for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২১ জুন ২০১৬, মঙ্গলবার, ২২:০৮:৪৫
সুইডেনের জার্সিতে আগামীকালই (বুধবার) কী শেষ ম্যাচ জøাতান ইব্রাহিমোভিচের?
আগামীকাল রাত একটায় বেলজিয়ামের বিপক্ষে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলবে সুইডেন। নিচের এই ম্যাচে খেলতে নামার আগে ইব্রাহিমোভিচ দিয়েছেন জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা। বলেছেন এই ইউরোই হবে জাতীয় দলের হয়ে তার শেষ টুর্নামেন্ট। ইউরোর পর জাতীয় দলের হয়ে আর খেলবেন না। এমনকি আগস্টে রিও অলিম্পিকেও খেলবেন না। তার আগেই তুলে রাখবেন বুটজোড়া।
‘ইউরোতে আমাদের শেষ ম্যাচটাই হবে সুইডেনের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ। এমনকি আমি অলিম্পিকেও অংশ নিচ্ছি না’’-বেলজিয়াম ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ৩৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের আবেগী ঘোষণা। এর অর্থ, বেলজিয়ামের বিপক্ষে ম্যাচটির পরই যতি বসে যেতে পারে ইব্রাহিমোভিচের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের। কারণ গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচ থেকে সুইডেনের সংগ্রহ মাত্র এক পয়েন্ট। ‘ই’ গ্রুপ থেকে সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ড তথা শেষ ষোলতে উঠতে হলে বেলজিয়ামের বিপক্ষে সুইডেনকে জিততেই হবে। ড্র করলেও অবশ্য সুইডিশদের আশা নিবুনিবু হয়ে জ্বলতে পারে, তবে সেটা অনেক যদি-কিন্তুর উপর। হেরে গেলে বাড়ি ফেরার বিমানে উঠা নিশ্চিত।
কিন্তু ইব্রাহিমোভিচ চান না বেলজিয়াম ম্যাচ দিয়েই শেষ হয়ে যাক সুইডেনের ইউরো অভিযান, এই ম্যাচ দিয়েই যতি পড়–ক তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে। প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের ৩৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের আশা বেলজিয়ামকে হারিয়ে তার দল যাবে আরও অনেক দূর, ‘ইউরোতে আমাদের শেষ ম্যাচটাই হবে আমার শেষ। তবে আশা করছি, আগামীকালের ম্যাচটাই আমার শেষ ম্যাচ হচ্ছে না। এটা যত দূর সম্ভব লম্বা হবে।’
ইব্রাহিমোভিচের বাবার জন্মভূমি বসনিয়া হার্জেগোবিনা। মায়ের জন্মভূমি ক্রোয়েশিয়া। পিএসজি স্ট্রাইকার তাই চাইলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে পারতেন বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোবিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার হয়েও। কিন্তু ইব্রাহিমোভিচ জাতীয় দল হিসেবে বেনে নেন নিজের জন্মভূমি সুইডেনকেই। তো সুইডেনের হয়ে তার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ২০০১ সালের ৩১ জানুয়ারি, ফারো আইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে। প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ ওই বছরেরই ৭ অক্টোবর, ২০০২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে, আজারবাইজানের বিপক্ষে। যে ম্যাচে সুইডেন জিতে ৩-০ গোলে। সেই থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সুইডিশ ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে। দেশের হয়ে এ পর্যন্ত ১১৫টি ম্যাচ খেলা মেজাজি এই স্ট্রাইকার নিজের করে নিয়েছেন সুইডেনের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ডটিও।
দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন ২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপ এবং ২০০৪, ২০০৮, ২০১২ ইউরোতে। চলমান ইউরোতেও তো দলের অধিনায়কই তিনি। দলকে চলমান ২০১৬ ইউরোর মূলপর্বে তুলতে ইব্রাহিমোভিচ বাছাইপর্বে করেছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ গোল। কিন্তু আসল জায়গাতেই এসে ব্যর্থ। এবারের ইউরোতে দুই ম্যাচে একটা গোলও করতে পারেননি। সুইডেনও তাই ধুকছে। শেষের আগে নিশ্চয় স্মরণীয় কিছুই করতে চাইবেন বর্ষিয়ান এই স্ট্রাইকার।
For add
For add
For add
For add
for Add