for Add
নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৭ জুন ২০১৬, সোমবার, ১২:২৮:৪০
খেলা শেষ অনেকক্ষণ আগে। নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামের মাঠে তখন ভিদালরা উৎসবে মাতোয়ারা, গ্যালারিতে লালবন্যা। চিলি সমর্থকদের বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস। কিন্তু টিভি ক্যামেরাগুলো তাক করা মেসির দিকে। লিওনেল মেসি তখনও একা বসে রিজার্ভ বেঞ্চের এক কোণায়। ভারকরা মুখ। বারবার দু’হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলছেন। অন্যদিকে মাঠের বিভিন্ন স্থানে হাটুতে মাথাগুজে বসে আছেন আগুয়েরো, মাসচেরানোরা। আর্জেন্টিনার ডাগআউটে তখন কবরের নিরবতা। বিশ্বকাপ ও গত কোপা আমেকিার ফাইনালে হারের পর এতটা কাঁদতে দেখা যায়নি মেসিকে, যতটা কাঁদলেন আজ (ভোরে)। আগের দিন বলেছিলেন লক্ষ্য পুরনের খুব কাছাকাছি তারা। আবারও সেই কাছ থেকে ফিরতে হলো মেসিদের। আবার ফাইনালের প্রতিপক্ষ চিলি, আবার টাই্রবেকার, আবার আর্জেন্টিনার কান্না। মেসিদের কাঁদিয়ে শতবর্ষী কোপার শিরোপা জিতে নিয়েছে ভিদাল, ফ্রান্সিককোরা। আবার চিলির হাসি। টাব্রেকারে ৪-২ গোলে জয় চিলির।
টাইব্রেকারে চিলির ভিদালের নেওয়া প্রথম শট ফিরিয়ে দিয়ে যতটা না আর্জেন্টাইন সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন গোলরক্ষক রোমেরো, তার দ্বিগুন হতাশা হয়ে আসে পরের শটটি। যার কাছে গোল করা পানিভাত, সেই মেসি যখন নিতে এলেন আর্জেন্টিনার প্রথম শট তখন মানিসকভাবে এগিয়ে ম্যারাডোনার দেশ। বল জালে পাঠালেই এগিয়ে যাবে আর্জেন্টিনা। না, মেসি পারলেন না। তার শট পেলো না জালের ঠিকানা, চলে গেলো বাইরে। সেই সঙ্গে আর্জেন্টিনার সম্ভাবনাও। এটাই মেসি? যে মেসি সেমিফাইনালে ২৫ গজ দূর থেকে সরাসরি ফ্রিকিকে স্বপ্নের মতো গোল করেছিলেন। সেই মেসির দুর্বল শট গোলের ধারে কাছেই গেল না। ওখানেই ভেঙে গেল আর্জেন্টিনার আত্মবিশ্বাস। গত বছরের ইতিহাস আবার ফিরে এল কোপা ফাইনালে। আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন চিলি।
প্রথমে চিলির দিয়াজ রোজাসে, পরে আর্জেন্টিনার রোজোকে লাল কার্ড। প্রথমার্ধেই ১০ জনে হয়ে গেল দুই দল। ৯০ মিনিটে গোলের মুখ খোলার মতো পরিস্থিতিও যে খুব একটা তৈরি হল তেমনটা নয়। খেলাও চলল সমানে সমানে, কিছুটা রক্ষণাত্মক। যেন টাইব্রেকার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার একটা অদম্য প্রচেষ্টা।
চোটের জন্য লাভেজ্জির না থাকার মধ্যেই দলে ফিরেছিলেন ডি’মারিয়া। কিন্তু সেই চেনা ডি’মারিয়াকে খুঁজে পাওয়া গেল না পুরো ম্যাচে। দ্বিতীয়ার্ধে তাঁকে তুলে নিতে বাধ্যই হলেন আর্জেন্টিনার কোচ। বরং দ্বিতীয়ার্ধে গোলের মুখ খুলতে সেমিফাইনালের জোড়া গোলদাতা হিগুয়াইনকে তুলে মাঠে নামালেন সার্জিও আগুয়েরোকে। তাতে আর্জেন্টিনার আক্রমণে ধার বাড়ল ঠিকই কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছু হল না। বরং ৮৪ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্টের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন সিটি ম্যান।
ভিদাল ও মেসির টাইব্রেকার মিসের পর দুই দলেরই যখন অবস্থা সমান তখন চিলির নিকোলাস কাস্তি ভুল করলেন না। বল পাঠালেন জালে। মাচেরানোও কাঁধে তখন পাহাড় চাপ। সে চাপ দুরে ঠেলে আনলেন সমতা ১-১। চিলির আরাঙ্গুইজ করে ফেললেন ২-১। আগুয়েরো আবার ফেরালেন সমতা। বোশেজো করলেন ৩-২। এবার বিলিয়ার শট ঠেকিয়ে দিলেন ব্রাভো। বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে। চিলির হয়ে পঞ্চম শটটা নিতে এলেন সিলভা। তিনি ব্যর্থ হলে আশা থাকবে আর্জেন্টিনার। আর বল জালে গেলে…। বলটা জালেই গেল। শুরু হলো মেসিদের কান্না। যে কান্না তাকে এবং আর্জেন্টিাইনদের তাড়িয়ে বেড়াবে দীর্ঘদিন। হয়তো অনন্তকাল!
For add
For add
For add
For add
for Add