for Add
স্পোর্টস ডেস্ক : ১৪ মে ২০২৩, রবিবার, ১৭:০৬:২৩
জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের সাবেক পেস বোলিং কোচ এবং জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিক। গুরুতর অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাকে। তবে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে তার বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম।
ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন হিথ স্ট্রিক। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তার পরিবার একটি বিবৃতি দিয়েছে এরই মধ্যে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় একজন স্বনামধন্য অনকোলজিস্টের অধীনে চিকিৎসা করানো হচ্ছে হিথ স্ট্রিকের।’
তবে, মানসিকভাবে এখনও হিথ স্ট্রিক শক্ত রয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে। সেখানে লেখা হয়, ‘তিনি খুব ভালো স্পিরিটের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছেন। ক্রিকেট মাঠে যেভাবে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়াই করেছেন, সেভাবেই এই রোগের বিরুদ্ধে তিনি লড়াই করে যাবেন।’
‘হিথ স্ট্রিকের পরিবার আশা করছে, সবাই তার বিষয়টা বুঝতে পারবেন এবং তার জন্য প্রার্থনা করবেন। একই সঙ্গে পরিবারের প্রাইভেসি রক্ষা করারও অনুরোধ জানাচ্ছি।’
জিম্বাবুয়ের সাবেক শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ডেভিড কোলটার্ট টুইটে স্ট্রিকের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন। তার টুইট থেকে জানা যাচ্ছে, ‘এই মুহূর্তে একমাত্র অলৌকিক কিছুই স্ট্রিককে বাঁচাতে পারে।’
তিনি লিখেছেন, ‘জিম্বাবুয়ে এবং বাকি বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এটা একটা প্রার্থনার যুদ্ধ। হিথ স্ট্রিক, আমাদের দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এখন গুরুতর অসুস্থ। আমাদের প্রার্থনা তার ভীষণভাবে দরকার। তার এবং তার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।’
জিম্বাবুয়ের সাংবাদিক মাইক মাদোদা লিখেন, ‘হিথ স্ট্রিক জীবনের শেষ পর্যায়ে দাঁড়িয়ে। ইংল্যান্ড থেকে তার পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। একমাত্র অলৌকিক কিছুই ওকে বাঁচাতে পারে। প্রার্থনা রইল।’
১৯৯৩ সালে ১০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অভিষেক হয় স্ট্রিকের। দেশের হয়ে ১৮৯টি ওয়ানডে ম্যাচ এবং ৬৫টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। টেস্টে ১৯৯০ রান এবং ২১৬টি উইকেট রয়েছে তার। সাদা বলের ক্রিকেটে ২৯৪৩ রান এবং ২৩৯টি উইকেট রয়েছে। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি এবং এরপর ২০০৫-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষ ম্যাচ খেলেন। দেশকে ২১টি টেস্ট এবং ৬৮টি এক দিনের ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০১৪ সালের মে মাসে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হিসেবে যুক্ত হন হিথ স্ট্রিক। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৬ সালে ভারতের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কারণে আর বাংলাদেশের কোচের দায়িত্বে থাকেননি স্ট্রিক।
২০২১ সালে তাকে আট বছরের জন্যে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। ৪৯ বছরের ক্রিকেটার পরে ক্ষমা চান এবং জানান, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে কোনোও দিনই তিনি যুক্ত ছিলেন না। সূত্র : জাগোনিউজ২৪.কম
For add
For add
For add
For add
for Add