for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৫ জুন ২০১৬, বুধবার, ১৭:৪৮:৩৫
প্রথম পর্বে একতরফা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই কি মাঠে নেমেছিল আবাহনী? লড়াইটা যখন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি মোহামেডানের বিপক্ষে তখন প্রতিশোধ শব্দটাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদি সত্যিই প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে থাকে আকাশি-নীলরা, তবে আজ (বুধবার)দলটিকে শুধু সফলই নয়, বলতে হবে সুপার সফল তারা। বিকেএসপিতে রেকর্ড গড়া ম্যাচে মোহামেডানকে ২৬০ রানে হারিয়ে একরকম লজ্জাই উপহার দিয়েছে সাকিব-তামিমের দল।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৭১ রানের পাহাড় গড়ে আবাহনী। ঢাকার ক্রিকেটে যা সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। গত লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার লিটন কুমার দাশ এবার লিগের শুরু থেকেই নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। আগের ম্যাচে কিছুটা আভাস ছিল নিজেকে ফিরে পাওয়ার। অবশেষে বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠলেন এই উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যান। ১৩৯ রানের ইনিংস খেলে নিজেকে ফিরে পাওয়ার ম্যাচটিকে রাখলেন স্মরনীয় করে। সঙ্গে ভারতীয় সাবেক উইকেট-কিপার ব্যাটসম্যন ডিনেস কার্তিকও খেলেছেন সেঞ্চুরি ইনিংস (১০৯)। সাকিব আল হাসান খেলেন অর্ধশতরানের (৫৭) ঝড়ো এক ইনিংস।
৩৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল সাদা-কালেরা। সব ব্যাটসম্যান মিলেও খেলতে পারেনি ২৫ ওভারও। ব্যাট হাতে অর্ধশত রানের ইনিংসের পর বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে মোহামেডান ইনিংসে ধস নামান সাকিব আল হাসান। নাইম ইসলামের করা ৩২ রান ছিল সাদা-কালোদের সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত ইনিংস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মুশফির।
এ ম্যাচে মোহামেডানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাইম ইসলাম। ম্যাচ সেরা হয়েছেন লিটন কুমার দাশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী: ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৭১/৫ (তামিম ২২, লিটন ১৩৯, শান্ত ৭, কার্তিক ১০৯, সাকিব ৫৭, মোসাদ্দেক ১৯*, আবুল হাসান ১২*; হাবিবুর ০/৩৩, ইমন ০/৩২, পেরেরা ১/৭৫, নাঈম ১/৪৫, এনামুল জুনিয়র ১/৮৪, ফয়সাল ০/৪৬, আরিফুল ২/৫৫)।
মোহমেডান: ২৪.৩ ওভারে ১১১ (সৈকত ৫, ইজাজ ৩, নাঈম ৩২, মুশফিক ২৬, পেরেরা ৫, আরিফুল ১৭, ফয়সাল ৩, মিলন ২, হাবিবুর ৪, ইমন ১১, এনামুল জুনিয়র ০*; তাসকিন ১/২২, সাকিব ৫/১৮, সাকলাইন ২/২৭, আবুল হাসান ০/১১, শান্ত ০/৭, মোসাদ্দেক ২/১২, অমিত ০/১৩)।
ফল: আবাহনী ২৬০রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: লিটন দাস।
For add
For add
For add
For add
for Add