for Add
বাসস : ৩ ডিসেম্বর ২০২২, শনিবার, ১৮:৩১:৩৫
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশে থাকা দলগুলোর মধ্যে একমাত্র নেদারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড বাদে সব দলই এবারের কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে পরাজয়ের স্বাদ গ্রহণ করেছে। সেই আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করেই আগামীকাল রোববার নক আউট পর্বেও এগিয়ে যেতে চায় গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। আল বায়াত স্টেডিয়ামে শেষ ষোলতে তাদের প্রতিপক্ষ আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগাল।
ওয়েলসকে শেষ ম্যাচে হারিয়ে গ্রুপ-বি’র শীর্ষ দল হিসেবেই ইংল্যান্ড শেষ ষোলর টিকিট পেয়েছে। অন্যদিকে সেনেগালও নিজেদের যোগ্যতা দিয়েই টুর্নামেন্টের নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে। এই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে সেনেগালের মোকাবেলা করতে যাচ্ছে থ্রি লায়ন্সরা।
শেষ ম্যাচে প্রতিবেশী ওয়েলসকে দ্বিতীয়ার্ধের তিন গোলে পরাজিত করে দাপটের সাথে নক আউট পর্বে খেলতে এসেছে গতবারের সেমিফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড। আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে ৫০ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে ডেডলক ভাঙ্গেন মার্কোস রাশফোর্ড। এরপর ৯০ সেকেন্ডের মধ্যে ফিল ফোডেন ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৬৮ মিনিটে রাশফোর্ডের দ্বিতীয় গোলের ইংল্যান্ডের বড় জয় নিশ্চিত হয়। এটি ছিল বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শততম গোল।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্রয়ের পর ইংল্যান্ডকে নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল। অথচ ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়ে দারুনভাবে বিশ^কাপ শুরু করেছিল ইংলিশরা। আক্রমণভাগের দারুণ সেই ছন্দ দ্বিতীয় ম্যাচে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ২০১৮ সেমিফাইনালে খেলা দলটির ম্যানেজার হিসেবে সাউথগেট তার অভিজ্ঞতা আরো একবার কাজে লাগিয়ে ঠিকই তৃতীয় ম্যাচে আবারো শক্তিশালী ভাবেই ফিরে এসেছেন। গত বছর ইউরোতে ঘরের মাঠে ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে।
বড় আসরের শিরোপা খড়া কাটাতে মরিয়া পুনরুজ্জীবিত ইংল্যান্ড বারবার একই ভুল আর করতে চায় না। ১৯৬৬ সালে একমাত্র পাওয়া শিরোপাটা আবারো ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায় সাউথগেটের উজ্জীবিত শিষ্যরা।
আফ্রিকান কোন দলের বিরুদ্ধে গত ১০ ম্যাচে পরাজিত হয়নি ইংল্যান্ড। সে কারণেই সেনেগালের বিরুদ্ধে কাগজে কলমে ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নামবে ইংলিশরা।
কাতারে খেলতে আসার আগে কয়েকদিন অবশ্য সাউথগেটের দলের সময়টা মোটেই ভাল যায়নি। উয়েফার নেশন্স লিগে পরাজিত হয়ে দ্বিতীয় টায়ারে নেমে যাবার পর বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও শঙ্কার মধ্যে পড়ে। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুই তারকা রাশফোর্ড ও হ্যারি ম্যাগুয়েরের ফর্মে ফেরা কাতারে ইংল্যান্ডের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। গত কয়েক বছর ধরে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট খেলার অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে চায় ইংল্যান্ড।
সেনেগালও আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে খেলতে এসে নিজেদের লক্ষ্য ঠিকই অর্জন করে ফেলেছে। নক আউট পর্ব খেলার প্রাথমিক লক্ষ্য পূরনের পর এবার আরো এগিয়ে যাবার পালা। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে তারা খেলতে যাচ্ছে।
ইকুয়েডরের সাথে ৭০ মিনিটে অধিনায়ক কালিদু কুলিবালির গোলের সেনেগালের ২-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয়। আর এতেই মিলে নক আউটের টিকিট। এর আগে নেদারল্যান্ডের সাথে প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল সেনেগাল। ২০০২ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলা সেনেগাল দলের দুই সদস্য আলিয়ু সিজে ও এল হাডজি ডিউফ এবারের দলটিতে কোচ ও সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। এখন এই দুজনের লক্ষ্য ইংল্যান্ডকে হঠিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা। কাতারে ইনজুরির কারণে সিজে দলে পাননি মূল তারকা সাদিও মানেকে। কিন্তু ২০১৫ সালে সেনেগালের দায়িত্ব পাবার পর থেকে দারুণ একটি প্রতিভাবান ও কৌশলী দল তিনি হাতে পেয়েছেন। একসাথে সবাই মিলে দলকে পুনর্গঠন করে প্রথমবারের মতো আফ্রিকান নেশন্স কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছেন।
ইউরোপীয়ান কোন দলের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে নয়টি ম্যাচের মধ্যে আটটিতেই পরাজিত হয়েছে সেনেগাল। তাদের একমাত্র জয়টি এসেছিল সুইডেনের বিরুদ্ধে।
এদিকে ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট আরো একবার কাইল ওয়াকার, ফোডেন, জর্ডান হেন্ডারসন ও রাশফোর্ডের উপর আস্থা রাখতে চাচ্ছেন। এই চারজন একসাথে ওয়েলসের বিরুদ্ধে মূল দলে খেলেছেন। তবে কিয়েটান ট্রিপিয়ার, বুকায়ো সাকা ও দীর্ঘদিনের ফেবারিট রাহিম স্টার্লিংও আলোচনায় আছেন। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডোর জুড বেলিংহ্যামের সাথে ডিক্লান রাইস ও হেন্ডারসন থাকবেন। কালভিন ফিলিপস ও জেমস ম্যাডিসনও পরিপূর্ণ ফিটনেস ফিরে পেয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। চার বছর আগে গোল্ডেন বুট বিজয়ী অধিনায়ক হ্যারি কেন এখনো কাতারে গোল পাননি। তারপরও থ্রি লায়ন্সদের আক্রমণভাগকে তিনিই নেতৃত্ব দিবে।
সেনেগাল শুধমাত্র সাদিও মানে নয়, এভারটনের ইদ্রিসা গুয়েকে হলুদ কার্ডের কারণে দলে পাবে না। শেষ ম্যাচে গোঁড়ালির ইনজুরিতে পড়েছেন মিডফিল্ডার চেইকু কুয়াটে। তার স্থানে লিস্টার সিটির নামপালিস মেন্ডির খেলার সম্ভাবনাই বেশি।
For add
For add
For add
For add
for Add