for Add
স্পোর্টস ডেস্ক : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার, ২২:১৬:০৭
চতুর্থ আদিবাসী ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ পেয়েই নিজের জাত দেখালেন স্কট বোল্যান্ড। ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ৩-০ তে অ্যাশেজ জেতাতে অবদান রাখলেন। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বক্সিং ডে টেস্ট শেষ হলো তৃতীয় দিন লাঞ্চের আগেই। মঙ্গলবার সকালে এক ঘণ্টার একটু বেশি সময় পরই অ্যাশেজের ভস্মদানি নিজেদের কাছে রাখা নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ওপর অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা চড়াও হয়েছিল শুরু থেকেই। দ্বিতীয় দিন শেষ ঘণ্টায় তিন বলে দুই উইকেট নেওয়া বোল্যান্ড তৃতীয় দিন সকালে ইনিংস ও ১৪ রানের জয়ে নেন আরো চার উইকেট। ২১ বলের ব্যবধানে ৬ উইকেট নেন এই পেসার।
৪ উইকেটে ৩১ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল ইংল্যান্ড, যার মধ্যে অন্য দুটি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। নতুন সকালে প্রথম ২৫ মিনিটের মধ্যে বেন স্টোকসের উইকেট নেন তিনি, শেষ করেন ২৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ১৮৫ রানে আটকে দেওয়ার পেছনে প্যাট কামিন্স ও নাথান লিয়ন তিনটি উইকেট করে উইকেট নেন। তবে শেষ চিত্রনাট্য লেখা ছিল বোল্যান্ডের জন্য। ভিক্টোরিয়ার হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করে এমসিজি স্পেশালিস্ট হিসেবে দলে জায়গা পাওয়া এই পেসার প্রথম ইনিংসে ৪৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। তবে তার বল ব্যাটসম্যানদের কাঁদিয়ে ছেড়েছে এবং সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নিলেন ৬ উইকেট। তাতে করে ম্যাচসেরার পুরস্কার মুলাঘ মেডেল জিতেছেন তিনি।
দ্বিতীয় দিন করোনার হানায় কাঁপন ধরেছিল ইংল্যান্ডের ক্যাম্পে। খেলোয়াড়রা নেগেটিভ হওয়ায় ম্যাচ মাঠে গড়ায়, কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে বড় লিড নিতে দেয়নি তারা। ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে নড়বড়ে ব্যাটিং লাইন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ৬৮ রানে অলআউট তারা।
১৯৩৬ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় এটাই সর্বনিম্ন অ্যাশেজ স্কোর এবং ১৯০৪ সালের পর দেশটিতে ইংল্যান্ডের সর্বনিম্ন দলীয় রান।
স্টোকসের (১১) মিডল স্টাম্প ভেঙে দেন স্টার্ক। অজি পেসারের ফুলারে ডিফেন্সিভ শট খেলতে গিয়ে বোল্ড ইংলিশ ব্যাটসম্যান। বোল্যান্ড তার দিনের পঞ্চম বলে জনি বেয়ারস্টোকে (৫) এলবিডব্লিউ করেন। ওই ওভারের প্রথম বলে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে গালিতে জীবন পাওয়া এই ব্যাটসম্যান রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে বিদায় নেন।
কামিন্সের বলে রুট তো আহত হওয়ার মতো অবস্থায় পড়েছিলেন। এক সপ্তাহে তৃতীয়বারের মতো কুচকিতে আঘাত পান তিনি। এবার অবশ্য তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়ান। এবারো ইনিংস সেরা ২৮ রান করেন, কিন্তু বোল্যান্ডের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ হন। এই বছর শেষ করলেন ১৭০৮ রান করে, এক বর্ষপঞ্জিকায় সর্বোচ্চ রানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভিভ রিচার্ডসের চেয়ে দুটি কম এবং মোহাম্মদ ইউসুফের চেয়ে ৮০ রান দূরে থেকে।
ইংল্যান্ড তারপর অসহায় আত্মসমর্পণ করে বোল্যান্ডের তিন বলের ব্যবধানে খালি হাতে মার্ক উড ও ওলি রবিনসনের বিদায়ে। এই বছর ৫৪ বার ডাক দেখল ইংল্যান্ড। উড বোল্যান্ডকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে পঞ্চম শিকার হন এবং রবিনসন আউটসাইড অফ স্টাম্পের বলে তৃতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন মার্নাস লাবুশেনকে।
ইংল্যান্ডের শেষ উইকেটটি পান গ্রিন, জেমস অ্যান্ডারসনকে ২ রানে ফেরান তিনি। তাতে অস্ট্রেলিয়া পায় দারুণ জয় এবং বোল্যান্ড নাম লিখলেন স্মরণীয় ব্যক্তিদের কাতারে।
For add
For add
For add
For add
for Add