for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৬ জুন ২০১৬, রবিবার, ২০:২০:১৭
ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালের আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আরামবাগ অধিনায়ক মিতুল হাসান যতটুকু কথা বললেন, তার পুরোটা জুড়েই থাকলেন কোচ সাইফুল বারী টিটো। সাধারন মানের দল হয়েও আরামবাগের ফাইনালে ওঠে আসাতে পরার পুরো কৃতত্ব তিনি দিতে চাইলেন দেশের অন্যতম সেরা কোচকে, ‘গত চার মাস টিটো ভাইয়ের অধীনে যে কাজ করেছি, তার ফল আমরা পেয়েছি এটাই বড় পাওনা।’ আগামীকাল (সোমবার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে তিনটায় ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনালের লড়াই। যেখানে এই আরামবাগের প্রতিপক্ষ ঢাকা আবাহনী।
সাইফুল বারী টিটো সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখেন। অবনমনিত হওয়ার এক মৌসুম পর আবারও পেশাদার লিগের সর্বোচ্চ স্তরে ফিরেছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। যে দলটির পক্ষে কখনও কেউ বাজি ধরার সাহস দেখায়নি। সেই দলটিকেই মৌসুমের দ্বিতীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে তুলে এনেছেন টিটো। স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী সহ শেখ রাসেল, শেখ জামালের মত দল যেখানে শুধুই দর্শক মাত্র।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা আবাহনীকে হারিয়ে চকমের শুরু আরামবাগের। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে সকার ক্লাব ফেনীর বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে আসে তারা। কোয়ার্টারে পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালকে টাইব্রেকারে হারানোর পর সেমিফাইনালে প্রথমে পিছিয়ে গিয়েও টিম বিজেএমসিকে হারায় ৩-১ গোলে। এবার যাদের হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের মিশন শুরু, কাল শেষ আবানীর বিপক্ষেই ফাইনালের লড়াই আরামবাগের।
অপরদিকে আবাহনী প্রথম ম্যাচে হারার পর তাদের কোয়ার্টারে ওঠাটা পড়ে গিয়েছিল হুমকির মুখে। পরে অবশ্য ভাগ্যের সহায়তায় শেষ আটের টিকেট পায় তারা। কোয়ার্টারে ব্রাদার্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিতে একই ব্যাবধানে শেখ রাসেলকে পরাজিত করে ধানমন্ডির দলটি। টুর্নামেন্টের শুরুতে যাদের ছন্দে দেখা না গেলেও পরে প্রদর্শন করেছে নিজেদের সর্বোচ্চটা।
তবে এই আবাহনীর বিপক্ষে ফাইনালের লড়াইয়ে নামার আগে সাইফুল বারী টিটো বলেলেন জেতার জন্যই খেলবে তার দল, ‘যে টিমই ফাইনালে আসে তারা জেতার জন্য খেলতে চায়। আমাদের সেই চেষ্টাটাই থাকবে আগামীকালের খেলায়।’
টিটো মনে করিয়ে দিলেন তাঁর ছাত্রদের হার না মানার মানসিকার কথাও, ‘ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা টিমের মধ্যে কাজ করছে। ফাইনালের আগে এই জিনিসটার ব্যাপারে সবাই বদ্ধ পরিপক।’
তবে গ্রুপ পর্বে আবাহনীকে হারালেও ফাইনারের আগে টিটো পূর্ণ শ্রদ্ধাই দেখালেন প্রতিপক্ষকে, ‘আবাহনী এই সিজনে অন্যতম সেরা একটি দল। দেশী এবং বিদেশী খেলোয়াড় মিলিয়েই ওরা বেশ শক্তিশালী।’ ‘আমার স্টেটেজি হবে প্লেয়ারের এবিলিটি এবং কোয়ালিটি অনুযায়ী। এর বাইরে গিয়ে খেলাটা কষ্টকর ব্যাপার। আমার এবিলিটি এবং কোয়ালিটি অনুয়ায়ি খেলবো’, যোগ করেন সাইফুল বারী টিটো।
তবে ফাইনালের আগে দুজন খেলোয়াড়ের ইনজুরি কিছুটা ভাবাচ্ছে আরামবাগকে। মনসুর আমিন এবং লিটনকে আজ (রবিবার) প্যাকটিসে দেখার পরই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আরামবাগ কোচ।
অপরদিকে এর ঠিক বিপরীত চিত্র আবাহনরী শিবিরে। ফাইনালের আগে দুই নির্ভর যোগ্য খেলোয়াড় লিটাক এবং তপু বর্মন ইনজুরি থেকে পুরোপরি সেরে ওঠায় বেশ ফুরফুরেই আছে আকাশি-নীল শিবির। জর্জ কোটানও তাই জয়ের আশা ব্যাক্ত করলেন জোরেশোরেই, ‘আরামবাগের বিপক্ষে বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলেও জিততে পারিনি। ছেলেরা অনেক সুযোগই কাজে লাগাতে পারেনি। কিন্তু এই ম্যাচে আর সেই দৃশ্য দেখতে চাই না। আমাদের যে প্রস্তুতি তাতে ওদের বিপক্ষে জয়ের সামর্থ আমাদের আছে সেটা দাপুটের সাথেই হবে।’
প্রথম ম্যাচের হারের ক্ষত মানসিক ভাবে আবাহনীকে কিছুটা পিছিয়ে রাখবে কিনা এব্যাপারে কোটানের মন্তব্য, ‘চাপটা আরামবাগের উপরই থাকবে। আমার ছেলেরা আমায় বলেছে তারা ওই ম্যাচে হারের প্রতিশোধ নিতে মুখিয়ে আছে।’
জর্জ কোটান আরামগাম এবং আবাহনীর পার্থক্য করলেন এভাবে, ‘আমরা আক্রমণাত্মক দল, আর আরামবাগ রক্ষণাত্মক টিম। ওরা আমাদের প্রথম ম্যাচে হারিয়েছে ঠিকই কিন্তু সেই ম্যাচে এগারো জন খেলোয়াড়ই ওরা ডি-বক্সের ভেতর থেকেছে।’
আবাহনীকে কাল জিততে হলে জর্জ কোটানের এই কথা মাঠে প্রমাণ করেই দেখাতে হবে আরিফুলদের।
For add
For add
For add
For add
for Add