for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৬ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ১:১০:১৯
আগের দিনই উত্তরাঞ্চলের ৫ উইকেট ছেঁটে বিশাল জয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি করে রেখেছিল ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। কিন্তু শেষ দিনে চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তায় ম্যাচ বাঁচানোর আশা জাগিয়েছিলেন মার্শাল আইয়ুব ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদের ঝলকে ভেঙ্গে যায় তাদের প্রতিরোধ। আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় বিশাল ব্যবধানেই জিতেছে মধ্যাঞ্চল।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিসিএলের প্রথম রাউন্ডে বিসিবি উত্তরাঞ্চলকে ইনিংস ও ৭০ রানে হারিয়েছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১৯ রানে গুটিয়ে ম্যাচের লাগাম হারিয়েছিল উত্তরাঞ্চল। জবাবে প্রথম ইনিংসেই ৩ উইকেটে ৫৬৩ রান করে ৩৪৪ রানের লিড নিয়ে নেয় মধ্যাঞ্চল। ম্যাচ বাঁচানোর পরিস্থিতিতে নেমে শেষ দিনে ২৭৪ রানে থেমেছে উত্তরাঞ্চল।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ১৭২ রান নিয়ে নেমে মার্শাল-অঙ্কন মিলে পার করে দেন সকালের সেশন। দুজনের মধ্যে দেখা যায় টেম্পারমেন্টের সর্বোচ্চ নিদর্শন। এই দুজনকে আলগা করতে না পারায় হতাশা বাড়ছিল মধ্যাঞ্চলের।
আগের দিন ৩ উইকেট তুলে ভেল্কি দেখিয়েছিলেন যে মুরাদ তিনিই আনেন প্রত্যাশিত ব্রেক থ্রো। প্রায় ৬০ ওভার ক্রিজে আঁকড়ে জুটিতে ৯০ রান তোলার পর বিদায় নেন অঙ্কন। ১৬৩ বলে ২৫ রান করা এই কিপার ব্যাটসম্যানকে দারুণ এক ডেলিভারিতে সিলি পয়েন্টে ক্যাচ বানান মুরাদ।
খানিক পর সেঞ্চুরি করা মার্শাল নেন বিদায়। পেসার রবিউল ইসলামের বলে ১০১ রান করে আউট হন তিনি। ২৪৬ বলের ইনিংসে মার্শাল মেরেছেন ১৪ চার।
এরপর ধস নামে উত্তরের ইনিংসে। সানজামুল, আরিফুল হক, শফিকুল ইসলামকে ছেঁটে ৬ শিকার ধরেন মুরাদ। রবিউল ফেরান আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে। আচমকা ধসে ১৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হেরে যায় উত্তরাঞ্চল।
মধ্যাঞ্চলকে বড় জয়ের ভিত করে দেন তাদের ব্যাটসম্যানরাও। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৩২৭ রান। প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই করেন সেঞ্চুরি, পরের দুজনের ব্যাট থেকে আসে ফিফটি। সর্বোচ্চ ১৭৬ রান করেন মোহাম্মদ মিঠুন, মিজানুর রহমান করেন ১৬২ রান। তিনে নেমে সৌম্য সরকার অপরাজিত থাকেন ১০৪ রানে। সালমান হোসেন ৫৩ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত করেন অপরাজিত ৫০ রান।
Tags: বাংলাদেশ-ক্রিকেট-লিগ, বিসিএল
For add
For add
For add
For add
for Add