for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ৪ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার, ১৫:৫১:৩৯
সাকিব আল হাসান ও এবাদত হোসেনের বোলিং নৈপুণ্যে ৪১.২ ওভারে ১৮৬ রানেই গুটিয়ে গেল ভারতীয় দল। ফলে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে লিড নিতে হলে টাইগারদের দরকার ১৮৭ রান।
হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রোববার টস জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে ফিল্ডিং বেছে নেন।
ম্যাচের শুরু থেকে সাকিব-এবাদতের পাশাপাশি হাসান মাহমুদ, মেহেদি হাসান মিরাজরাও ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনকে চাপে ফেলে দেন। যে কারণে তারা বড় খুব একটা বড় স্কোর গড়ে তুলতে পারেনি।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারেই উইকেটের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে শিখর ধাওয়ান লাইন মিস করলে বল ব্যাটে লেগে স্টাম্প ভাঙলে ভারতের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়।
দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। এরপর দেখেশুনে খেলে দলকে কিছুটা পথ এগিয়ে নেন কোহলি আর রোহিত। ১০ ওভারে ভারত তোলে ১ উইকেটে ৪৮ রান।
একাদশতম ওভারে এসে জোড়া শিকার করে ভারতকে ফের চাপে ফেলে দেন সাকিব। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলিকে তিন বলের মধ্যে সাজঘরে ফেরান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ওভারে দ্বিতীয় বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলিয়ে রোহিতকে (৩১ বলে ২৭) বোল্ড করেন সাকিব। এক বল বিরতি দিয়ে ফেরান কোহলিকে।
ওই উইকেটে অবশ্য অবদান বেশি বলতে হবে লিটনের। এক্সট্রা কভারে বাজপাখির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নেন লিটন। কোহলি (৯) যেন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
৪৯ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন শ্রেয়াস আইয়ার আর লোকেশ রাহুল। তাদের ৫৬ বলে ৪৩ রানের জুটিটি অবশেষে ভাঙেন এবাদত হোসেন।
২০তম ওভারের শেষ বলে এবাদতের শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে বল সোজা আকাশে তুলে দেন আইয়ার (২৪)। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম নেন সহজ ক্যাচ। ৯২ রানে ভারত হারায় ৪ উইকেট।
একশর আগে ৪ উইকেট হারানো দলকে টেনে তুলছিলেন লোকেশ রাহুল আর ওয়াশিংটন সুন্দর। ৭৫ বলে তারা ৬০ রান যোগ করলে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ায় ভারত।
তবে সাকিবের ঘূর্ণিতে ফের কোণঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারিরা। সুন্দরকে সাজঘরে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে এবাদতের ক্যাচ হন সুন্দর (১৯)।
এরপরের ওভারে এবাদত নিজেই আঘাত হানেন। এবার তাকে সাহায্য করেন সাকিব। শাহবাজের (০) একদম নিচু হয়ে যাওয়া ক্যাচ কভারে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দী করেন। তার পরের ওভারে সাকিব বোল্ড করে ফেরান শার্দুল ঠাকুরকেও (২)।
ওই ওভারেই দুই বল পর চাহালকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে ফাইফার পূরণ করেন সাকিব। ১৫৬ রানে ৮ উইকেট হারানো ভারতের শেষ ভরসা হয়ে ছিলেন লোকেশ রাহুল।
এবাদতের শর্ট বলের ফাঁদে শেষ পর্যন্ত তিনিও ধরা পড়েন। থার্ড ম্যানে সহজ ক্যাচ নেন এনামুল বিজয়। ৭০ বলে গড়া রাহুলের ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৫ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কার মার।
সাকিব ৩৬ রান খরচায় নেন ৫টি উইকেট। ৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন এবাদত।
For add
For add
For add
For add
for Add