নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়া অনুর্ধ্ব-২৩ দল। উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে হারানোর পর আজ (শনিবার) তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রাধান্য নিয়েই মালয়েশিয়ার যুবারা হারিয়েছে শ্রীলংকা জাতীয় দলকে। দুই ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নিশ্চিত হয়েছে তাদের। ৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫ টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে মালয়েশিয়া খেলবে ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ দলের বিপক্ষে।
প্রাধান্য নিয়ে খেললেও মালয়েশিয়ান যুবাদের গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত। ইনজুরি সময়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন আজওয়ারি। ব্যবধান বাড়ান মোহাম্মদ রিজুয়ান ৬০ মিনিটে। ২ গোলের হারে শ্রীলংকার সেমিফাইনালে ওঠার পথটা কঠিন হয়ে গেল। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিততেই হবে লংকানদের।
শ্রীলঙ্কা জিতলে বিপদ, মালয়েশিয়া জিতলে সুবিধা-তা ভালমতোই জানা ছিল খেলা দেখতে আসা সিলেটি দর্শকদের। তাই গলা ফাটিয়ে তারা সমর্থন জুগিয়েছে মালয়বাহিনীকে, যারা কি না দুদিন আগেই হারের স্বাদ উপহার দিয়েছিল স্বাগতিকদের (১-০)। দর্শকদের এই সমর্থন পেয়ে মালয় ফুটবলাররাও দারুণ উজ্জীবিত হয়ে খেলেছে। প্রতিদান দিয়েছে তাদের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থনের।
ম্যাচে শ্রীলঙ্কা হারলেও তারা খেলেছে দুর্দান্ত। লড়াই করেছে সমানতালে। একবার তারা মালয়দের গোলপোস্টেও বল লাগিয়েছে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি তারা। শুরু থেকেই উভয়দল সতর্কভাবে খেলা শুরু করে। কিন্তু বলার মতো কোন আক্রমণ শাণাতে পারেনি কোন দলই। ৪২ মিনিটে একটি উল্লেখযোগ্য আক্রমণ করে শ্রীলঙ্কা। তাদের মিডফিল্ডার রোশান যে ফ্রি কিকটি নেন ডান পায়ে, তা মালয়েশিয়ার গোলবারে লেগে ফেরত এলে আফসোসে পুড়তে হয় রাবণের দ্বীপদেশ লঙ্কাবাহিনীকে। প্রথমার্ধ ভালভাবেই মালয়েশিয়াকে প্রতিরোধ করে শ্রীলঙ্কা। যদিও বল নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে ছিল মালয়রাই (৭২ শতাংশ)। যখনই মনে হচ্ছিল গোলশূন্য স্কোরলাইন নিয়েই বিশ্রাম নিতে উভয় দল চলে যাবে ড্রেসিংরুমে, তখনই প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে (৪৫+২) গোল করে এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া। ডি-বক্সের মধ্যে লঙ্কান ডিফেন্ডার মাধুসান হেড করে বল বিপদমুক্ত করতে গেলে হ্যান্ডবল হয়ে যায়। আর যায় কোথায়! ব্যাপারটি সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলেন রেফারি। কালবিলম্ব না করে পেনাল্টির নির্দেশ দেন তিনি। ফরোয়ার্ড সিয়ারুল আজওয়ারি কোন ভুল করেননি বলকে জালে পাঠাতে (১-০)। উল্লাসে ফেটে পড়ে মালয়েশিয়া যুব দলের ফুটবলাররা এবং সেই সঙ্গে গ্যালারিতে উপস্থিত বাংলাদেশী দর্শকরা।