for Add
: ১৪ জুন ২০১৫, রবিবার, ২০:০৭:৪৭
নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃষ্টিই নিশ্চিত করে দিয়েছিল ফতুল্লা টেস্টের ভাগ্য- নিষ্প্রান ড্র। শেষ পর্যন্ত সেটাই হলোই । কিন্তু ড্র’য়ের আগে যে লজ্জার তিলকটা লাগল, সেই দায় শুধুই ব্যাটসম্যানদেরই। যে ম্যাচে অর্ধেকেরও বেশি সময় খেয়ে ফেলেছে বৃষ্টি, যে ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাটিং করার সুযোগই পেল মাত্র ৮০.৫ ওভার (দুই ইনিংস মিলিয়ে), সেই ম্যাচে কেন ফলো অন লজ্জায় পড়তে হবে?
প্রথম চার দিনের মতো আজ (রোববার) শেষ দিনেও হানা দেয় বৃষ্টি। খেয়ে ফেলে দিনের প্রথম সেশন। টেস্টের চেতনা বলে, নিশ্চিত ড্রয়ের ম্যাচে দেখেশুনে ব্যাটিং করে দিনের বাকি দুটি সেশন কাটিয়ে দেওয়াই ছিল বাংলাদেশের একমাত্র পথ। অথচ বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা কি না হাঁটলেন মেরে খেলার নীতিতে!
মাঠে নেমেই একেকজন সজোরে চালাতে থাকলেন ব্যাট। যেন দ্রুত রান তুলতে পারলেই জিতে যাবে তারা! এই মেরে খেলতে গিয়ে উইকেট আত্মাহুতি দিয়ে এলেন একের পর এক। ফল, মাত্র ৭ রানের জন্য পেতে হলো ফলোঅন লজ্জা। ভারতের ৬ উইকেটে ৪৬২ রানের জবাবে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট ২৫৬ রানে। প্রথম ইনিংসে ২০৬ রানে এগিয়ে থাকা ভারত ব্যাটিংয়ে না নেমে বাংলাদেশকেই ঠেলে দেয় দ্বিতীয় দফা ব্যাটিং করতে।
২০০৪ সালে চট্টগ্রাম টেস্টে ২০৭ রানে এগিয়ে থেকে ভারত ফলোঅন করিয়েছিল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় ইনিংসে হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ মাত্র ২৬.৪ ওভারে ১২৪ রানে গুটিয়ে গিয়ে ম্যাচ হারে ইনিংস ও ৮৩ রানে। ২০৬ রানে এগিয়ে থেকে ১১ বছর আগের সেই স্মৃতিই কী মনে পড়ে গিয়েছিল বিরাট কোহলির?
এসে পড়লেও বিরাট কোহলি জানতেন এবারও সেই ঘঁনার পুনরাবৃত্তির সুযোগ নেই। সেবার বাংলাদেশকে অলআউট করার জন্য সৌরভ গাঙ্গুলির হাতে সময় ছিল অফুরন্ত। আজ কোহলির হাতে বাংলাদেশকে আরেকবার অলআউট করার সময় পর্যাপ্ত ছিল না। তারপরও বাংলাদেশকে দিয়ে ফলোঅন করালেন কোহলি। ওয়ানডে সিরিজের আগে প্রতিপক্ষকে মনস্থাতিত্ত্বকভাবে ঘায়েল করার সুযোগটা কোহলি হাতছাড়া করবেন কেন!
আগের দিনের ৩ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে শুরু করে আজ দিনের শুরুতেই বাজে শট খেলে উইকেট বিসর্জন দিয়ে এলেন সাকিব। বাকিরাও যেন অনুসরণ করলেন তাকেই! ব্যাটসম্যানেরা তো বটেই, এই দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ের দায় নিতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকেও। কেন তারা ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং পরিকল্পনা ঠিক করে দিলেন না?
For add
For add
For add
For add
for Add