for Add
: ৯ এপ্রিল ২০১৬, শনিবার, ১৯:৩১:২৯
স্বাধীনতা কাপে এবার আর গোল উৎসব নয়। উল্টো উত্তর বারিধারার বিপক্ষে জয় পেতে বেশ ঘাম ঝড়াতে হলো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। ঘাম বলতে সেটা যে চৈত্রের অসহনীয় দাবদাহে তা নয়। ঢাকার গরম আসলে পরীক্ষা নিয়েছে দুই দলেরই। সঙ্গে শেখ জামালের পরীক্ষা নিয়ে ছেড়েছে এক মৌসুম পর পুনঃরায় প্রিমিয়ারে ফেরা উত্তর বারিধারা। ভাগ্য তাদের ভালো যে ২০ মিনিটে আত্মঘাতি গোল খেয়ে বসেছিল বারিধারা। তানাহলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে আর ফেরা হতো না শফিকুল ইসলাম মানিকের দলকে।
তবে কষ্টার্জিত জয় পেলেও টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমির পথে এক পা দিয়ে রাখলো সর্বশেষ পেশাদার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। নিজের প্রথম ম্যাচে মোহামেডানকে ২-০ গোলে হারানোর পর ব্রাদার্সের বিপক্ষে গোল উৎসবে মেতেছিল তারা। গোপীবাগের দলটিকে হারিয়েছিল ৫-০ গোলে। হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়েডসন এনসেলমে করেছিলেন হ্যাটট্রিক। হ্যাটট্রিকের দৌঁড়ে ভালোভাবেই ছিলেন এমেকা ডার্লিংটনও (২টি গোল করেছিলেন)। কিন্তু আজ (শনিবার) আর প্রতিপক্ষের গোলমুখ খুলতে পারেননি তাদের কেউই। তবে নিচ থেকে খেলাটা তৈরি করে দেওয়ার কাজ ভালোই করেছেন ডিফেন্ডার লিংকন। ফরোয়ার্ডদের ব্যার্থতার দিনে এই গরমেও পুরোমাঠ দৌঁড়ে খেলা এই ডিফেন্ডার কোচের আলাদা বাহবাই পাবেন।
বারিধারার আত্মঘাতি যে গোল থেকে শেখ জামালের জয় নিয়ে বাড়ি ফেরা, সেটির পেছনেও বড় অবদান লিংকনের। তার দেওয়া ক্রসই হেড করে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন বারিধারা ডিফেন্ডার মনির আলম। কিন্তু আগুয়ান বারিধারা গোল কিপার তা নাগালই পান নি। বল ঢোকে যায় নিজেদের জালে। এমন সর্বনাশ না হলে হয়ত শেখ জামালের বিপক্ষে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পারতো তারা। এক পয়েন্ট কেন, শেখ জামালের খারাপ দিনে আরও বড় কিছুরই সুযোগ ছিল তাদের সামনে। কিন্তু এবারের টুর্নামেন্টে ছোট দলগুলোর স্কোরিং সমস্যার প্রদর্শনী ধরে রেখেছে তারাও। যে কারণে গোলের একাধিক সুযোগ হেলায় নষ্ট করেছে তাদের আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড়রা।
টুর্নামেন্টে বারিধারা হারলো টানা তিন ম্যাচ। ফলে স্বাধীনতা কাপ থেকে তাদের ছিটকে পড়াটা এক রকম নিশ্চিত।
For add
For add
For add
For add
for Add