for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৭ জুন ২০১৬, সোমবার, ১৪:০৭:১৫
প্রশ্নটা দুই দিক থেকেই। স্পেন টিকে থাকবে? নাকি ইতালি। স্পেন বিদায় নেবে? নাকি মাথা নিচু করে ঘরে ফিরবে ইতালি। উত্তরটা যেভাবেই হোক, আজ (সোমবার) রাতে বিদায় নিতে হচ্ছে এক দলকে। এখন দেখার অপেক্ষা দলটি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন না রানার্সআপরা। গত আসরের দুই ফাইনাস্টের মধ্যেকার ইউরো কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচটিই হয়তো হয়ে থাকবে এবারের আসরের সবচয়ে আকর্ষণীয় এবং আলোচিত ম্যাচ।
২০১২-র সর্বশেষ ইউরোতেই শিরোপা-মঞ্চে দেখা হয়েছিল স্পেন-ইতালির। অথচ চার বছর বাদে আজ দুই পরাশক্তির দেখা হয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয় রাউন্ডে। শেষ ষোলোতেই ইউরো অভিযান শেষ হয়ে যাচ্ছে কোনো এক দলের। গত দুইবারের ট্রফিজয়ীরা এবার পারেনি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে। ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়ে ওঠে নকআউট পর্বে। ইতালি প্রত্যাশানুযায়ী হয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। যে কারণে অপ্রত্যাশিতভাবে নকআউট পর্বের শুরুতেই মুখোমুখি স্পেন-ইতালি।
এই ফুটবল-দ্বৈরথে অনেক রোমাঞ্চ। ২০০৮ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে যখন মুখোমুখি হয় তারা, বড় প্রতিযোগিতায় আগের পাঁচ মুখোমুখিতে কখনো ইতালিকে হারাতে পারেনি স্পেন। ফেভারিট ছিল তাই নীল জার্সিধারীরা। কিন্তু সেবার ঠিকই টাইব্রেকারে জিতে যায় স্পেন। ২০১২ ইউরো জয়ের পথে প্রথম রাউন্ডে আজ্জুরিদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র দেল বোস্কের দলের, ফাইনালের বিস্ফোরক জয় ৪-০ ব্যবধানে। ২০১৩ কনফেডারেশনস কাপের সেমিফাইনালে আবারও জেতে টাইব্রেকারে। আর প্রীতি ম্যাচ হিসাবের মধ্যে ধরলেও সর্বশেষ ১১ ম্যাচে স্পেনকে কেবল একবার হারিয়েছেন ইতালি।
আজকের লড়াইয়ে খানিকটা হলেও এগিয়ে স্পেন। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রকে হারায় তারা বেশ কষ্টে। পরের খেলায় তুরস্ককে উড়িয়ে দেয় একেবারে, এবারের ইউরোর অন্যতম সেরা দলীয় পারফরম্যান্সে। অথচ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেই স্পেনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১-২ গোলে হেরে যায় তারা। অন্যদিকে ইতালি নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামকে হারিয়েছে। সুইডেনের বিপক্ষে জিততে ঘাম ঝরাতে হয়েছে ঠিক, তবে তাতে নিশ্চিত হয়ে যায় নকআউট পর্বে উত্তরণ। রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আটটি পরিবর্তন করেন তাই ইতালিয়ান কোচ আন্তনিও কন্তে। তাতে ০-১ গোলে হেরে যায় বটে, তবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া তাতে আটকায়নি।
For add
For add
For add
For add
for Add