for Add
: ১৪ জুন ২০১৫, রবিবার, ২০:০১:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে স্বস্তি ফিরেছে ফতুল্লায়! কিন্তু কিসে? বৃষ্টির লুকোচুরি বন্ধ হয়ে মাঠে গড়ানো পঞ্চম দিনের ম্যাচ, নাকি ড্রয়ে! এমন বিতর্ক উঠে আসাটাই স্বাভাবিক। কারণ, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বুজিয়ে দিয়েছেন টেস্টে তাদের বাস্তব অবস্থান। আর দুই সেশনের ব্যাটিংয়ের সুযোগ থাকলে যে হারের শঙ্কাটা জোরালো ছিলো স্বাগতিকদের তা পরিস্কার করে দিয়েছেন মুশফিক বাহিনী।
ফতুল্লার একমাত্র টেস্টে প্রথম দিন থেকেই বৃষ্টির আসা-যাওয়ার মিছিলেও ভারত ৬ উইকেটে ৪৬২ রানের যে টার্গেট ছুড়ে দিয়েছিলো, সেটাই তো স্বাগতিকদের সামনে মৃত্যু ফাঁদ হয়ে দাড়িয়ে যায়। আপাতত পঞ্চম দিনের খেলায় বাংলাদেশের ব্যাটিং দৈন্যদশায় সব আয়নার মতোই পরিস্কার। এমন ম্যাচেও ফলো অন এড়াতে পারেনি মুশফিক বাহিনী। ৬ রান পিছনে থাকতেই ৬৫.৫ ওভারে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ ২৫৬ রানে।
স্বাগতিকদের নামতে হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে। যেখানে তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে দিনটা পার করতে হয়েছে কোন মতে। ১৫ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২৩ রান। তামিম ১৬ ও ইমরুল ৭ রানে অপরাজিত। রীতিমতো হতাশার ব্যাটিং, একেবারেই শ্রীহীন। টেস্টের পনের বছরেও বদলায়নি একটু। এমন ড্র করাটা সত্যি লজ্জার। আরো কিছুটা ব্যাটিং করা যেত। কিন্তু তাতে কোন লাভ নেই বুজেই ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ড্র মেনে নেন।
যদিও মনে করা হয়েছিলো আগের দিনের তিন উইকেটে পঞ্চম দিনটাও পার করে দিতে পারবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেটা আর হলো কই। এক অশ্বিনের আক্রমনেই কাবু টাইগাররা। এরপর টেস্টে ফিরে আসা হারভজন সিংয়ের ঘূর্নিতো রয়েছেই। দু’জনেই দখল করেন ৮ উইকেট। অশ্বিন ৮৭ রানে ৫ এবং হারভজন ৬৪ রানে ৩ উইকেট নেন।
বৃষ্টির বাধা অতিক্রম করে শেষ দিনের ম্যাচ গড়ায় পৌনে একটায়। তৃতীয় ওভারেই অশ্বিনের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আসেন সাকিব ব্যক্তিগত ৯ রানে। এরপর পঞ্চম উইকেটে ইমরুল ও সৌম্যের ৫১ রানের জুটি কিছুটা হাল ধরেছে দলের। কিন্তু টেস্টের জুটিটা যে দরকার অনেক বড়? সেটা পারেননি ইমরুল। দলীয় ১৭২ রানে তিনি ধৈয্য হারা হন। হারভজনকে ডাউন দ্যা উইকেটে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্প হন ব্যক্তিগত ৭২ রানে। বাংলাদেশ দলের হয়ে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরটা করলেন টেস্টে অভিষেক হওয়া লিটন কুমার দাস। তিনি ৪৫ বলে ৪৪ করেন ৮ বাউন্ডারিও এক ছক্কায়। যা মোটেও টেস্ট মেজাজের নয়। তার খেসারত দিলেন তিনি অশ্বিনের বলে রোহিত শর্মার তালুবন্দি হয়ে। ততক্ষনে বাংলাদেশের দলীয় অবস্থান ৮ উইকেটে ২৩২ রান। তার আগে সৌম্য সরকার ৩৭ রান করেন।
শুভাগত হোম ফিরেছেন মাত্র ৯ রান করে। এরপরেই দলের ভরসা ছিলেন লিটন কুমার। এক প্রান্তে ঠিকই ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু তার ব্যাটিং মেজাজটা তড়িৎ হওয়ায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের বিদায়টাও তড়িৎ হয়ে গেছে। তাইজুল ও শহিদরা পারেননি শেষ ৩০টি রান করে দলকে ফলো অন থেকে রক্ষা করতে। তাইজুল ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। কিন্তু শহিদ ৬ ও জুবায়ের দ্রুত বিদায় নেন।
For add
For add
For add
For add
for Add