for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১ জুলাই ২০১৬, শুক্রবার, ২১:৪৬:৫৫
তাও ভালো লিগটা শেষ হয়েছে! প্রায় আড়াই বছর পর মাঠে ফেরা হকি লিগটা সত্যিই যদি শেষ পথে এসে কিংবা মাঝের কোন সময়ই থমকে যেত, তবে হকি নিয়ে দেশের মানুষের হাহাকারের আর শেষ থাকতো না। মেরিনার্স ও ঊষার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আজ (শুক্রবার) লিগ শেষ হওয়ার পর ফেডারেশন কর্মকর্তারা তাই তৃপ্তির হাসি হাসতেই পারেন। লিগটা চালাতে কম ঝামেলা তো পোহাতে হয়নি।
তবে এতদিন যত গন্ডগোল-হাঙ্গামা হয়েছে মাঠে, আজ মেরিনার্স তার সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। ঊষার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলে জয়ী ম্যাচের তখন ২০ মিনিট অতিবাহিত হয়েছে। মেরিনার্সকে তখন যেভাবে চেপে ধরেছে ঊষা, তাতে মনে হচ্ছিল বড় হার দিয়েই বুঝি লিগ শেষ করতে হবে মেরিনার্সকে। কিন্তু মাঠে সব চিত্র পাল্টে গেল হঠাৎ। ম্যাচে ঊষা তখন ২-০ গোলে এগিয়ে। ঊষার নিলয় মেরিনার্সের ইশতিয়াককে ফাউল করলে আম্পায়ারের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে যান দলটির (মেরিনার্স) পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড তৌসিফ। তাকে সবুজ কার্ড দেখিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মেরিনার্স সমর্থরকা। প্রথমে গ্যালারির চেয়ার ভেঙ্গে তা মাঠে ছুঁড়ে মারা। পরে ভিআইপি বক্সের ভেতর সামনের কাঁচ, চেয়ার, সোফা ভেঙ্গে লঙ্কাকান্ড বাঁধিয়ে ফেলে। এসময় খেলা দেখতে যাওয়া মোহামেডানের এক কর্মকর্তাকে লাঞ্চিত করেন মেরিনার্সে এক কর্মকর্তা। জানা যায় এ সময় ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেকও সেখানে বসে খেলা দেখছিলেন। এ ঘটনায় খেলা ২০ মিনিট বন্ধ ছিল।
এরপর বদলে যায় মাঠের চিত্রও। ঊষা চলে যায় ব্যকফুটে। খেলায় ফিরে এসে পিছয়ে পড়া ম্যাচেও জয় ছিনিয়ে আনে মেরিনার্স। প্রিমিয়ার হকিতে হয় প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন।
পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে এমন লঙ্কাকান্ড না ঘটলেও গন্ডগোল ছিল এবারের লিগের নিত্য সঙ্গি। মাঠে খেলোয়াড়দের আচরণ ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। এক দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আরেক দলের খেলোয়াড়দের মারামারি থেকে শুরু করে আম্পায়ারদের গায়ে হাত দেওয়ার মত ঘটনাও ঘটেছে লিগে। প্রতিদিনই নির্দিষ্ট সময়ে খেলা শেষ করতে বেগ পেতে হয়েছে ফেডারেশনকে। লিগে প্রায় প্রতিদিনই দুটি করে খেলা রেখেছিল ফেডারেশন। এই দুটি খেলার কোনটা সময়ের অভাবে অন্যদিনও অনুষ্ঠিত হতে দেখা গেছে। বিদেশী আম্পায়ার, রেফারেল পদ্ধতির ব্যবস্থা করেও বিতর্ক থেকে রেহাই পাওয়া যায়নি।
For add
For add
For add
For add
for Add