for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৪ আগস্ট ২০১৬, রবিবার, ২১:৫১:২৩
বামপ্রান্ত দিয়ে ইয়ামিন মুন্নার বাড়িয়ে দেয়া বলটি আয়ত্ত্বে নিয়েই গোলমুখে ক্রস নেন সোহেল রানা। অনেকটা লাফিয়ে সে ক্রসে নিঁখুতভাবে মাথার সংযোগ ঘটান জাহিদ হোসেন। তার মাথা হয়ে বল যখন কাঁপিয়ে দিলো উত্তর বারিধারার জাল তখন ম্যাচের বয়স ৩৪ সেকেন্ড। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম দ্রুততম গোলে ম্যাচ শুরু হতে না হতেই লিড চট্টগ্রাম আবাহনীর। ধরেই নেয়া হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী দিনে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে বড় অঘটনের জন্ম দেয়া উত্তর বারিধারার কপালে দূর্ভোগই আছে এ ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। ময়মনসিংহ রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে এ বছর প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসা দলটিকে গোল বন্যায়ই ভাসিয়েছে শিরোপা প্রত্যাশি চট্টগ্রাম আবাহনী। স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন দলটি মাঠ ছেড়েছে ৬-১ গোলের বড় জয় নিয়ে। জাহিদ ছাড়াও চট্টগ্রাম আবাহনীর জোড়া গোল করেছেন ইব্রাহিম। বাকি ৩ গোল লিওনেল, শাকিল ও রায়হানের। উত্তর বারিধারার একমাত্র গোলদাতা খালেকুজ্জামান সবুজ।
অথচ খালেকুজ্জামান সবুজের গোলটি দারুন একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপুর্ন ম্যাচের ইঙ্গিত দিয়েছিল। পিছিয়ে পড়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই তার দর্শনীয় গোলে ম্যাচে ফিরেছিল উত্তর বারিধারা। পঞ্চম মিনিটের ওই গোলটিই ছিল ঢাকার ক্লাবটির আনন্দের শেষ উপলক্ষ্য। ম্যাচের বাকি সময় তারা হয় চট্টগ্রাম আবাহনীর আক্রমন ঠেকিয়েছে, না হয় জাল থেকে বল কুড়িয়েছে। দুই দলের শক্তি-সামর্থ্যের যে পার্থক্য তা শতভাগ মেলে ধরে চট্টগ্রাম আবাহনী তুলে নিয়েছে এবারের আসরের সবচেয়ে বড় জয়টি। তাদের গোলের পর গোল বেশ হাত চাপরিয়ে উপভোগ করেছেন ময়মনসিংহের দর্শক। আর উত্তর বারিধারার খেলোয়াড়-কোচ-কর্মকর্তারা চাপড়িয়েছে তাদের কপাল।
দুর্দান্ত এ জয় পঞ্চম রাউন্ড শেষে চট্টগ্রাম আবাহনীকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকাও নিশ্চিত করেছে। ৫ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। উত্তর বারিধারার পয়েন্ট ৩। শেখ রাসেলকে হারানোর পর টানা ৪ ম্যাচ হারলো তারা।
For add
For add
For add
For add
for Add