for Add
: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, মঙ্গলবার, ২০:৫৫:০৯
শেখ জামাল ২(৫) : ২(৪) ব্রাদার্স
নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে কেউ কাউকে হারাতে পারেনি। পারেনি অতিরিক্ত সময়েও। শেষ পর্যন্ত সেমিফাইনালের দল নির্ধারণ করতে স্মরনাপন্ন হতে হয় টাইব্রেকার নাম ভাগ্য নির্ধারনীর। সেখানেও টান টান উত্তেজনা। প্রথম ৫ শটে নির্ধারিত হলো না বিজয়ী দল। শেষ পর্যন্ত সাডেন ডেথে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-৪ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে গেল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। এর আগে নির্ধারিত সময়ে খেলা অমিমাংসিত থাকে ২-২ গোলে।
অতিরিক্ত সময়ে গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। তাতেও ৪-৪ গোলের সমতায় থাকায় শেষ পর্যন্ত সাডেন ডেথে ফয়সালা হয়। ব্রাদার্সের হাবিব মিয়ার ব্যর্থতায় ওয়াডসনের গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ধানমন্ডির দলটি।
টাইব্রেকারে শেখ জামালের লিওনেল, নাসির, রায়হান ও ল্যান্ডিং গোল করলেও পারেননি কেবল ইয়াসিন। অন্যদিকে ব্রাদার্সের হয়ে গোল করেন ওয়ালসন, অ্যাডামস, জারমেইন এবং শফিকুল। তবে ব্যর্থ হন জিতু।
এরআগে নির্ধারিত সময়ের খেলায় ৪৫ মিনিটে লিওনেল এবং ৮৩ মিনিটে ল্যান্ডিং শেখ জামালের হয়ে গোল করেন। ব্রাদার্সের পক্ষে রাব্বি ৫১ ও অ্যাডামস ৫৬ মিনিটে গোল করেন।
সারামাঠ গোপীবাগের দলটি চষে বেড়ালেও শেষ হাসি হাসলো শেখ জামালই। উল্লেখ্য, কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড ও চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের মধ্যেকার বিজয়ী দলের সঙ্গে আগামী রোববার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল প্রথম সেমিফাইনালে মোকাবেলা করবে।
কোচ নঈমউদ্দিনের দল ব্রাদার্স মাঠে বল গড়ানোর পর থেকেই চাপের মুখে ফেলে দেয় ধানমন্ডির দলটিকে। প্রথমার্ধের পুরো সময়ই দারুণ লড়াকু মেজাজে তারা একের পর এক গোলের উৎস তৈরি করে আসছিল; কিন্তু আক্রমণভাগের ব্যর্থতায় কমলারঙের জার্সিধারিদের আর গোলের দেখা মিলছিল না।
প্রতিপক্ষ শেখ জামালও তাদের আক্রমণ অনেকটা দিশেহারা হয়ে উঠেছিল। আসলে কোচ মারুফের শিষ্যরা যেভাবে মাঠে খেলার কথা ছিল সেভাবে খেলতে না পারাতেই মূলত আকাশি-সাদার দল চাপের মুখে পড়ে যায়।
চতুর্থ মিনিটেই গোপীবাগের দল চমৎকার একটি আক্রমণ শানিয়েছিল। হাইতির ওয়ালসন গড়েছিলেন এ আক্রমণ। তার কাছ থেকে বল পেয়েও নিশানা খুঁজে পাননি রাব্বি। বার ঘেঁষে চলে যায় তার শট। এরপর সম্ভাব্য গোলের উৎস খুঁজে পেয়েছিল তারা ১৫তম মিনিটেও।
কিন্তু ক্যামেরুনের জারমেইনের শট গোলরক্ষক মাজহারুল ঝাপিয়ে পড়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন। এভাবে একের পর এক ব্রাদার্স চাপের মুখে রাখলে প্রতিপক্ষ তেমনটা চড়াও হয়ে খেলতে পারেনি। তবে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোপীবাগের দলটির রক্ষণ দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নেয় শেখ জামাল। রাজুর ক্রস থেকে গাম্বিয়ান ল্যান্ডিং বল দখলে নিয়ে এগিয়ে আসেন। আগুয়ান গোলরক্ষক বিপ্লবকে ফাঁকি দিয়ে ল্যান্ডিং বলটি পাস দেন হাইতির লিওনেলের কাছে। তার কাছ থেকে বল পেয়েই চটজলদি সেটা ব্রাদার্সের জালে জড়িয়ে দেন। দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলের ব্যবধানে।
এক গোলের লিড নিয়ে দলনায়ক নাসির দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করলেও ব্রাদার্স মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল আদায় করে লিড নিয়ে নেয়।
৫১ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় রাব্বি শক্তিশালি শেখ জামালের রক্ষণভাগকে তছনছ করে গোল আদায় করেন এবং দলকে ১-১ গোলে সমতায় নিয়ে আসেন। তাকে রুখতে আসা মাজহারুলও ছিলেন বড় অসহায়।
৫৬ মিনিটে অধিনায়ক ইউসুফের দল নিচে চলে আসে। রাজন মিয়ার থ্রো থেকে প্রতিপক্ষের বিপদসীমানায় জটলার সৃষ্টি হলে উড়ন্ত বলে নাইজেরিয়ান অ্যাডামসের দর্শনীয় হেডে ব্রাদার্স ২-১ গোলে এগিয়ে যায়।
পিছিয়ে পড়ে হুশ ফেরে শেখ জামালের। ফলে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃস্টি করতে থাকে। এক্ষেত্রে গোলরক্ষক বিপ্লব অবশ্য সম্ভাব্য বেশ কিছু গোলের উৎস ঠেকিয়ে অসাধারণভাবে দলকে বিপদমুক্ত করেন। তবে ৮২ মিনিটে শেষ রক্ষা করতে পারেননি। গাম্বিয়ান ল্যান্ডিং একক প্রচেষ্টায় গোল করে শেখ জামালকে ২-২ গোলে সমতায় ফিরিয়ে আনেন। এরআগে অবশ্য ৮০ মিনিটে আরোও একবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল গোপীবাগের দলটি। কিন্তু রাজন মিয়া ফাঁকা গোলপোষ্ট পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন।
শেখ জামাল : মাজহারুল, নাসির, লিংকন (কেষ্ট), ল্যান্ডিং, ওয়েডসন, জামাল, রাজু (মামুনুল), সোহেল রানা(রুবেল), ইয়াসিন, রায়হান, লিওনেল।
ব্রাদার্স : বিপ্লব, ইউসুফ, মনি, ওয়ালসন, কমল, রাজন (জিতু), জারমাইন, রাব্বি (হাবিব), সালাউদ্দিন, রনি, অ্যাডামস।
রেফারি : জালালউদ্দিন।
For add
For add
For add
For add
for Add