for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৭ মে ২০২৩, বুধবার, ২০:১৯:০৩
গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স দ্বিতীয় বিভাগ হকি লিগে ঢাকা ইয়াংস্টার ক্লাব অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন অবশেষে ৩২ বছর পর প্রথম বিভাগ হকি লিগে পা রাখলো।
আজ মাওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে লিগের শেষ ম্যাচে শিরোপা জয়ের জন্য দলটির নুন্যতম ড্রয়ের প্রয়োজন ছিল। সেই পয়েন্টের খোঁজে পুরনো ঢাকার দলটি বর্ণক সমাজের মুখোমুখি হয়। তবে ১ পয়েন্ট নয়, সাবিতের হ্যাটট্রিকের উপর ভর করে বর্ণক সমাজকে ৪-১ গোল হারিয়ে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা মাঠ ছাড়ে।
ঘরোয়া হকিতে ইয়াংস্টার ক্লাবের ইতিহাস বেশ পুরনো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগ থেকেই খেলছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে দলটির ফের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে হয়েছিল রানার্সআপ। মাঝে প্রথম বিভাগে খেলার পর ৩২ বছর ছিল নিচের সারিতে। তবে দ্বিতীয় বিভাগের সবশেষ দুই আসর ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে সুযোগ ছিল প্রথম বিভাগে পা রাখার। সেই দুই আসরে দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব এবং রায়ের বাজার স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়াতে কপাল পুড়ে। ফলে রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হয় ইয়াংস্টারকে।
একই অবস্থার মধ্যে পড়েছিল এবারের লিগেও। রক্তিম সংঘ প্রায় চ্যাম্পিয়নই হয়ে যাচ্ছিল। সেই রক্তিমকে শেষ পর্যন্ত রুখে দিতে সমর্থ হয় তারা। ৬ খেলার ৬টিতে জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন ইয়াংস্টার। ৬ খেলার ৫টিতে জয় এবং ১ হারে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ রানার্সআপ হয়েছে রক্তিম সংঘ।
এবার লিগে শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছে ইয়াংস্টার। সাবিত, রাসু, নৈঋত, সামিররা লিগের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছেন। রাসু, সাবিতরা আবার বেশ কয়েকটি ম্যাচে হ্যাটট্রিকও করেছেন। এমনকি আজ লিগ শিরোপা নির্ধারণ ম্যাচেও হ্যাটট্রিকের ঘটনা ঘটেছে। হ্যাটট্রিক করেছেন পুরনো ঢাকা আরমানিটোলা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওস্তাদ ফজলুর আবিস্কার সাবিত। লিগে সর্বোচ্চ ১২টি গোলও করেছেন এই ফরোয়ার্ড। শিরোপা জেতার পর সাবিত বলেন, ‘আমার খুব ভাল লাগছে যে আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। টুর্নামেন্টে আমি ভাল করেছি। অনেকগুলো গোল করেছি। আজও আমার হ্যাটট্রিকে দল জিতেছে। আমার সাফল্যের পেছনে আমার বাবা, মা, ইয়াংস্টারের কোচ, ওস্তাদ ফজলু যার মাধ্যমে আমার হকিতে আসা সবার অবদান রয়েছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
ইয়াংস্টার ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোস্তাক হোসেন মনা বলেন, ‘আমরা এই দিনটির জন্য চাতকের মতো অপেক্ষায় ছিলাম। দীর্ঘ ৩২ বছর পর আমাদের দল প্রথম বিভাগে উঠেছে। গেল দুই আসরে আমরা অল্পের জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। রানার্সআপ ছিলাম। সবার চেষ্টায় বিশেষ করে আমার কোচ, অফিসিয়াল, খেলোয়াড়দের পরিশ্রমে এই ফল পেয়েছি। প্রথম বিভাগে উঠেছি। সেখানেও আমরা ভাল দল গড়ে প্রতিযোগিতায় নামব।’
For add
For add
For add
For add
for Add