for Add
: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ২১:৩৫:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে হাজার হাজার দর্শক। সারাক্ষনই গলা ফাটিয়ে সমর্থন দিয়ে গেল মামুনুলদের। কিন্ত ম্যাচ শেষে তারা ঘরে ফিরলো হতাশ হয়েই। ৩-০ ব্যবধানে হারটাই বেশি কস্ট দিয়েছে তাদের। অথচ জাপান অনুর্ধ্ব-২১ দলের বিপক্ষে প্রথমার্ধে মামুনুলরা আশা জাগানিয়া ফুটবলই খেলেছে। সে আশা জয়ের ছিল না। ছিল ড্র কিংবা কম ব্যবধানে হারের। শেষ পর্যন্ত হার এবং তা ব্যবধানে। জাপানের যুবাদের প্রথমার্ধে আটকিয়ে রাখতে পারলেও শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় দলের। ৫৯ থেকে ৭৫-এই ১৬ মিনিটেই তিন তিনটি গোল আদায় করে নেয় সফরকারীরা। ম্যাচের ভাগ্যরেখাটা আাঁকা হয়ে যায় তখনই। আজ (বৃহস্পতিবার ) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও জাপান অনুর্ধ্ব-২১ দলের প্রীতি ফুটবল মাচটি ৩-০ গোলে জিতে নেয় সফরকারীরা।
সাইফুল বারী টিটুর মুখে ছিল বাস্তবতার ভাষা। জাপানের অনুর্ধ্ব-২১ দলের বিপক্ষে ড্র হলেই তৃপ্ত হবেন-এমনটিই বলে এসেছিলেন জাতীয় দলের কোচ। খেলোয়াড়রা ছিলেন একটু আত্মবিশ্বাসী। একটা চমকের স্বপ্ন ছিল তাদের চোখেমুখে। দুই দেশের ফুটবলের যে পার্থক্য তাতে জাপানের যুব দলের বিপক্ষে ড্র করাও যে বাংলাদেশের জন্য কঠিন তা মাঠেই প্রমান করলো এশিয়ার পরাশক্তিরা। নীল সামুরাইদের তরুন প্রজন্মই বুঝিয়ে দিল বাংলাদেশ আর জাপান ফুটবলের পার্থক্যটা। লাল-সবুজদের জয় কিংবা ড্রয়ের স্বপ্ন উড়িয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাস্তবতার ফুলই ফোটালো সূর্যোদয়ের দেশটি। কোনো জাতীয় দলের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে জয়ের মালা পড়েই মাঠ ছাড়লো জাপানি যুবারা। ঢাকায় আসার পথে ব্যাংককে জাপানের এ দলটি ২-০ গোলে হারিয়ে এসেছিল থাইল্যান্ড অলিম্পিক দলকে।
সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট, যশোর ও রাজশাহীতে দর্শকজোয়ার দেখে সবাই বলেছিলেন ফুটবল এখন আর ঢাকার খেলা নয়। আজ বাংলাদেশ ও জাপান যুব দলের ম্যাচটি সে ধারনা পাল্টে দিয়েছে। ঢাকায়ও যে ফুটবলের জনপ্রিয়তা আছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে হাজার হাজার মানুষ ঠাঁই নিয়ে তা প্রমান করেছে। শীত উপেক্ষা করে দর্শক নানাভাবে প্রেরণা দিয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। ম্যাচ শেষে জাপানের পাশে ‘জয়’ শব্দটা লেখা হলেও প্রকৃতপক্ষে আজ ফুটবলই জিতে গেলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।
জাপানের এ দলটি তৈরী হচ্ছে আগামী রিও অলিম্পিক গেমসের জন্য। চোখটা তাদের আরও দুরে। ২০১৮ রাশি বিশ্বকাপ। এমন একটি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দলও যে পারবে না তা আগেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। বাস্তবে হয়েছেও তাই। তারপরও আশা জেগেছিল। গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন বেশ কয়েকটি গোল ধেকে বাঁচিয়েছে স্বাগতিকদের। যার ফলে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের লড়াকু খেলা দর্শকদের প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছিল। অন্তত ড্র নিয়ে ঘরে ফেরার স্বপ্ন দেখছিলেন ফুটবল পাগল মানুষ। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে জাপানের তরুন ফুটবলারদের গতি আর গোছানো ফুটবলের সামনে ভেষে যায় বাংলাদেশের সব প্রত্যাশা। তাকুমা আর তাকুমি-এ্ দুই জাপানিই ভেঙ্গে দিয়েছেন বাংলাদেশের ড্রয়ের স্বপ্ন। তাকুমা গোলের খাতা খুলেন ৫৯ মিনিটে। ৭২ মিনেট গোল করেন তাকুমি। নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন তাকুমা ৭৫ মিনিটে।
For add
For add
For add
For add
for Add