for Add
: ২০ মে ২০২৩, শনিবার, ২০:১৬:২২
নতুন কারও দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। বর্তমান প্রজন্মের কোনো নামি তারকা ও প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটারের কেউ ক্রিকেটারদের কল্যাণ পরিষদ ‘কোয়াবের’ নির্বাচন করতে ইচ্ছুক নন, তা আগেই বোঝা যাচ্ছিল।
শেষ পর্যন্ত তাই সত্য হলো। আবারও কোয়াবের সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয়। শনিবার দুপুরে শেষ হওয়া কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভায় কোনো নির্বাচন হয়নি। তাই আগের সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয় আরেকবার কোয়াব প্রধান হয়েছেন। একইভাবে সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পালও নিজ পদে বহাল। তিনিও কোয়াব সম্পাদক পুনর্বহাল।
আজ (২০ মে) শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পশ্চিম উত্তর দিকের প্লাজায় অনুষ্ঠিত কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতি নাইমুর রহমান দুর্জয় জানান, তিনিও আর দায়িত্বে থাকতে চান না। নতুন কেউ দায়িত্ব নিলে তিনি সানন্দে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে রাজি।
এজিএমের মাঝামাঝি দুপুর ১২টা নাগাদ সংগঠনের সম্পাদক দেবব্রত পাল ঘোষণা দেন যে, কোয়াবের ব্যবস্থাপনা পর্ষদে যারা থাকতে ইচ্ছুক তারা যেন নিজ নিজ নাম জমা দেন। কিন্তু এক থেকে দেড় ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে কেউ ইচ্ছা পোষণ করেননি। মানে কোনো নাম জমা পড়েনি।
পরে বিসিবির সিনিয়র পরিচালক ও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব আনাম মঞ্চে এসে আনুষ্ঠানিকভাবে জানান, কোনো ক্রিকেটার কোয়াবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পদক পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী নয়। তাই কোনো নাম জমা পড়েনি। এভাবে কেটে যায় কিছুটা সময়।
তারপর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তার আনুষ্ঠানিকভাবে বলেন, ‘কে কে কোয়াবের ব্যবস্থাপনায় থাকতে চান, হাত তোলেন।’ কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। কোন হাত ওঠেনি। তারপর সমন্বয়কারী বিসিবি পরিচালক ও সাবেক ক্রিকেটার তানভির ইসলাম টিটু প্রস্তাব দেন যেহেতু নতুন কেউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী নন, তাই পুরোনো সভাপতি ও সম্পাদকই দায়িত্ব পালন করুক।
তখন তানভির ইসলাম টিটু ঘোষণা দেন, আবারো নাইমুর রহমান দুর্জয়কে সভাপতি আর দেবব্রত পালকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান কারা? হাত তুলে জানান। তখন সিংগভাগ ক্রিকেটারই হাত তুলে সমর্থন করেন। আর তাতেই আগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নতুন করে সম্পাদক মনোনীত হন।
শেষ পর্যন্ত কোয়াব ব্যবস্থাপনা পর্ষদের পরিবর্তন না এলেও চার বছর আগে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে বিসিবির বিপক্ষে ক্রিকেটারদের আন্দোলন-সংগ্রামে হঠাৎ ‘কোয়াবের’ ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।
কোয়াব হলো ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও ক্রিকেটারদের কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সংগঠন, কেন কি কারণে কোয়াবের পরিচালনা পর্ষদে বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের প্রতিনিধিত্ব নেই?
এখনো খেলা চালিয়ে যাওয়া জাতীয় দলের অধিনায়ক সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালনকারী দেশের ক্রিকেটের অন্যতম শীর্ষ তারকা মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদসহ আর কোন সুপ্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার কোয়াবের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নন। অথচ অনেক আগে খেলা ছেড়ে বোর্ড পরিচালক হওয়া নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাহমুদ সুজন আর ক্রিকেটার ক্যারিয়ার শেষে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব পালনকারী দেবব্রত পালরা কেন সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ পদে? এমন মুখরোচক প্রশ্নে সোচ্চার ছিলেন ক্রিকেটারর।
কিন্তু চার বছরে সেই হইচই থেমে গেছে। ক্রিকেটারদের সেই লড়াই-সংগ্রাম শেষ। কোয়াব নিয়ে হইচইও শেষ এবং আজ ২০ মে শনিবার শেরে বাংলার প্লাজা গেটে কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভায় কেউ দাযিত্ব নিতে আগ্রহ দেখাননি।
কোয়াব সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা বহু দূরে, জাতীয় দলের টেস্ট, টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং অন্যতম সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমতো দেশেই নেই। দেশে থাকলেও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কোয়াব বার্ষিক সাধারণ সভায় আসেননি।
বর্তমান প্রজন্মেরর মধ্যে মাশরাফি দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের ঠিক পরপরই এসে উপস্থিত হন। আর বর্তমান জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন শান্ত আর নুরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন শুধু। –জাগোনিউজ২৪.কম
For add
For add
For add
For add
for Add