for Add
: ৭ মার্চ ২০১৫, শনিবার, ১৫:২০:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃষ্টি সব সময়ই দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে বিশাল একটি বাধা। প্রোটিয়ারা যতটা না চোকার্স, তার চেয়ে বৃষ্টি দুর্ভাগ্য তাড়া করে তাদেরকে অনেক বেশি। অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে আজও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। বৃষ্টির কারণে দু’দলের সামনে ৪৭ ওভার করে খেলার জন্য বেধে দেওয়া হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের জন্য ১০ রান বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
বৃষ্টি আইন ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে প্রোটিয়াদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩২ রান। তবুও প্রোটিয়ারা যেভাবে উড়ছিল এবার, তাদের সামনে এটা মামুলি সংগ্রহই বটে। বিশেষ করে পর পর দুটি ৪০০ প্লাস ইনিংসের পর।
কিন্তু চার পেসার মোহাম্মদ ইরফান, ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলি আর সোহেল খানের বোলিং তোপের মুখে পড়ে বিশ্বকাপে এই প্রথম পাকিস্তানের কাছে হেরে বসল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৩.৩ ওভারে মাত্র ২০২ রানেই অলআউট হতে বাধ্য হয় এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। হেরে গেলো ২৯ রানের ব্যবধানে। এই জয়ে ৫ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ার্টার পথে অনেকটুকু এগিয়ে গেলো পাকিস্তান।
অথচ, এক প্রান্তে যখন একের পর এক উইকেট পড়ছিল, তখন একপ্রান্ত আগলে থেকে পাকিস্তানের জয়টাই ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। ৫৮ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৭৭ রানের ইনিংস খেলে ফেলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ৩৪তম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়াহাব রিয়াজ উইকেটের পেছনে সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন ইমরান তাহিরকে। আম্পায়ার আঙ্গুল তুলতেই নিশ্চিত হয়ে গেলো পাকিস্তানের ২৯ রানের অসাধারণ এক জয়। ওয়াহাব রিয়াজ, রাহাত আলি আর মোহাম্মদ ইরফান নেন ৩টি করে উইকেট।
সরফরাজ আহমেদের কথা না বললে অন্যায়ই হয়ে যাবে। প্রথম চার ম্যাচে উপেক্ষিত থাকলেন। অবশেষে দলে সুযোগ পেয়েই অসাধারণ এক জয়ে সিংহভাগ অবদান রাখলেন তিনি। শুরুতে ৪৯ বলে ৪৯ রান। এরপর উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে যেন ফাঁদ তৈরী করেছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের জন্য। হাশিম আমলার অসাধারণ একটি ক্যাচসহ মোট ৬জন ব্যাটসম্যানের ক্যাচ গ্লাভসবন্দী করলেন সরফরাজ।
২২৩ রানের মামুলি লক্ষ্য এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিশ্বের সবচেয়ে লম্বু ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইরফানের তোপের মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের একেবারে প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে সরফরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দেন কুইন্টন ডি কক। গুড লেন্থের বলটি বুঝতেই পারেননি প্রোটিয়া ওপেনার। স্কোর বোর্ডে কোন রান যোগ না করতেই উইকেট হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইরফানের পর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ওপর ঝড় তোলেন ওয়াহাব রিয়াজ। তার দুটি আউট সুইঙ্গারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ফ্যাফ ডু প্লেসিস আর হাশিম আমলা।
১০ম ওভারের তৃতীয় বলে ওয়াহাব রিয়াজের বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তোলেন ২৭ রানে থাকা প্লেসিস। ১১তম ওভারের প্রথম বলে আবারও ক্যাচ। খোঁচা দিয়ে আউট হন ৩৮ রানে থাকা হাশিম আমলা।
এরপর ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রিলে রুশোও ফাইন লেগের ওপর তুলে মারতে যান ওয়াহাব রিয়াজকে। একেবারে জায়গায় দাঁড়িয়ে ক্যাচটি মুঠোবন্দী করেন সোহেল খান।
ডেভিড মিলার ফিরে গেলেন কোন রান না করেই। বিপর্যয়ে পড়া প্রোটিয়াদের চেষ্টা করেছিলেন টেনে তোলার। কিন্তু ১৬তম ওভারের ৫ম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন তিনি। রাহাত আলির নীচু হয়ে আসা বলটি কোনভাবেই বুঝতে পারলেন না মিলার।
২০তম ওভারের ৪র্থ বলে মোহাম্মদ ইরফানের বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারে ক্যাচ তুলে দেন জেপি ডুমিনি। ফিল্ডার ওয়াহাব রিয়াজ ক্যাচটি ধরতে মোটেও ভুল করেননি। ১২ রানে ফিরে যান ডুমিনি।
২৪তম ওভারের শেষ বলে আরও একটি ক্যাচ উঠলো উইকেটের পেছনে সরফরাজের হাতে। আরও একটি উইকেটের পতন প্রোটিয়াদের। ১৬ রান করে মোহাম্মদ ইরফানের বলে উইকেটের পেছনে সরফরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান স্টেইন।
৩০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রাহাত আলির আরও একটি ইনসুইঙ্গার বুঝতে না পেরে ড্রাইভ করতে যান কাইল অ্যাবট। আবারও ক্যাটের কোনায় লেগে উঠে গেল ক্যাচ। প্রথম স্লিপে ইউনিস খান তালুবন্দী করতে মোটেও ভুল করেননি।
For add
For add
For add
For add
for Add