for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৮ এপ্রিল ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ১৬:০৯:৩৮
রিয়াল মাদ্রিদ-বার্সেলোনার মত বড় দলগুলোকে হর হামেশাই হারিয়ে দিচ্ছে মাঝারি বাজেটের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। ইউরোপের বড় মঞ্চেও যেন সেটারই প্রতিচ্ছবি। বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলাও রুখতে পারলেন না ডিয়েগো সিমিওনের অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। ঘরের মাঠ ভিসেন্তে কালেদরনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ১ম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো গ্রিজম্যান-টরেসের দল। সেই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের ফাইনালে জার্মান দলটির কাছে হেরে যে স্বপ্ন ভেঙেছিল স্পেনের ক্লাবটির, সেটির জ্বালা জুড়ালো।
ম্যাচের আগে ফিরে ফিরে এসেছে ১৯৭৪ সালের ইউরোপিয়ান কাপের সেই ফাইনালের স্মৃতি। বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ফাইনালটি ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। কিন্তু টাইব্রেকারের নিয়ম না থাকায় ম্যাচটি পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়। ফিরতি ম্যাচে ৪-০ গোলে প্রথম বারের মতো ইউরোপের সেরা ক্লাবের মুকুট মাথায় তুলে জার্ড মুলার-ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ারদের বায়ার্ন। সেই ইউরোপিয়ান কাপই নাম বদলে বর্তমানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। কিন্তু ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোর দ্বৈরথে এই দুই দল আর মুখোমুখি হয়নি কখনোই। দীর্ঘ ৪২ বছর পর যখন দল দুটি একে অন্যের মুখোমুখি, সঙ্গত কারণেই ভেসে উঠেছে সেই স্মৃতি। অ্যাটলেটিকো কি প্রতিশোধ নিতে পারবে? বুধবার রাতে যেন সেই প্রতিশোধই নিল দিয়েগো সিমেওনের দল।
দুদলের লড়াই শুরুর পরই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে জমে উঠে খেলা। প্রথম ১০ মিনিটে আক্রমণে বেশি উঠে আসে স্বাগতিকরা, যার ফলও পায় তারা। ১১ মিনিটে একক নৈপুণ্যে আটলেটিকোকে এগিয়ে দেন সাউল নিগেস। প্রায় ৩৫ গজ দূরে বল পেয়ে বায়ার্নের দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। সেখানেও কাছাকাছি থাকা তিন ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে গোল করেন স্পেনের এই মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধের প্রায় ৭১ শতাংশ সময় বল বায়ার্নের দখলে থাকলেও বেশি সুযোগ তৈরি করে স্বাগতিকরাই। মোট চারবার গোলে শট নেয় তারা, গুয়ার্দিওলার দল মাত্র একবার। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়েছে বায়ার্ন। তবে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে পারলেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি তারা। ফলে হারের হতাশাতেই মাঠ ছাড়তে হয় পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নদের।
For add
For add
For add
For add
for Add