for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০ মার্চ ২০১৬, রবিবার, ৪:২১:৪০
বিশ্বকাপ মানেই ভারতের কাছে পাকিস্তানের হার। এটা যেন অমোঘ সত্য। এই সত্য এবারও মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলো না পাকিস্তান। এ নিয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১১ বার মুখোমুখি হয়ে ১১বারই ভারতের কাছে হারলো পাকিস্তান। এবার ইডেনে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে পরাজয় বরণ করলো আফ্রিদিরা।
একটা ইতিহাস যে বদলাবে ইডেনে সেটা নিশ্চিত ছিল। প্রথমত, বিশ্বকাপে ভারতকে পাকিস্তানের কখনো হারাতে না-পারার ইতিহাস। দ্বিতীয়ত, ইডেন গার্ডেনে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের অপরাজেয়র ইতিহাস। ভারতই বদলালো নিজেদের ইতিহাস। পাকিস্তান পারলো না।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ১৮ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১১৮ রান করে পাকিস্তান। জবাবে বিরাট কোহলির দারুণ এক ফিফটিতে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।
ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৮টায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইডেনের আউটফিল্ড ভেজা থাকার কারণে ম্যাচটি শুরু হয় এক ঘণ্টা পর রাত ৯টায়। ম্যাচের দৈর্ঘ্যও তাই কমে আসে ১৮ ওভারে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের শুরু থেকেই চেপে ধরেন ভারতীয় বোলাররা। আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে ৭.৪ ওভারে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে ফিরে যান শারজিল খান। সুরেশ রায়নার বলে হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হন শারজিল (২৪ বলে ১৭)। স্কোরবোর্ডে আর ৮ রান যোগ হতেই শেহজাদও সাজঘরের পথ ধরেন। জাসপ্রিত বুমরাহর বলে রবীন্দ্র জাদেজার হাতে ধরা পড়েন শেহজাদ (২৮ বলে ২৫)।
আগের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে চারে নেমে ১৯ বলে ৪৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলা শহীদ আফ্রিদি এদিন ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে আরো ওপরে তুলে আনেন। কিন্তু এদিন ব্যাট হাসেনি পাকিস্তান অধিনায়কের। তিনে নেমে ১৪ বলে মাত্র ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। পান্ডিয়ার অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপে বিরাট কোহলির তালুবন্দি হন আফ্রিদি।
এরপর চতুর্থ উইকেটে উমর আকমল ও শোয়েব মালিক জুটি দ্রুতগতিতে রান তুলে দলের স্কোর ১০০ পার করেন। এর পরেই আকমলকে ফিরিয়ে ৪১ রানের ৪ ওভার স্থায়ী জুটি ভাঙেন জাদেজা। মহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লাভসে ধরা পড়েন আকমল (১৬ বলে ২২)। পরের ওভারে আশিস নেহরার বলে মালিকও আউট হয়ে যান (১৬ বলে ২৬)।
আকমল ও মালিকের বিদায়ের পর পাকিস্তানের রান তোলার গতিও কমে আসে। শেষ ১০ বলে বাউন্ডারি আসে মাত্র একটি! সরফরাজ আহমেদ ৮ ও মোহাম্মদ হাফিজ ৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতের পক্ষে নেহরা, বুমরাহ, রায়না, জাদেজা ও পান্ডিয়া- প্রত্যেকেই নেন একটি করে উইকেট।
স্বল্প পুঁজি নিয়েও বোলিংয়ের শুরুটা ভালোই করেছিল পাকিস্তান। ২৩ রানের মধ্যেই তুলে নেয় ভারতের ৩ উইকেট। এর মধ্যে শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নাকে পর পর দুই বলে বোল্ড করেন মোহাম্মদ সামি। তার আগে তৃতীয় ওভারে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। একমাত্র রোহিতই দুই অঙ্ক ছুতে পেরেছেন (১০)।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়লেও চতুর্থ উইকেটে যুবরাজ সিংয়ের সঙ্গে ৬১ ও পঞ্চম উইকেটে ধোনির সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটি গড়ে ভারতকে জয় এনে দেন কোহলি। ৩৭ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন কোহলি। ৯ বলে ১৩ করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। আর যুবরাজ ২৩ বলে ২৪ করে আউট হন।
For add
For add
For add
For add
for Add