for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৭ মে ২০১৬, শনিবার, ২০:২৩:১১
দুরন্ত এক জয়ে মার্সেল ক্লাব কাপ হকির ফাইনালে উঠেছে আবাহনী লিমিটেড। আজ (শনিবার) মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আবাহনী ৩-২ গোলে মেরিনার্সকে পরাজিত করে। গতকাল(শুক্রবার) প্রথম সেমিফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় ছিল উষা। দ্বিতীয় সেমিতে শেষ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন আবাহনীর পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড শাফকাত রাসুল।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে বসেছিল বিদেশি খেলোয়াড়দের মেলা। মেরিনার্সে খেলেছেন জার্মানির নিকোলা হেইঞ্জ, কেনিয়ার গোলরক্ষক লিনাস কিপকেমবই ও মিডফিল্ডার ওকিও উইলস। এছাড়া মালয়েশিয়ান দুই মিডফিল্ডার জিয়া মোহন ও জীবন মোহন। আবাহনীর হয়ে খেলেছেন চার পাকিস্তানি শাকিল আব্বাসি, তোসিক আরশাদ, শাফকাত রাসুল ও মো. ইরফান। এর মধ্যে আবাহনীর শাফকাত রাসুল করেছেন দুটি গোল। তবে আবাহনী কৃতজ্ঞ থাকবে তাদের তরুণ মিডফিল্ডার রোম্মান সরকারের কাছে। আবাহনীর জয়ের প্রদীপ যখন নিভু নিভু তখন তিনিই ইন্টারসেপ্ট করেন মেরিনার্স অধিনায়ক চয়নের হিটটি। বল বাড়িয়ে দেন তোসিক আরশাদকে; তার পাসেই জয়সূচক গোলটি করেন শাফকাত।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলার সূচনা লগ্ন। মাঠ বড় করে আবার ছোট করে খেলে দুই দলই, তবে আবাহনীর পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা খুব একটা ভালো সেবা দিতে পারেননি দলকে। শাফকাত রাসুলই ছিলেন ব্যতিক্রম।
খেলার চার মিনিটে প্রথম পেনাল্টি কর্নার থেকে এগিয়ে যায় আবাহনী। শাফকাক রাসুলের পুষে স্টপ করেন রোম্মান। তোসিক আশরাফ নিচু শটে গোল করেন। ১২ মিনিটে সমতা আনে মেরিনার্স, এটিও পেনাল্টি কর্নারের গোল। ফজলে হোসেন রাব্বির পুশ, শিশিরের স্টপের পর চয়ন হিট না নিয়ে বল পাঠিয়ে দেন রাব্বিকে, কোনাকুনি হিটে তিনি গোল করেন।
পেনাল্টি কর্নারেই মেরিনার্সের বেশি দ্ক্ষতা আবার প্রমাণে ২৬ মিনিটে দলের পঞ্চম পেনাল্টি কর্নারে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মামুনুর রহমান চয়ন। দ্বিতীয়ার্ধে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে খেলে আবাহনী। মূলত জয়ের নেশাই তাদের ধাবিত করে, আর এটিই গড়ে দেয় ব্যবধান। ৫৫ মিনিটে একক নৈপুণ্যে বক্সের ওপর থেকে প্রচণ্ড রিভার্স হিটে সমতাসূচক গোলটি করেন রোম্মান। আর ৬৯ মিনিটে তিনি মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণে নেন চয়নের একটি ক্লিয়ারেন্স, দ্রুত গতিতে তিনি বল পুশ করেন তোসক আশরাফকে। বক্সের বাম প্রান্ত থেকে তার আড়াআড়ি পাসে পুশ করে গোল করেন শাফকাত রাসুল। ম্যাচ জয় নিশ্চিত হয়ে যায় আবাহনীর।
For add
For add
For add
For add
for Add