১৯৭৪ সালের সেই হারের ক্ষত প্রলেপ দিতে পারবে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ? নাকি আবারও অ্যাটলেটিকোকে কাঁদিয়ে বায়ার্ন মিউনিখই হাসবে জয়ের হাসি?
আজ (বুধবার) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে অ্যাটলেটিকো ও বায়ার্ন। তার আগে এই প্রশ্নটাই ঘুরে ফিরে আসছে বারবার। ফিরে ফিরে আসছে ১৯৭৪ সালের ইউরোপিয়ান কাপের সেই ফাইনালের স্মৃতি। ১৯৭৪ সালের ১৫ জুন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ফাইনালটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। কিন্তু টাইব্রেকারের নিয়ম না থাকায় ম্যাচটি পুনরায় অনুষ্ঠিত হয় ১৭ জুন। ফিরতি ম্যাচে ৪-০ গোলে প্রথম বারের মতো ইউরোপের সেরা ক্লাবের মুকুট মাথায় তুলে জার্ড মুলার-ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ারদের বায়ার্ন। সেই ইউরোপিয়ান কাপই নাম বদলে বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। কিন্তু ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোর দ্বৈরথে এই দুই দল আর মুখোমুখি হয়নি কখনোই। দীর্ঘ ৪২ বছর পর যখন দল দুটি একে অন্যের মুখোমুখি, সঙ্গত কারণেই ভেসে উঠছে সেই স্মৃতি। অ্যাটলেটিকো প্রতিশোধ নিতে পারবে?
উত্তরটা কী হবে, সেটা এখনই বলার উপায় নেই। তবে অ্যাটলেটিকোর সামনে দারুণ সুযোগ ফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার। প্রথম লেগ ম্যাচটি যে অ্যাটলেটিকোর ঘরের মাঠ ভিসেন্তে কালদেরনে। যে মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের সর্বশেষ ১৬ ম্যাচের ১২টিতেই জিতেছে অ্যাটলেটিকো। সর্বশেষ ১৫ ম্যাচের ১৩টিতেই কোনো গোল হজম করতে হয়নি। দিয়েগো সিমিওনের দল উজ্জীবিত আরও একটা কারণে। কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে এই ভিসেন্তে কালদেরনেই বার্সেলোনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে ৩-২ অ্যাগ্রিগেডে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
বায়ার্নের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা কোচ পেপ গার্দিওলা। খেলোয়াড়ী জীবনে তো বটেই, বার্সেলোনার কোচ হিসেবেও অনেকবারই অ্যাটলেটিকোর মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। অ্যাটলেটিকোর দুর্বলতাটা কোথায় সেটা তাই তার খুব ভালো জানা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বশেষ ছয়বারই সেমিফাইনালে খেলা বায়ার্নের জন্য ভয়ের তথ্য একটাই, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের সর্বশেষ ৭টি অ্যাওয়ে ম্যাচেই জয়হীন তারা। তবে গার্দিওলাকে আশাবাদী করছে তাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স। টমাস মুলার ও রবার্ট লেভাডভস্কি, দুজনেই আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বশেষ ১৭ ম্যাচে ১৫ গোল করেছেন মুলার। লেভাডভস্কি এই মৌসুমে করেছেন ৮ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চার সেমিফাইনালিস্টের মধ্যে দলগত ভাবেও মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোল করেছে বায়ার্নই, ২৮টি। এটা যদি বায়ার্নকে সবচেয়ে আক্রমণাত্মক দল হিসেবে প্রমাণ করে, তবে রক্ষণ শক্তিমত্তায় অ্যাটলেটিকোই সবার চেয়ে এগিয়ে। সর্বশেষ ১৫ ম্যাচের ১৩টিতে গোল না হজম করাই তার প্রমাণ। ম্যাচের আগে ফুটবল বোদ্ধারা তাই একমত, আজ ভিসেন্তে কালদেরন বায়ার্নের আক্রমণভাগের সঙ্গে অ্যাটলেটিকোর রক্ষণভাগের লড়াইটা হবে জমজমাট।
For add
For add
For add
For add
for Add