for Add
রা’আদ রহমান : ১৪ মার্চ ২০১৬, সোমবার, ১৯:২০:২৭
ক্রিকেটবিশ্বে তার আবির্ভাব হয়েছিল ধুমকেতুর মত। ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে একাই কাটারের মায়াবী বিষে নীল বানিয়ে আগমনীবার্তা দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন তারপর থেকে। আরো একবার খবরের শিরোনাম হলেন মুস্তাফিজ। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা অভিষিক্ত ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মুস্তাফিজ। ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা ও মনোনীত বিচারকদের মাসব্যাপী ভোটাভুটিতে বাঘা বাঘা সব নবাগতদের পেছনে ফেলে সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সাতক্ষীরার এই বিস্ময় বালক।
গত বছর পাকিস্তান সিরিজে টি-টোয়েন্টি দিয়ে প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখেন মুস্তাফিজ। শাদামাটা ফার্স্ট ক্লাস ক্যারিয়ারের কারণে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক নিয়ে অনেকেরই ভুরু কুঁচকে গিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৪ ওভারের সেই স্পেলে মোহাম্মদ হাফিজ ও শহীদ আফ্রিদির উইকেট নিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। দূর করে দিয়েছিলেন সব সংশয়। তারপর ২০১৫ সালের ১৮ই জুন ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাঁচ উইকেট আর দ্বিতীয় ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে তোলপাড় করেন ক্রিকেটবিশ্ব। বিশেষ করে তার মারাত্মক সব কাটারের বিষে ভারতের বিশ্বখ্যাত ব্যাটিং লাইনআপের স্বনামধন্য ব্যাটসম্যানদের স্রেফ ব্যাটিং ভুলে যাওয়া দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সবাই। এমনকি ভারতের ব্যাটসম্যানরাও স্বীকার করেছেন যে মুস্তাফিজের ডেলিভারিগুলোর জবাব তাদের কাছে ছিল না। আর ভারতের দু’ম্যাচে ১৩ উইকেটের এই বিশ্বরেকর্ডটা যে স্রেফ ফ্লুক ছিল না, তার প্রমান পরের সিরিজেই দক্ষিণ আফ্রিকানদের অসহায় আত্মসমপর্ন।
কি ওয়ানডে, কি টেস্ট- হাশিম আমলা-ডি ভিলিয়ার্সরা স্রেফ হাবুডুবু খেলেন মুস্তাফিজের বলের সামনে। মুস্তাফিজের হাত ধরেই প্রথমবারের মত ভারত ও দক্ষিন আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজ হারায় বাংলাদেশ। মাত্র ৯ ম্যাচে ১২.৩৪ গড়ে ২৬ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ওভারে তিন উইকেট নেন, যার মধ্যে হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি হয়েছিল একবার। প্রথম বাংলাদেশী পেসার হিসেবে আইসিসির বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে স্থান করে নেন মুস্তাফিজ। পারফর্মেন্সের দ্যুতিতে আপন যোগ্যতায় তিনি কাউন্টি দল সাসেক্সে জায়গা করে নেন। সুতরাং গ্রেগ চ্যাপেলের নেতৃত্বে বিচারকদের তাকে বর্ষসেরা হিসেবে বেছে নিতে খুব বেশি ভাবতে হয়নি।
এছাড়াও তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকারের ওপেনিং জুটিটি ইএসপিএন ক্রিকইনফো’র চোখে গত এক বছরে রথী-মহারথীদের পেছনে ফেলে ‘সেরা ওপেনিং জুটি’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। গত ১০ ইনিংসে এই জুটি ৫৪ গড়ে তুলেছে ৫৬৮ রান। যার মধ্যে রয়েছে তিনটি সেঞ্চুরি জুটি। ওভার প্রতি ৫.৬৮ রান তুলে পেছনে ফেলেছে ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ও মার্টিন গাপটিলের ওপেনিং জুটিকে।
এছাড়াও আরো সাত ক্যাটাগরিতে ইএসপিএনের বর্ষসেরা পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শ্রীলংকার সাথে ২৪২ রানের ইনিংসটির জন্য সেরা টেস্ট ব্যাটিঙয়ের পুরস্কার পেয়েছেন কেন উইলিয়ামস। ট্রেন্টব্রিজে অস্ট্রেলিয়াকে একাই ধসিয়ে দেওয়া ১৫ রানে ৮ উইকেটের সেই মারাত্মক স্পেলটির জন্য বর্ষসেরা বোলারের পুরস্কারটি গেছে স্টুয়ার্ট ব্রডের দখলে। ওয়ান্ডারার্সে ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৯ বলে ১৪৪ রানের ইনিংসটির জন্য সেরা ওয়ানডে ব্যাটসম্যান হয়েছেন এ বি ডি ভিলিয়ার্স। মিচেল স্ট্রার্ককে পেছনে ফেলে ওয়ানডের সেরা বোলার নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি। সেরা অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম। টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিস গেইল, সেরা বোলার দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়াইজ শাহ।
For add
For add
For add
For add
for Add