for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ২৩:৪৪:২৪
প্রতিবার সংবাদ সম্মেলনে যেন প্রশ্নটা অবধারিত থাকবেই। এবার কি ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডে টাইমিং দেখা যাবে? বরাবরের মতো এবারও প্রশ্নটা ওঠে জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারের সংবাদ সম্মেলনে। এবং এবারও সেই পুরনো উত্তর, হ্যান্ডটাইমিংয়ে চলবে জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার।
মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক ৩৬তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ বাংলা ব্যাংক মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এই সংবাদ সম্মেলনে ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডের প্রসঙ্গে অসহায়ের সুরে কথা বলেন সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ। তিনি জানান, “ আমরা টেকনিক্যাল বিষয় ভালো বুঝি না। কিন্তু বিভিন্ন সময় ট্রায়াল দিয়েও আমরা সঠিক সময় পাইনা। বাধ্য হয়ে প্রতিটি গেমস চালাচ্ছি হ্যান্ড টাইমিংয়ে। স্কোরবোর্ডটি আমরা বুঝে নিইনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছ থেকে। ওই সময় যে প্রশাসক ছিলেন উনি বুঝে নিয়েছিলেন। কিন্তু সাঁতার ফেডারেশন সেটা বুঝে নেয়নি। অথচ আমরা যাতে এটা নিই সে ব্যাপারে অনেক চেষ্টা করেছেন। অদ্যাবধি ওই স্কোর বোর্ডে একটি গেমও করতে পারিনি।”
২০১৯ সালে মিরপুর সুইমিং পুলে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বসানো হয়েছিল এই স্কোরবোর্ড। সেবার সেরা সাঁতারুর খোঁজে প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে মিরপুর সুইমিং পুল সংস্কারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে পুরনো স্কোরবোর্ড সরিয়ে বসানো হয় ডাকট্রোনিকস কোম্পানির স্কোরবোর্ড।
কিন্তু স্কোরবোর্ডটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ। আর এমন ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক স্কোরবোর্ড কেনায় ২০২২ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
ওই কমিটির বৈঠকে ক্রীড়া পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এই সুইমিং পুলের স্কোর বোর্ড নিয়ে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কিনা? সংবাদ সম্মেলনে তাই এমন প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটা বলতে পারব না। তবে জিনিসটা যে আমরা ঠিকমতো পাইনি এবং ওটা আমাদের কাজে আসেনি সেটা তো দৃশ্যমান।”
তিনি যোগ করেন, “ আমরা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির কাছে অভিযোগ করেছি। কমিটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলেছে। কিন্তু কিছু হয়নি। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি।”
আবারও নতুন সাঁতারুর খোজে কর্মসূচী শুরু হবে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক, “আমাদের নতুন সভাপতি এসেছেন। তার মাধ্যমে আমরা বৃহত্তর আকারে একটি ট্যালেন্ট হান্ট করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আগামী বছরের প্রথম নাগাদ এটি শুরু হবে। এটা আমরা দীর্ঘমেয়াদী করার চেষ্টা করছি। ১৫ বছরের পরিকল্পনার মধ্যে যেতে চাই আমরা।”
এবারের বয়সভিত্তিক সাঁতারে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা, সুইমিংক্লাব, বিকেএসপি ও আনসারসহ ৬৫টি দলের ৫৫০ জন সাঁতারু অংশ নেবে। প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড।
For add
For add
For add
For add
for Add