for Add
: ৭ জুলাই ২০১৫, মঙ্গলবার, ১৭:১৭:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক: টি২০তে এখনও নবীশ বাংলাদেশ। সেটা হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাইয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যবধান একটু কমলেও দ্বিতীয় টি২০তেও হেরেছে বাংলাদেশ। ব্যবধান ৩১ রানের। প্রথম টি২০তে হেরেছিল ৫২ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ১৭০ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় ১৩৮ রানে। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন সৌম্য সরকার।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের নামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭০ রান। বড় রান তাড়া করতে নেমে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার ও তামিম ইকবাল। ৪৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে তামিমের বিদায়ের পরই গতি হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। এরপর অভিষিক্ত লেগ স্পিনার এডি লিয়ের বলে স্ট্যাম্পড হয়ে সৌম্য (২১ বলে ৩৭) বিদায় নেয়।
অতিথি পেসারদের ঠিকভাবে খেললেও স্পিনেই বিভ্রান্ত হয়েছে স্বাগতিকরা। দুই স্পিনার এডি লিয়ে ও ফাঙ্গিসো তিনটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সব আশা শেষ করে দেন। পরপর দুই বলে সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিমকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান অভিষিক্ত এডি লিয়ে। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সাব্বির আর ফুলটস বলে মুশফিক ক্যাচ দেন।
এডি লিয়ে হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া নাসির ফিরেন শূন্য রানেই। ফাঙ্গিসোর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। এর আগে সাকিব আল হাসানকে বিদায় করেন বাঁহাতি স্পিনার ফাঙ্গিসো। তার তৃতীয় শিকার আট নম্বরে নামা লিটন দাস। শেষ দিকে অভিষিক্ত রনি তালুকদার ও মাশরাফি বিন মুর্তজার ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় বাংলাদেশ।
এর আগে ডি কক ও ডি ভিলিয়ার্সের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ ওভারে ৯৫ রান সংগ্রহ করেন অতিথি দলের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। প্রথম ১০ ওভারে সঠিক লাইন-লেন্থে বল করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররাও। এই সময়ে ব্যাপক মিস ফিল্ডিংও করে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
তবে শেষ ১০ ওভারে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। এতে নেতৃত্ব দেন আরাফাত সানি ও নাসির। ১১তম ওভারে ডি কককে ফিরিয়ে ‘ব্রেক থ্রু’ এনে দেন আরাফাত। তার বলে মিড উইকেটে সাব্বিরকে ক্যাচ দেন সর্বোচ্চ ৩১ বলে৪৪ রান করা ডি কক। পরের ওভারে জোড়া আঘাতে জেপি দুমিনি ও বিপজ্জনক ডি ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে দেন নাসির। সাকিবকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান দুমিনি আর মুশফিকের গ্লাভসে জমা পড়েন ৩৪ বলে ৪০ রান করা ডি ভিলিয়ার্স।
৬ বলের মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা কিছুটা চাপে পড়ে। দ্বিতীয় স্পেলে ৩ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন নাসির। রানের গতি বাড়াতে গিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানের শিকারে পরিণত হন প্রথম ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় ফাফ দু প্লেসি। তবে শেষ দিকে রাইলি রুশো ও ডেভিড মিলার দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন।
নাসিরের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া মিলার সেই ওভারে কট বিহাইন্ডের একটি জোরালো আবেদন থেকে বেঁচে যান। তিনি অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে। ১৯তম ওভারে সাকিবের পর পর দুই বলে দুটি বিশাল ছক্কা হাঁকানো রুশো ৬ বলে খেলেন অপরাজিত ১৯ রানের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর কার্ড: দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৬৯/৪, ২০ ওভার (ডি কক ৪৪, ডি ভিলিয়ার্স ৪০, ডেভিড মিলার ৩০*, রুশো ১৯*, প্লেসিস ১৬; নাসির ২/২৬, আরাফাত সানি ১/৩১, মুস্তাফিজ ১/৩৪)।
বাংলাদেশ: ১৩৮/১০, ১৯.২ ওভার (সৌম্য ৩৭, রনি ২১, মুশফিক ১৯, মাশরাফি ১৭, তামিম ১৩, লিটন ১০, সাকিব ৮, আরাফাত ৫*; অ্যাডি লিয়ে ৩/১৬, কাইল অ্যাবট ৩/২০, পাঙ্গিসো ৩/৩০)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৩১ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: অ্যাডি লিয়ে। সিরিজ সেরা: ডু প্লেসিস। টস: দক্ষিণ আফ্রিকা।
For add
For add
For add
For add
for Add