for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১১ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ০:৪৭:২১
ঢাকা বিভাগের বাকি ২ উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে লক্ষ্যটা সহজ রাখলেন নাসুম আহমেদ। কিন্তু এই বাঁহাতি স্পিনারের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের পর চূড়ান্তভাবে হতাশ করল তার সতীর্থ ব্যাটাররা। ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়ে একশর নিচে গুটিয়ে গিয়ে নাটকীয়ভাবে হেরে গেল সিলেট বিভাগ।
বুধবার জাতীয় লিগের (এনসিএল) চতুর্থ রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচে ৩ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে ঢাকা। চলতি আসরে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। বিপরীতে সিলেটের এটি তৃতীয় হার।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চতুর্থ ও শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই হয়েছে ম্যাচের ফয়সালা। আগের দিনের ৮ উইকেটে ২৩৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৪৩ করে। এতে সিলেটের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১০২ রানের। কিন্তু নাজমুল ইসলাম অপু, সুমনা খান ও তাইবুর রহমানরা সেই অনায়াস সমীকরণ মেলাতে দেননি। স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে থামে মাত্র ৯৮ রানে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরে একদিন পরেই সিলেটের হয়ে খেলতে নামা নাসুমের নৈপুণ্য গেছে বিফলে। ঢাকার প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি শিকার করেন ৭০ রানে ৫ উইকেট। সবমিলিয়ে ১২ উইকেট দখল করতে তার খরচা ১১৩ রান। প্রথম শ্রেণিতে এটাই তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং।
দিনের পঞ্চম ওভারে অপুকে বিদায় করেন নাসুম। তার পরের ওভারে এনামুল হক হন স্টাম্পড। ফলে আগের দিনের সংগ্রহের সঙ্গে আর মাত্র ৯ রান যোগ করে থামে ঢাকার ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ডানহাতি পেসার সুমনের তোপে পড়ে সিলেট। দলীয় ১৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও সায়েম আহমেদকে সাজঘরে পাঠান তিনি। এই ধাক্কা সামলে না নিতে পেরে আরও বিপর্যয়ে পড়ে তারা।
অপুর বলে অধিনায়ক জাকির হাসান এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ার পর দ্রুত ফেরেন অভিজ্ঞ অলক কাপালিও। একে একে তাদের পথে হাঁটেন রাহাতুল ফেরদৌস, অমিত হাসান, শাহানুর রহমান ও জাকের আলী। ফলে স্কোরবোর্ডে ৫৩ রান জমা হতেই ৮ উইকেট খুইয়ে ফেলে সিলেট।
নবম উইকেটে নাসুম ও রেজাউর রহমান রাজা গড়েন পাল্টা প্রতিরোধ। তাদের জুটিতে একটু একটু করে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকে সিলেট। কিন্তু জয়ের জন্য যখন তাদের আর প্রয়োজন মাত্র ১৩ রান, তখনই ঢাকা আনে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু। তাইবুরের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাসুম। ৩৬ রানের জুটিতে তার অবদান ৫৮ বলে ১৯।
এরপর ঢাকাকে রুদ্ধশ্বাস জয় পাইয়ে দেন অপু। তার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান ইবাদত হোসেন। রাজা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রানে অপরাজিত থাকেন ৪৯ বল খেলে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি স্পিনার অপু দ্বিতীয় ইনিংসে পান ৪৩ রানে ৪ উইকেট। সুমন ও তাইবুরের শিকার দুটি করে উইকেট।
Tags: নাসুম-আহমেদ, বাংলাদেশ-ক্রিকেট
For add
For add
For add
For add
for Add