for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৬ এপ্রিল ২০১৬, মঙ্গলবার, ২১:৫০:৪০
লটারি ভাগ্যে শক্তিশালী দল পাওয়া মানেই যে জয়ের নিশ্চয়তা নয়, সেটা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই টের পেয়েছে আবাহনী। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে আজ তারকাবহুল আবাহনী হেরে গেছে শেখ জামাল ধানমন্ডির কাছে। আরও একটু স্পষ্ট করে বললে, আবাহনী আসলে ধরাশায়ী মাহবুবুল করিমের কাছে।
ডানহাতি এই ওপেনারের ১৩০ রানের ইনিংসের সুবাদেই শেখ জামাল উতরাতে পেরেছে আবাহনীর ছুড়ে দেওয়া ২৮৮ রানের লক্ষ্য। পেয়েছে ৪ উইকেটের জয়। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমীর বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেও শেখ জামাল ৮ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছিল এই মাহবুবুল করিমের ব্যাটে চড়েই। ১৫৩ রানের জয়ের লক্ষ্যে মাহবুবুল করিম করেছিলেন ৭৮ রান।
আজ (মঙ্গলবার) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তিন হাফসেঞ্চুরিতে ২৮৭ রানের বড় পুঁজিই পেয়েছিল আবাহনী। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ১১ চারের সহায়তায় ৯১ বলে করেন ৯০ রান। ভারতীয় ক্রিকেটার কাউল ৬৩, শান্ত অপরাজিত ৫২ ও মোসাদ্দেক হোসেন অপরাজিত থাকেন ৪৬ রান করে।
২৮৮ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেখ জামাল উদ্বোধনী জুটিতে করে ৬৭ রান। ২৬ রান করে জয়রাজ শেখ ফিরে যাওয়া পর মার্শাল আইয়ুবকে (৪৭) নিয়ে মাহবুবুল করিম দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১২৫ রানের জুটি। এরপরও অবশ্য শেখ জামালকে জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ বল পর্যন্ত। হয়েছে নখ কামড়ানো উত্তেজনাকর নাটকও। শেষ ওভারে জয়ের জন্য শেখ জামালের দরকার ছিল ৭ রান। তাসকিন আহমেদ প্রথম দুই বলে তুলে নেন দুই উইকেট। ফেরান অ্যাঞ্জেলো পেরেরা ও নাজমুস সাদাতকে। তৃতীয় বলে মুক্তার আলী নেন ১ রান। চতুর্থ বল ডট। পঞ্চম বলে সোহাগ গাজী নিতে পারেন মাত্র ১ রান। শেষ বলে তাই শেখ জামালের দরকার ছিল ৫ রান। স্ট্রাইকে মুক্তার আলী। হঠাৎ করেই ঘুড়ে যাওয়া ম্যাচে আবাহনীর পাল্লাই ভারি মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু মিরপুরে মুক্তার আলী ফিরিয়ে আনেন ১৯৮৬ সালে শারজায় পাকিস্তান কিংবদন্তি জাদেভ মিয়াদাদের সেই শেষ বলে জয় মেরে জয় ছিনিয়ে আনার স্মৃতি। এক অর্থে মিয়াদাদকেও টপকে গেছেন মুক্তার! কারণ ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের সেই ফাইনালে জয়ের জন্য শেষ বলে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৪ রান। আজ জয়ের জন্য শেষ বলে শেখ জামালের দরকার ছিল ৫ রান! মুক্তার তাসকিনকে উড়িয়ে মারেন মাঠের বাইরে, ছক্কা! শেখ জামাল পেয়ে যায় অবিশ্বাস্য জয়!
For add
For add
For add
For add
for Add