for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৩ মার্চ ২০২২, বুধবার, ১৯:০৩:৪১
ঐতিহ্য এবং শক্তির বিচারে যোজন যোজন এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে শুরুতে ভাল চ্যালেঞ্জ জানায় ইরাক। হাসান ফায়েজ-মোহাম্মদ হাদিদের দুর্দান্ত রেইডে কিছুটা এলোমেলো হয়ে যান তুহিন তরফদার-আরদুজ্জামান মুন্সিরা। বাংলাদেশের চারজনকে আউট করে ১০-১০ পয়েন্টে সমতা আনেন ফায়েজ।
শুরুতে খেই হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ এরপর জেগে ওঠে। রাজিব আহমেদ-জাকিররা পয়েন্ট ছিনিয়ে আনার সঙ্গে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে আটকে পয়েন্টের ব্যবধান বাড়াতে থাকেন। দু’বার ইরাককে অলআউট করা স্বাগতিকরা প্রথমার্ধে ৩০-১৭ পয়েন্টে এগিয়ে যায়।
পয়েন্টের এই ব্যবধান বিরতির পরও ধরে রাখা সাজুরামের দল দ্বিতীয়বারের মতো চলে যায় বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডির ফাইনালে। আজ বুধবার শহীদ নূর হোসেন ভলিবল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে তিনটি লোনাসহ ইরাককে ৫৫-৩৬ পয়েন্টে হারিয়ে শিরোপামঞ্চে লাল সবুজের দলটি।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে কেনিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। আফ্রিকান দেশটি প্রথম সেমিফাইনালে শ্রীলংকাকে ৪৯-২৯ পয়েন্টে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জাতির পিতার নামের এ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের জাকির হোসেন। তার হাতে ১০ হাজার টাকার চেক ও ক্রেস্ট তুলে দেন এশিয়ান কাবাডি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সারোয়ার এবং বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ও পুলিশের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
কাবাডিতে ইরাকের পথচলা খুব বেশিদিন হয়নি;মাত্র ছয় বছর। এই অল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি নিজেদের অনন্য নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। শেষ চারে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াকু মনোভাব দেখান তারা। তবে কৌশলে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে পেরে উঠেনি ইরাক। ম্যাচে স্বাগতিকদের জয়ের টার্নিং পয়েন্ট ছিল প্রথম ২০ মিনিটে দু’বার ইরাককে অলআউট করা।
দারুণ রেইড করা হাসান ফায়েজ ও হাদিকে টার্গেট করেন তুহিনরা। শুরুতে না পারলেও ইরাকের দুই তারকার দুর্বল জায়গাগুলো দ্রæতই চিহ্যিত কওে সাজুরামের দল। যে কারণে প্রথমার্ধেও চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে পয়েন্ট পেতে কষ্ট কিছুটা কম করতে হয়েছে স্বাগতিকদের। এই অর্ধেও ইরাককে একবার অলআউট কওে তারা।
কিন্তু শেষ দিকে গিয়ে ছন্দপতন হয় লাল সবুজের দলটির। এক পর্যায়ে অলআউট হওয়ার শংকা জাগে। একা হয়ে পড়া তুহিন এক পয়েন্ট ছিনিয়ে আনেন। ইরাকের নাম্বার নাইন ফায়েজকে আটকে ফেলার পর অলআউট শংকা উবে যায়। ম্যাচের শেষ মিনিটে তুহিন একাই চার পয়েন্ট আনলে ফাইনালে উঠার আনন্দে মেতে উঠে পুরো গ্যালারি।
For add
For add
For add
For add
for Add