for Add
স্পোর্টস ডেস্ক : ১১ নভেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার, ০:১১:৪১
মঈন আলী ও ডেভিড মালানের ব্যাটে চড়ে ভালো পুঁজি পেল ইংল্যান্ড। সেটা নিয়ে লড়াইয়ে বোলিংয়ে নেমে তাদের শুরুটাও হলো দারুণ। দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন নিউজিল্যান্ড ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
তবে চাপের মুখে ড্যারিল মিচেল ও ডেভন কনওয়ের বড় জুটিতে ঘুরে দাঁড়াল তারা। এরপর উইকেটে গিয়েই ঝড় তুললেন জিমি নিশাম। তিনি আউট হলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন মিচেল। ফলে ইংলিশদের বিদায় করে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল কিউইরা।
বুধবার আবুধাবিতে আসরের রোমাঞ্চকর প্রথম সেমিফাইনালে ৫ উইকেটে জিতেছে উইলিয়ামসনের দল। ওয়েন মরগ্যানরা আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তুলেছিলেন ৪ উইকেটে ১৬৬ রান। জবাবে ৬ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান তুলে জয় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড।
সবশেষ ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুদল। সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হওয়ার পর বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংল্যান্ড। এবারের লড়াইয়ে জিতে সেই গভীর ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
দুর্দান্ত ইনিংসে ওপেনার মিচেল ৪৭ বলে ৭২ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ব্যাট থেকে আসে সমান ৪টি করে ছয় ও চার। চারে নামা কনওয়ে খেলেন ৩৮ বলে ৪৬ রানের কার্যকর ইনিংস। তিনি মারেন ৫ চার ও ১ ছয়। ছয় নম্বরে উইকেটে যাওয়া নিশাম আগ্রাসন চালিয়ে মাত্র ১১ বলে ১ চার ও ৩ ছয়ের সাহায্যে করেন ২৭ রান।
শেষ চার ওভারে কিউইদের দরকার ছিল ৫৭ রান। তখন ম্যাচের পাল্লা হেলে ছিল ইংলিশদের দিকে। কিন্তু পেসার ক্রিস জর্ডানের করা ১৭তম ওভারে বিস্ফোরণ ঘটান নিশাম। ওই ওভার থেকে ২ ছক্কা ও ১ চারে আসে ২৩ রান। এরপর মিচেলও যোগ দেন তাণ্ডবে।
পরের ওভারে ১৪ রান আসলেও নিশামকে বিদায় করেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ। ততক্ষণে অবশ্য লক্ষ্য চলে আসে নিউজিল্যান্ডের নাগালে। এরপর ক্রিস ওকসের করা ১৯তম ওভারে ২ ছক্কা ও ১ চার মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন মিচেল।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত বাউন্ডারি আদায় করে নিতে থাকে ইংলিশরা। দুই অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদি-ট্রেন্ট বোল্ট মিলে পাঁচ ওভার করার পর বোলিংয়ে পরিবর্তন আনেন উইলিয়ামসন। তাতে মেলে সাফল্য। আক্রমণে এসে প্রথম বলেই জনি বেয়ারস্টোকে ফেরান আরেক গতি তারকা অ্যাডাম মিলনে। মিড অফে সামনে ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন উইলিয়ামসন।
বেয়ারস্টোর বিদায়ে ভাঙে ৩৭ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১৭ বলে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। রিভার্স সুইপ করে রান পাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার বাটলার। কিন্তু ওই শট খেলতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। নবম ওভারে স্পিনার ইশ সোধির বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। রিভিউ নিলেও কাজ হয়নি। ২৪ বলে ৪ চারের সাহায্যে তিনি করেন ২৯ রান।
ইংলিশদের আরও চেপে ধরতে পারত নিউজিল্যান্ড। জিমি নিশামের করা পরের ওভারে মালানের দুরূহ ক্যাচ ফেলে দেন উইকেটরক্ষক ডেভন কনওয়ে। তখন ১০ রানে খেলছিলেন তিনি। ম১৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ৩১ রানে ফের জীবন পান মালান। জোরালো ফিরতি ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি মিলনে।
ওই ওভারের শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছুঁয়ে ফেলে শতরান। পরের ওভারে পূরণ হয় মঈনের সঙ্গে তার জুটির ফিফটি। সেখানে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন মালান। তবে আক্রমণে ফেরা সাউদির প্রথম ডেলিভারিতে ছক্কা মারার পরপরই সাজঘরের পথ ধরতে হয় তাকে। এবার ক্যাচ নিতে ভুল করেননি কনওয়ে। এতে ভাঙে ৪৩ বলে ৬৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি। মালান ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ বলে করেন ৪১ রান।
শুরুতে ব্যাটে-বলে ভুগছিলেন মঈন। সময় নিয়ে থিতু হওয়ার পর হাত খুলতে শুরু করেন তিনি। উপযুক্ত পরিস্থিতি পেয়ে মারমুখী মেজাজ দেখান লিয়াম লিভিংস্টোন। এই জুটিতে আসে ২৪ বলে ৪০ রান।
ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে নিশামের শিকার হন লিভিংস্টোন। লং অনে মিচেল স্যান্টনারের হাতে ধরা পড়ার আগে ১০ বলে একটি করে চার-ছয়ে ১৭ রান করেন তিনি। পরের বলে চার মেরে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মঈন।
এক পর্যায়ে, মঈনের রান ছিল ১৭ বলে ১৭। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৫১ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও ২ ছক্কা। মরগ্যান অপরাজিত থাকেন ২ বলে ৪ রানে। শেষ ছয় ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ৬৬ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সাউদি, নিশাম, সোধি ও মিলনে নেন একটি করে উইকেট। তবে খরুচে ছিলেন বোল্ট। চার ওভারে ৪০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন তিনি।
আগামী ১৪ নভেম্বর দুবাইতে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া কিংবা পাকিস্তানকে মোকাবিলা করবে নিউজিল্যান্ড। এই দুদল আগামীকাল বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হবে পরস্পরের।
Tags: ইংল্যান্ড-ক্রিকেট, নিউজিল্যান্ড-ক্রিকেট, বিশ্বকাপ-ফাইনাল
For add
For add
For add
For add
for Add