for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১ অক্টোবর ২০২০, বৃহস্পতিবার, ২৩:৫৬:৪৮
শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। সভাপতিহীন সমন্বয় পরিষদ ফুটবল উন্নয়নে ২৪ দফা সম্বলিত ইশতেহার ঘোষণা করে। প্যানেলের সহসভাপতি প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মহি পরিষদের পক্ষে ইশতেহার পড়ে শোনান।
এর আগে কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ ২০ সেপ্টেম্বর ৩৬ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে। তবে এককভাবে সভাপতি পদে নির্বাচন করা শফিকুল ইসলাম মানিক ২১ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন ২৯ সেপ্টেম্বর।
কাজী মো. সালাউদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম মানিকের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার পর সবার আগ্রহ ছিল বাফুফে নির্বাচনে শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃত্বাধীন সমন্বয় পরিষদ কি প্রতিশ্রুতি দেয়। সমন্বয় পরিষদ আজ তাদের প্যানেল পরিচিত অনুষ্ঠানে ইশতেহার ঘোষণা করে নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কাউন্সিলরদের জানিয়েছেন।
সমন্বয় পরিষদ ২৪ দফার ইশতেহারের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা নিয়ে ১২ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কথা বলেছে।
এ ছাড়া নির্বাচনী ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল জেলা, উপজেলায় নিয়মিত লিগ, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা, সোহরাওয়ার্দী কাপ, শেরে বাংলা কাপ আয়োজন, প্রিমিয়ার লিগ কাঠামো ঢেলে সাজানো, অন্যান্য লিগ পরিচালনায় আর্থিক সহায়তা প্রদান, প্রত্যেক জেলা লিগ চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে শেখ রাসেলের নামে জাতীয় ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের কথা বলা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সেই নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবলে সহযোগিতা প্রদান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বয়স যাচাই ঝামেলা এড়ানোর লক্ষ্যে উপজেলা থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের একক রেজিস্ট্রেশন প্রথার আওতায় আনা, আন্তঃস্কুল, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতা আয়োজন করার কথা ইশতেহারে উল্লেখ করেছে।
নির্বাচনী ইশতেহারে আরো বলা হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সাফল্য ফিরিয়ে আনাকে মূল লক্ষ ধরে ভালোমানের দল নিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ও শেখ কামাল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন করা, মেয়েদের ফুটবল লিগ নিয়েও আলাদা পরিকল্পনা, বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দল আলাদা করে গঠনের উদ্যোগ, জিম স্থাপন, একটি আর্কাইভ তৈরি করে তাতে অতীত ও বর্তমানের সব খেলোয়াড়ের রেকর্ড সংরক্ষণ করা এবং প্রতি বছর বার্ষিক সাধারণ সভা করে সবকিছু সবাইকে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
এমন কী, সারাদেশের ক্লাবগুলোকে আর্থিক সাহায্য, অফিস ও কর্পোরেট লিগ আয়োজন, জাতীয় দলের জন্য ৪, ৮ ও ১২ বছর মেয়াদী বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন, ফিফা রাংঙ্কিয়ে উন্নতি ও খেলোয়াড়দের ইন্স্যুরেন্স পলিসির মধ্যে আনা, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আগামী চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে শিরোপা প্রত্যাশী দল হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেছে সমন্বয় পরিষদ।
For add
For add
For add
For add
for Add