for Add
বাসস : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, মঙ্গলবার, ২০:০১:২২
করোনা প্রতিষেধক টিকা না নেয়ায় অস্ট্রেলিয়া থেকে বিতাড়িত বিশ্বের এক নম্বর তারকা নোভাক জকোভিচের এবার ফ্রেঞ্চ ওপেনে খেলা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের মত ফরাসী সরকার ফ্রান্সে খেলতে আসতে হলে যেকোন বিদেশী খেলোয়াড়কে করোনা ভ্যাক্সিন নেয়া থাকতে হবে এ সংক্রান্ত নতুন আইন পাস করেছে। রোববার ফরাসী সংসদে এই সংক্রান্ত আইন পাস হয়েছে বলে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে।
ভ্যাক্সিন না নেয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলতে মেলবোর্নে গিয়েও শেষ পর্যন্ত না খেলেই দেশে ফিরে আসতে হয়েছে জকোভিচকে। বিষয়টি আইন আদালত পর্যন্ত গড়ালেও রায় বিপক্ষে যাওয়ায় জকোভিচের অস্ট্রেলিয়ান ভিসা বাতিল করা হয়।
এর আগে গত সপ্তাহে ফরাসী ক্রীড়ামন্ত্রী রোক্সানা মারাসিনেনা বলেছিলেন বিশেষ মেডিকেল বিবেচনায় বিশেষ কিছু ইভেন্টে বিশ্বের তারকা ক্রীড়াবিদদের ভ্যাক্সিন না নেয়া থাকলেও ফ্রান্সে আসার অনুমতি দেয়া যেতে পারে। এসময় তিনি বিশেষ করে ফ্রেঞ্চ ওপেনের দরজা জকোভিচের জন্য খোলা রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। গত বছর ভ্যাক্সিন ছাড়া খেলোয়াড়দের ফ্রেঞ্চ ওপেনে খেলার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। তবে সব খেলোয়াড়কে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকেই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হয়েছিল।
নতুন আইনে ৩৪ বছর বয়সী সার্বিয়ান তারকার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পর এখন ফ্রেঞ্চ ওপেনেও শিরোপা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়লো। ফ্রান্সে খেলা না হলে রেকর্ড ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপার জন্য জকোভিচকে ২০২২ সালে শুধুমাত্র উইম্বলডনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। কারণ ইউএস ওপেনে ইতোমধ্যেই ভ্যাক্সিনেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ফ্রান্সের ভ্যাক্সিন আইনানুযায়ী রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, সিনেমা হল ও আন্ত:নগর ট্রেনে ভ্রমণের সময় জনগণকে অবশ্যই ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট প্রদর্শন করতে হবে। এই আইন কার্যকর হবার পর আগামী মাসে ফ্রান্সে একটি বড় ক্রীড়া ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী ৬-১৯ ফেব্রুয়ারি ছয় জাতি নেশন্স রাগবি চ্যাম্পিয়নশিপের স্বাগতিক এবার ফ্রান্স। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ইতালি, ১২ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ড ও ১৯ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে ফ্রান্স।
For add
For add
For add
For add
for Add